আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
reshown by

 

السلام عليكم ورحمة الله

আমার প্রশ্নঃ
 ১// যদি কেউ ভুল বশত ফরজ/ওয়াজিব নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ এ কিছুটা বাদ রেখে পড়ে এবং পরে স্বরণ হওয়ায় দুরূদ, দোয়া মাসূরা শেষ করে দুই সেজদা দিয়ে সালাম ফেরায় অর্থাৎ সাহু সাজাদা দেয়(অন্য পদ্ধতি), তার নামাজ কি হবে?

২// ধরুন আমার নামাজে দুইটা ওয়াজিব ভুল বশত ছুটে গেছে বা ভুল হইছে। কিন্তু একটা আমি বুঝতে পারছি এবং অন্যটা অজানা। তো বুঝতে পারার জন্য সাহু সেজদা দিছি কিন্তু অন্যটা তো অজানা তাই ওইটার জন্য তো সাহু সেজদা দেই নি। এখন ওই অজানা ভুল টার জন্য কি এই সাহু সেজদা যথেষ্ট হবে, যদিও আমি ওইটার জন্য দেই নি?? 

৩// কেউ যদি ❝দুনিয়াবি স্বার্থে❞ কাউকে "সন্তুষ্ট" করার জন্য কোন কারনে দোয়া চায় (যেমনঃ আমার পরীক্ষা ভালো হওয়ার জন্য দোয়া করবেন) অর্থাৎ, তার কাছে দোয়া চাচ্ছে তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য (দোয়া চাওয়ার কারন সন্তুষ্টির কারন না), তাহলে কি শির্ক হবে? যদি দোয়া চাওয়া কোন ইবাদত হয়?

৪// আমাদের সমাজে প্রচলিত রীতি আছে– কোন চাকুরীর জন্য/ পরীক্ষার সময়/ ব্যবসায়িক কাজে/ বিয়ের সময় ইত্যাদি সময় মানুষ তার আশেপাশে, আত্বীয়স্বজন এবং গুরুজনদের কাছে মোটামুটি গনহারে দোয়া চায়। এটা কি জায়েজ? এতে গোনাহ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কি কি কারণে সাহু সিজদা দিতে হবে....
وفي الولوالجية الأصل في هذا أن المتروك ثلاثة أنواع فرض وسنة وواجب ففي الأول أمكنه التدارك بالقضاء يقضي وإلا فسدت صلاته وفي الثاني لا تفسد؛ لأن قيامها بأركانها وقد وجدت ولا يجبر بسجدتي السهو وفي الثالث إن ترك ساهيا يجبر بسجدتي السهو وإن ترك عامدا لا، كذا التتارخانية.
নামাযে ছুটে যাওয়া জিনিষ তিন প্রকার,যথা-(১) ফরয (২) সুন্নত (৩) ওয়াজিব।
যদি নামাযে কোনো ফরয ছুটে যায়, এবং তাকে আদায় করা সম্ভব হয়, তাহলে আদায় করা হবে।আর আদায় করা না হলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
যদি নামাযে সুন্নত ছুটে যায়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না। কেননা নামায মূল রুকুন গুলো পাওয়া গেলেই হল, এবং এগুলো তো পাওয়া গিয়েছে।
আর যদি নামাযে ওয়াজিব ছুটে যায়, যদি ভুলে ছুটে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আর ইচ্ছাকৃত তরক করলে তখন সিজদায়ে সাহু দ্বারা কাজ হবে না, বরং নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৬)

সাহু সিজদার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/897

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযে পরিপূর্ণ তাশাহুদ পাঠ করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ছুটে গেলে, সাহু সিজদা আসে।সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।

(২)
নামায যত ভুলই হোক, ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, সবক'টি ভুলের জন্য একটি সাহু সিজদাই আসবে।

(৩)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট।সুতরাং স্পষ্ট করে লিখার অনুরোধ।

(৪)
গনহারে দোয়া চাওয়াকে জরুরী মনে করা, বা এরকম নিয়ম ইসলামে রয়েছে, এমনটা মনে করা অবশ্যই বিদ'আত। উক্ত আকিদা না হলে, গনহারে দু'আ চাইতে কোনো বাধা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...