আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (89 points)
edited by
১.কেও কোনো ভুল সোর্স থেকে তথ্য পেয়ে ইসলাম বিরোধী কোনো কথায় বিশ্বাস করলো এবং বললো যে এটা এমন। পরে যখন সঠিক টা জানতে পারলো তখন সঠিক টাই বিশ্বাস করলো। কিন্তু কোনো কারণে এই ভুলের জন্য যদি তার তওবাহ করা না হয় (ধরুন তওবা করবো বলে পরে করার জন্য রেখে দিলো আর করা হলো না বা ইত্যাদি)  এতে কি তার কুফরি হবে?

২. কোনো বিধর্মী যদি আমার মাথা থেকে টুপি নিয়ে পরে, ছবি তুলে আমার কি গুনাহ হবে? আমার কি করনীয়?

৩. আমার ও আমার বউ এর পুরাতন কথোপকথন শুধু মনে পরে আমার, এবং পুরাতন বিভিন্ন দিনের কথোপকথন মনে পরে সন্দেহ হয়, যে ওই দিন একটা কথা বলেছিলাম ওইটা কুফরী কিনা। এই সন্দেহের জন্য আমি আমাদের পুরাতন সব ম্যাসেজ ডিলেট করে দেই।কিন্তু আমার বউ তার মোবাইল থেকে তা ডিলেট করে না,বলে তোমার সমস্যা তুমি ডিলেট করো আমার কাছে থাক। এখন আমার যদি পুরাতন কোনো দিনের কথোপকথন মনে পরে আমি কি ওর মোবাইল জোর  করে চ্যাক করবো?ও আমার এই ভাবনা সম্পর্কে জানে তাই বললে ও চ্যাক করবে না ওর ফোন ও দিতে চাইবে না। আমার কি করনীয়? শিওর হওয়া দরকার না কি তওবা করে নিলেই হবে?

৪.বিভিন্ন ভিডিওতে দেখি, যে মায়ের মাইরের হাত থেকে বাচতে ছেলে ঠাস করে নামাজে দাড়িয়ে যায়, আরেকটায় দেখলাম পিছনের মানুষ দাড়িয়ে তাকে মারবে সে নামাজ শেষ করেই আবার শুরু করে দিলো। এবং হঠাৎ দৌড় দিলো৷ এইসব দেখে কেও হাসলে তা কি নামাজ নিয়ে হাসাহাসি করা হবে? যারা হাসবে তারা কি ইমান হারা হয়ে পরবে?

৫. আমার নামাজে হঠাৎ মনে হয় যে আগের রাকাতে কি সুরা পরলাম? বা আগের রাকাতে সিজদা কয়টা দিলাম? বা তাশাহুদ পরলাম কি না।  অর্থাৎ এই গুলো পরি নি,  বা সিজদা কম দিয়েছি এমন মনে হয় না, তবে কোন সুরা পরেছি,  বা তাশাহুদের বসার মুহুর্ত,  সিজদার মুহুর্ত স্মরন থাকে না। পরের রাকাতে যা মনে হয়।  এই সমস্যা খুব হচ্ছে ইদানিং এক্ষেত্রে কি করনীয় আমার?

৬. নামাজে মন বসছে না,  শুধু বিভিন্ন চিন্তা আসে একটু দিক নির্দেশনা দিবেন কি করবো...

1 Answer

0 votes
by (679,160 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে সেই ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে জেনে শুনে তওবা করতে দেড়ি করার দরুন এটি তার জন্য মারাত্মক গুনাহ হবে 

(০২)
সে যদি ঠাট্রা মূলক নেয়,বা ঠাট্রামূলক কিছু করে,সেক্ষেত্রে আপনি তাকে দিবেননা।
সে ঠাট্রা করবে,এটি জেনে শুনে আপনি যদি তাকে টুপি দেয়া হতে বাধা না দেন,তাহলে আপনিও গুনাহগার হবেন।

তবে আপনি বাধা দেয়ার পরেও সে যদি জোড়পূর্বক নেয়,তাহলে আশা করা যায়,আপনার গুনাহ হবেনা।

আর যদি সে ঠাট্রামূলক কিছু না করে,এমনিতেই নেয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
আপনি তার মোবাইল জোড় করে চেক করবেননা।
শুধু তওবা করে নিবেন।

(০৪)
এতে নামাজ নামক ফরজ বিধান নিয়ে হাসি করা হবেনা।
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
যদি কোন কিরাআত পড়েছেন,সেটি নিয়ে সন্দেহ হয়,তাহলে সন্দেহকে পাত্তা দেয়ার দরকার নেই।

আপনি এইভাবেই নামাজ চালিয়ে যাবেন।

তবে রুকু করেছেন কিনা? সেজদাহ কয়টি করেছেন? এ সংক্রান্ত সন্দেহ হলে এর বিধান বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".

‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
 
অন্য এক হাদীসে এসেছে-

ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)

★কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির,তাশাহুদ,দরুদ ইত্যাদি পড়ার সময় নিজের কানে আসে,এমন আওয়াজে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করুন।

নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। 

নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে।

নামাজে  দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 110 views
...