আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

আমার ওয়াসওয়াসা জাতীয় সমস্যা আছে। মনের  মাঝে এক একবার এক এক রকম চিন্তা আসে। তাই ভয় হয়। কতগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই...
১  ধার করে নেওয়া টাকা বা  জিনিস এর জন্য ঋণ বা ধার নেওয়া ব্যক্তিকে  না জানিয়ে  মনে মনে তাকে মাফ করে দিলে পরে  ধার নেওয়া ব্যক্তির কাছে কি ধার নেওয়া টাকা বা জিনিসটা  চাওয়া/নেওয়া জায়েজ হবে?

২.  যদি কোনো মহিলাকে স্পর্শ  করার সময়  বা লজ্জাস্থান দেখার সময় কামভাব না জাগে এবং স্পর্শ করা  বা দেখা  থেকে বিছিন্ন হয়ে যাবার  পর কামভাব জাগে তাহলে কি হুমরত সাব্যস্ত হবে?

৩.ইমান নবায়ন করতে গেলে নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদাত পড়লেই হবে নাকি কোনো আলেমের কাছে গিয়ে পড়তে হবে?

৪. কোন বিপদ দূর হওয়ার জন্য  মনে মনে  ১০০ টাকা সদকা করার   নিয়ত করলে পরবর্তীতে সে টাকা দান না করলে কি কোনো গুনাহ হবে?

৫.আমি এক হিন্দু কবিরাজের কাছ থেকে একটি তাবিজ নিয়েছি। তিনি বলেছেন তিনি আমাদের মুসলমান ধর্মের ভিতরেই তাবিজটি দিয়েছেন।  এখন এই তাবিজ নিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ বিশুদ্ধ হবে?

৬.ইমান নবায়নের জন্য কালেমায়ে শাহাদাত কি আওয়াজ করে পড়তে হবে নাকি ঠোট নাড়িয়ে নিশব্দে পড়লেই হবে?

৭. হার্ডয়ারী জাতীয় ফেরত মাল বিক্রয় মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে দাম ধরা জায়েজ হবে?

৭.  জিনিসের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি মূল্যে  বিক্রি করা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, 
(তরজমা) এবং কোনো (দেনাদার) যদি অসচ্ছল হয়, তবে সচ্ছলতা লাভ পর্যন্ত তাকে অবকাশ দেওয়া উচিত। আর যদি সদাকাই করে দাও, তবে তোমাদের জন্য সেটা অধিকতর শ্রেষ্ঠ, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (সূরা বাকারা (২) : ২৮০)

হাদীস শরীফে এসেছে, 

তোমাদের পূর্ববর্তী এক লোকের হিসাব নেওয়া হলে তার কোনো নেক আমল পাওয়া যায়নি। তবে সে মানুষের সাথে লেনদেন করত এবং বিত্তবান ছিল। কর্মচারীদের প্রতি তার এ নির্দেশ ছিল যে, অক্ষমদের যেন তারা মাফ করে দেয়। আল্লাহ বললেন, মাফ করার সক্ষমতা তো ওর চেয়ে আমার বেশি। এরপর তিনি ফিরিশতাদেরকে আদেশ দেন তাকে মাফ করে দেওয়ার। 
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬১)

অন্য এক হাদীসে এসেছে, যে অক্ষমকে সুযোগ দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়াতলে জায়গা দিবেন- যখন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে। 
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস ১৩০৬)

আবদুল্লাহ ইবনে আবী কাতাদা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু কাতাদা রা. তার এক ঋণগ্রহীতাকে খুঁজলে সে আত্মগোপন করল। পরে তাকে পাওয়া গেল। তখন সে বলল, আমি অসচ্ছল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর কসম? সে বলল, আল্লাহর কসম (আমি অসচ্ছল)! আবু কাতাদা রা. বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যার পছন্দ যে আল্লাহ তাকে কিয়ামতের বিপদসমূহ থেকে মুক্তি দিন সে যেন অসচ্ছলকে সুযোগ দেয় অথবা মাফ করে দেয়। 
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ধার নেওয়া ব্যক্তির কাছে ধার নেওয়া টাকা বা জিনিসটা  চাওয়া/নেওয়া জায়েজ হবে।
কেননা শুধু মনে মনে মাফ করে দেয়ার দ্বারা মাফ হয়না।

তবে মাফ করে দেয়ার যেহেতু ফজিলত অনেক বেশি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সামর্থবান হলে আর ঋন গ্রহীতা ব্যাক্তি ঋন পরিশোধে অক্ষম হলে তাকে মাফ করে দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
তাহলে হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।

(০৩)
নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদাত পড়লেই হবে। 

(০৪)
না,পরবর্তীতে দান না করলে গুনাহ হবেনা।

(০৫)
তাবিজে নাপাক কিছু না থাকলে নামাজ বিশুদ্ধ হবে।

নামাজ হয়ে গেলেও তার দেয়া তাবিজ আপনার জন্য কোনোভাবেই জায়েজ নেই।

(০৬)
নিজ কান পর্যন্ত যেনো আওয়াজ আসে,সর্বনিম্ন এতটুকু আওয়াজ দিতেই হবে।

(০৭)
ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তে হলে জায়েজ হবে।

(০৮)
সরকারি আইনে যদি এটি নিষিদ্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে ক্রেতার উপর জুলুম না হলে এটি জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (36 points)
হুজুর পাওনা টাকার জন্য বাকিধারকে মনে মনে মাফ করে দিলে কি পরে  বাকিধারের কাছে টাকা চাওয়া জায়েজ হবে?
by (678,880 points)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...