আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
114 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (89 points)
edited by

মানুষকে দেখিয়ে দান করার প্রেক্ষিতে আমার সামনে একবার একটা ছেলে বলেছিলো যে "এখন আল্লাহ থেকে সমাজ বড়" (নাউজুবিল্লাহ)। এই কথা শুনে আমার এখন যতোটুক নমনে পরতেছে আমি তখন হেসে দিয়েছিলাম। এখন মানুষ সত্যিই এমন করে দেখে হেসেছিলাম না কি তার কথা শুনে হেসেছিলাম মনে করতে পারতেছি না হেসে তাকে কি বলেছিলাম তাও মনে হচ্ছে না। আমার বিয়ে হয়েছে দেড় বছরের মতো হলো। এই ঘটনা বিয়ের আগের না পরের তাও সঠিক মাথায় আসছে না। উল্লেখ্য তখন আমি কুফরী কথার সম্পর্কে কিচ্ছুই জানতাম না,যে কথা দ্বারাও মানুষের ইমান চলে যায়। এই ঘটনার সময় ও এটা যে কতো জঘন্য কাজ হচ্ছে সেই ভাবনাও মাথায় আসে নাই।

১.এখন আনামার করনীয় কি?আমি কি কাফের হয়ে গিয়েছিলাম? আমার কি বিবাহ দুহরাতে হবে?

২. ওই ছেলে কি ওই কথা বলে কাফের হয়ে গিয়েছিলো? তার সাথে আমার যোগাযোগ তেমন নাই,ম্যাসেন্জারে এড আছে, তাকে কিচ্ছু বলা কি বা জানানো কি আমার জন্য ফরজ?

৩. আরেকটি বিষয়, কেও যদি অন্যদের বলে যে, "তোমরা কীর্তন দিরায় নি/ সবাই মিলিয়া কীর্তন দেও " ইত্যাদি,যেখানে কীর্তন বলতে বুঝানো হতো আড্ডা দেওয়া, চিৎকার চেচামেচি ইত্যাদি। হিন্দু ধর্মীয় যে কীর্তন গায় সেই উদ্দেশ্য থাকে না এতে কি কারো কুফর হবে? আমি জানতাম না যে কীর্তন বলতে স্পেসেফিক ভাবে হিন্দুদের অনুষ্ঠানই কেবল বুঝায়।লোকমুখে শুনে এর পাশাপাশি এটাকে ভাবতাম আঞ্চলিক শব্দ। 

৪. গায়রুল্লাহর নামে শপথ করলে কি কুফর বা শিরক হয়? এতে কি মানুষ কাফের হয়ে যায়?বিবাহ ভেঙে যায়?

1 Answer

+1 vote
by (712,400 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ ۖ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا ۖ وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا ۚ إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ

শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়।
الَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ ۖ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
যারা কুফর করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার।( সূরা ফাতির-৫-৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
 "এখন আল্লাহ থেকে সমাজ বড়" (নাউজুবিল্লাহ) 
এই কথা যদি আল্লাহকে অস্বীকার বা আল্লাহর শান শওকতকে জেনে বুঝে ছোট করার নিয়তে ঐ বলে থাকে, তার ঈমান চলে গিয়েছে, এসম্পর্কে কোনো সন্দেহ নাই। আর যদি সামজের বর্তমান অবস্থান, মানুষের মনের অবস্থা বুঝাতে গিয়ে কেউ এমনটা বলে, তাহলে তার ঈমানে কোনো সমস্যা আপতত হচ্ছে, তবে এ রকম সন্দেহপূর্ণ  কথা না বলাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (89 points)
edited by
আমার কুফর হয়েছে কি না সেটা জানতে চাচ্ছিলাম, প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে...

১.এখন আমার করনীয় কি?আমি কি কাফের হয়ে গিয়েছিলাম? আমার কি বিবাহ দুহরাতে হবে?

by (712,400 points)
আপনি কি জন্য বলেছিলেন??
by (89 points)
আমি এই কথা বলেছি বলে মনে পরছে না।
আমি শুধু তার কথা শুনে হেসেছিলাম,
পুরাতন ঘটনা হওয়ায় সেই হাসির  স্পেসিফিক কারণ মনে করতে পারতেছি না, যে মানুষ এমন করে ভেবে হেসেছিলাম না কি না কি অন্য কারণে, না কি তার কথা শুনে। হেসে তাকে কি বলেছিলাম তা ও মনে নাই। তবে তখন আল্লাহ কে অসম্মানের নিয়তে হেসেছিলাম এমনটা মনে হচ্ছে না। তখন তো আমি কুফর সম্পর্কে কিচ্ছুই জানতাম না।


by (712,400 points)
না, এতে করে কুফরি হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...