আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। কোন বেক্তি  তার ইস্ত্রির উপর কোন   তালাক  বাক্য উচচারন করে  নাই। ব্যক্তিটি মাসালা জানার জন্য কোন মুফতি সাহেবের কাছে এভাবে যদি প্রশ্ন করে যে, ★(" নিয়ত নাই এমনি সাধারণ ভয় মূলক বাক্য বলতে গিয়ে  ঐ ধরনের  বাক্য বলে  ফেললে কি হবে? বলার সময় বুঝতে পারে নাই ") বাক্যর শেষের অংশ "বলার সময় বুঝতে পারে নাই" এই বাক্যটা হুজুর  ভালো করে পড়বেন।
প্রশ্ন (১)এভাবে প্রশ্ন করাতে প্রশ্নকর্তা কি তালাকের স্বীকারোক্তি  দিল?
প্রশ্ন (২)প্রশ্নকর্তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু কি পতিত  হয়েছে?
(৩)প্রশ্ন. যদি কোন বেক্তি ভয়মুলক  বাক্য বলার নিয়তে ভয়মুলক  বাক্য বলতে গিয়ে যদি ভুল করে শরতমুলক বাক্য বলে এবং বলার সময় যদি  বুঝতে  না পারে যে সে শরতমুলক বাক্য বলতিছে তাহলে কি তার ইস্ত্রির উপর সত্যিকারভাবে শরতমুলক তা....পতিত  হবে?

 প্রশ্ন (৪)একজন বেক্তি তার ইস্ত্রিকে প্রকৃতপক্ষে তালাক বাক্য উচচারন করেন নাই।কিন্তু তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু  পতিত হয়েছে কিনা নিশ্চিতভাবে মাসালা জানার জন্য কোন মুফতির কাছে তার বিবরণটা মুখে বলার সময় ★("যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল বিবরণ দেয় অর্থাৎ ভুল করে যদি বিবরনটা ভুল বলে  অর্থাৎ  বোঝানোর সময় যদি উল্টাপাল্টা বলে  ফেলে আর এর ফলে ফতোয়ার জবাব যদি তার ইস্ত্রির উপর কোন তা....  পতিত  হয়, তাহলে কি সত্যি সত্যি  অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে তার স্ত্রীর উপর তা...  পতিত  হবে?
যদি কোন কিছু পতিত না হয় তাহলে প্রতিটি প্রশ্নের ক্রম অনুযায়ী তার কারনটা বোঝার সুবিধার্থে হুজুর  অনুরোধ  করছি অবশ্যই বলবেন। হুজুর আপনাকে  আবারও  অনুরোধ করছি  বোঝার সুবিধার্থে  কারনটা বলবেন।ক্রম অনুযায়ী।  আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুক।
প্রশ্ন (৫) কোন বেক্তি তার স্ত্রীর প্রশংসা করার জন্য  অপরের কাছে যদি বলে " সব কাজ করতে পারে " এই বাক্য উচচারন  এর মুহূর্তে  যদি তার অন্তরে খেয়াল আসে তার স্ত্রী তাকে  তা.....  দিতে পারে এবং খেয়াল আসার পর যদি আবার বলে "সব কিছু" তখনও যদি খেয়াল আসে  এবং সেই সময়  তার স্ত্রী যদি তার পাশেই থাকে তাহলে কি তার স্ত্রী তা.... এর ক্ষমতা পাবে  কি? যদি তার সামীর মনে   ক্ষমতা অর্পণ এর নিয়ত না থাকে তাহলে  কি হবে দয়া করে জানাবেন। আর যদি নিয়ত থাকে তাহলে কি ক্ষমতা পাবে? জাজাকাল্লাহ।
by (4 points)
edited by
(৩)প্রশ্ন. যদি কোন বেক্তি ভয়মুলক  বাক্য বলার নিয়তে ভয়মুলক  বাক্য বলতে গিয়ে যদি ভুল করে শরতমুলক বাক্য বলে এবং বলার সময় যদি  বুঝতে  না পারে যে সে শরতমুলক বাক্য বলতিছে তাহলে কি তার ইস্ত্রির উপর সত্যিকারভাবে শরতমুলক তা....পতিত  হবে? যদি শরতমুলক  বাক্য বলার নিয়ত না থাকে?  এই প্রশ্নের বিষয়ে নিম্নের হাদিস  কি পেশ করা যেতে পারে?

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم قَالَ: "إنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ" .
حَدِيثٌ حَسَنٌ، رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ [رقم:2045]، وَالْبَيْهَقِيّ ["السنن" 7 ].

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উদ্দেশ্যে আল্লাহ্ আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে করতে সে বাধ্য হয়েছে।

ফুটনোটঃ
[এ হাদীসটি হাসান। ইবনে মাজাহ্ (নং-২০৪৫), বায়হাকী (সুনান, হাদীস নং-৭) ও আরো অনেকেই এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।] 

৪০ হাদিস, হাদিস নং ৩৯
হাদিসের মান: হাসান হাদিস।

★বিভিন্ন  মানুষের প্রশ্ন উত্তর দেখে জানতে ইচ্ছা হলো,যদি কোন  বেক্তি আল্লাহ  ও তার রাসুলের প্রতি বিদদেষ পোষন না করে এমনি যদি ইচ্ছা করে  মনে মনে  আল্লাহ  ও  তার রাসুলকে নিয়ে খুবই নিকৃষ্ট কথা  বলে কিন্তু  মুখে উচ্চারণ করলো  না তাহলে  কি তার ইমান  চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এভাবে প্রশ্ন করাতে প্রশ্নকর্তা তালাকের স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলা হবেনা।
কেননা এখানে তার স্ত্রীকে তালাক প্রদানের তার উদ্দেশ্য নাই।

(০২)
তার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

কেননা স্বামীর এখানে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের তার উদ্দেশ্য নাই।

(০৩)
সে যদি এখানে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শর্তযুক্ত তালাক দেয়ার মতো বাক্য বলে থাকে,তাহলে শর্তযুক্ত তালাক হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাল হবেনা।
এটি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে,যেক্ষেত্রে দিয়ানাতান তালাক হয়না।

তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি সংক্রান্ত মাসয়ালা জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে তার স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
কেননা এখানে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়ার মতো কোনো বাক্যই বলা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...