আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)

7 কিছু কিছু স্থাপনায় মসজিদ,মন্দির,গির্জা একই ছাদের নিচে থাকে মানে একটা ঘরে ধরি 3 টা রুম।একটা রুম মসজিদ,একটা রুম মন্দির।নামাজ আদায় করা যাবে? 

যদি কোনো দেয়াল না থাকে তাইলে কি নামাজ আদায় করা যাবে?

2।আমার আম্মু মাঝে মাঝে বলে ফেলে এমন করলে লক্ষ্মী চলে যাবে এটা কি বলা কুফর? শিরিক? কাউকে কুফা মনে করলে কি সেটা শিরক?

 

3) স্বামী কি তার স্ত্রী কে প্রকাশ্যে আদর করতে পারবে? যেমন রিকশা করে ঘুরতে বের হয়েছে ।এমন সময় চুমু,মাথায় হাত বুলানো এসব করা যাবে? তাকওয়ার দাবি কতটুকু?

মা বাবার সামনে কি আহলিয়া কে চুমু খাওয়া যাবে? 

 

4)আমার মা পা ভাঙ্গতে পারে না । আমরা যেমন শেষ বৈঠকে জেভাবে বসি সেভাবে কোনদিন বসতে পারে না। আমার মাকে নামাজের কোন কোন অংশ বসে পড়ার অনুমতি আছে? 

 

5) আমরা জানি বিদআতী দের পিছনে নামাজ হবে না।আকিদা গলত থাকলে তার পিছে নামাজ আদায় হবে না । এখন অনেক সময় অপরিচিত লোকের পিছে নামাজ আদায় করতে হয় । করণীয় কি? আমি কিভাবে জানবো?

 

6 পরিধেয় কাপড় দিকে নিজের মুখ মুছে ফেলা যায় না । এটা কি সঠিক? 

 

7)নামাজে যে ইচ্ছাকৃত দুঃখের কথা স্মরণ করে কাদা যাবে? 

যদি কান্না চলেই আসে তাইলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?

 

8)নামাজে কি আল্লাহ এর ভয় জান্নাত জাহান্নাম এর এর কথা চিন্তা করে কাদা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আল্লাহর পক্ষ থেকে সমগ্র জমিনকেই আমাদের জন্য নামাজ পড়ার স্থান বানানো হয়েছে।

তবে মূর্তি, ছবি বা উপাস্য বাতি ইত্যাদি সামনে নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি। কেননা এতে সেগুলো উপাসনাসদৃশ হয়ে যায়। তবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। (তাবঈনুল হাকায়েক ১/১৬৬, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১০৭)। 

অতএব, কোনো কারণে মন্দির বা বিধর্মীদের উপাসনালয়েও নামাজ পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে। যদিও প্রয়োজন ছাড়া সেখানে নামাজের জন্য যাওয়া অনুচিত। 

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
جُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا

আমার জন্য পুর্ণ জমিনকে মসজিদ বানিয়ে দেয়া হয়েছে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩১৭, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৯৭৫]

وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «إِنَّا لاَ نَدْخُلُ كَنَائِسَكُمْ مِنْ أَجْلِ التَّمَاثِيلِ الَّتِي فِيهَا الصُّوَرُ» وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يُصَلِّي فِي البِيعَةِ إِلَّا بِيعَةً فِيهَا تَمَاثِيلُ»

‘উমার (রাযি.) বলেছেন আমরা তোমাদের গির্জাসমূহে প্রবেশ করি না, কারণ তাতে মূর্তি রয়েছে। ইবনু ‘আববাস (রাযি.) গির্জায় সালাত আদায় করতেন। তবে যেখানে প্রতিমা ছিল সেখানে নয়। [সহীহ বুখারী-গির্যায় নামায পড়ার অধ্যায়]

عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْأَرْضَ مَسْجِدٌ وَطَهُورٌ فَأَيْنَمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فَتَيَمَّمْ وَصَلِّ»

হযরত আবূ যর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় জমিন নামাযের স্থান এবং পবিত্র। সুতরাং যে স্থানেই নামাযের সময় হয়, তা দিয়ে তায়াম্মুম কর এবং তাতে নামায পড়। [মুসতাখরাজে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১১৫৯]

فَإِنْ كَانَ فِيهَا تَمَاثِيلُ خَرَجَ فَصَلَّى فِي الْمَطَرِ

হযরত ইবনে উমর রাঃ যদি গির্যায় মূর্তি দেখতেন, তাহলে বের হয়ে যেতেন এবং বৃষ্টিতে হলেও নামায পড়তেন। [ফাতহুল বারী-১/৫৩২, নাম্বার-৪৩৪]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত রুমে প্রতিমাকে সামনে না রেখে নামাজ আদায় করা যাবে।
তবে মূর্তী গুলোকে কাপড় দিয়ে ঢেকে না দিলে নামাজ মাকরুহ হবে।

এক্ষেত্রে আলাদা রুম না করে এভাবে বিশেষ প্রয়োজনে নামাজ পড়া গেলেও সবসময় এভাবে নামাজ পড়া অনুচিত হবে।

(০২)
এমন বলা অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য হওয়ায় জায়েজ নেই।
তবে আকীদা ঠিক থাকলে এতে শিরক হবেনা।

কাউকে কুফা মনে করা জায়েজ নয়।
এক্ষেত্রে অনেকেই শিরক হবে বলেছেন।
তবে এতে বড় শিরক হবেনা।

(০৩)
প্রকাশ্যে আদর করলে অন্যরা দেখতে পারবে।
সুতরাং এটি জায়েজ নেই।

মা বাবার সামনেও এমন আদর আমাদেত সমাজে লজ্জাজনক মনে করা হয়,তাই এটিও অনুচিত।

(০৪)
তিনি নামাজের বৈঠকের সময় বসবেন।
প্রয়োজনে পা পশ্চিম দিকে অগ্রসর করে দিবেন।
তাতে পা আর ভাজ করতে হচ্ছেনা।
রুকু সেজদাহ না করতে পারলে মাথা দিয়ে ইশারা করে (ঝুকে) রুকু সেজদাহ আদায় করবেন।
রুকুর তুলনায় সেজদায় একটু বেশি মাথা ঝুকাবেন।

(০৫)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।

(০৬)
এটি কুঃসস্কার।
ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই।
পরিধান কৃত কাপড় দিয়েও মুখ মোছা যাবে।

(০৭)
দুনিয়াবি কারনে কাঁদা যাবেনা। 
কাঁদার আওয়াজ হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০৮)
হ্যাঁ কাঁদা যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...