আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
১.দুনিয়াবি যে সব পড়াশোনার বিষয় আছে?সেগুলোতে পড়াশোনা করা কি ইবাদত?

২.আর ইবাদত হলে তা লোক দেখানো বা দুনিয়াবি লাভের কারণে করলে কি শিরক কুফুরি হবে?

৩.একে অপরেরে খোজ খবর নেওয়া কি ইবাদত? আর তা লোক দেখানো বা দুনিয়াবি লাভের কারণে করলে কি শিরক বা কুফুরি হবে?

৪.কাউকে ভালো কাজে সাহায্য করা কি ইবাদত?আর তা লোক দেখানো বা দুনিয়াবি লাভের কারণে করলে কি শিরক বা কুফুরি হবে?

৫. কল্পনায় অমুসলিম কে চিন্তা করার সময়।  যে চেহের মানুষকে অমুসলিমকে চিন্তা করলাম তা কল্পনার জন্য সে কাফের কি ছিল? বা কল্পনা কোনো মুসলিম করলাম। এখন কল্পনার মধো সে যদি কুফুরি কাজ করে তবে কি সে কল্পনার মধো কাফির হয়া যাবো?

৬.কেউ কোনো কুফুরি কথা মুখ দিয়া বলল কিন্তু বিশ্বাস করলো না তবে কি সে কাফির হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২; এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
দুনিয়াবি যে সব পড়াশোনার বিষয় আছে,সেগুলোতে পড়াশোনা করাও ইবাদত হবে,যদি সেগুলো অর্জনের উদ্দেশ্য ইসলাম ও মুসলমানের খেদমত হয়।

(২)
লোক দেখানো বা দুনিয়াবি লাভের কারণে হলে, সেগুলোর অর্জন ইবাদত হবে না ঠিক তবে তা  শিরক বা কুফুরি হবে না।

(৩)
একে অপরেরে খোজ খবর নেওয়াও ইবাদত যদি তা আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে।তবে যদি আল্লাহর জন্য না হয়,তাহলে তা ইবাদত হবে না।তবে শিরক বা কুফুরি হবে না।

(৪)
কাউকে ভালো কাজে সাহায্য করাও ইবাদত যদি আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে।তবে যদি আল্লাহর জন্য না হয়,তাহলে তা ইবাদত হবে না ঠিক তবে সেগুলো শিরক বা কুফুরি হবে না।

(৫)
প্রশ্নটি বুঝিনি।কমেন্টে পরিস্কার করে উল্লেখ করবেন।
(৬)
না, কাফির হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...