আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (22 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, নীচে একটা পোস্টের লিখা দিচ্ছি।এটা কতোটুকু সঠিক বি এর সততা কতোটুকু একটু কষ্ট করে জানাবেন।জানাটা জরুরী।


""মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরে তালক্বীন করা সুন্নত। তালক্বীন করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে।


হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- আখেরী রসূল হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন-


“যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই ইন্তেকাল করবে তখন তাকে কবরে রেখে তার উপর ভালভাবে মাটি দিয়ে অর্থাৎ দাফন করে তার মাথার নিকট দাঁড়িয়ে বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” তখন মৃত ব্যক্তি ইহা শুনবে কিন্তু কোন জবাব দিবেনা। তারপর বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” ইহা শুনে মৃত ব্যক্তি উঠে বসবে। অতঃপর আবার বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” ইহা শুনে মৃত ব্যক্তি বলবে কি বলছেন? (যদিও তার কথা শুনা যাবেনা) তখন তোমরা বলবে তুমি এই সময় বলো দুনিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় তুমি যার উপর কায়েম ছিলে) অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নাই, তিনিই একমাত্র প্রতিপালক। ইসলাম তোমার দ্বীন, হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার নবী, কোরআন শরীফ তোমার পথ প্রদর্শক।


এসময় মুনকার এবং নাকীর একে অপরের হাত ধরে বলবে- এখান হতে চল, এর নিকট বসে কি করব? একেতো আখেরাতের দলীল শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে।


অতঃপর আল্লাহ্ পাক তার এই কথাগুলো লিখে নেন। অমুকের পুত্র অমুকের স্থলে মৃত ব্যক্তি ও তার মাতার নাম উল্লেখ করবে।


এক ব্যক্তি উঠে জিজাসা করল- ইয়া রসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি তার মাতার নাম জানা না থাকে তখনু উপায় কি? হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন- তাহলে হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম-এর নাম উল্লেখ করে বলবে- হে হযরত হাওয়া আলাইহাস সালামএর পুত্র অমুক।


আর কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে মাইয়্যেতকে দাফন করার পর উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ থেকে একজন প্রশ্ন করবে, من ربك.

উচ্চারণঃ মার রাব্বুকা?

অন্যান্য সকলেই বলবে- ربى الله.

উচ্চারণঃ রব্বিইয়াল্লাহু।

এরপর বলবে- ومن نبيك.

উচ্চারণঃ ওয়া মান নাবিয়্যুকা?

অন্যান্য সকলেই বলবে,

ونبى محمد صلى الله عليه وسلم

উচ্চারণঃ নাবিয়্যী মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতঃপর বলবে, وما دينك.

উচ্চারণঃ ওয়ামা দ্বীনুকা?

সকলেই বলবে, دينى الاسلام.

উচ্চারণঃ দ্বীনিয়্যাল ইসলাম।


হাদীস শরীফে রয়েছে, যখন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কবরে তালক্বীন দেয়া হয় তখন মুনকার ও নকীর ফেরেশতাদ্বয় পরস্পর পরস্পরের হাতে ধরে বলেন যে, তাকে প্রশ্ন করে কি হবে, তাকে তো সব শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। চল আমরা চলে যাই। অর্থাৎ তালক্বীনের কারণে সে সুওয়াল-জাওয়াব থেকে নিস্কৃতি ও নাযাত পায়। (সুবহানাল্লাহ্)


( দলীলসমূহঃ- ত্বাষ্কানী মুজামুল কবীর, বুলুগুল মারাম, ফিকাহুস সুনান, কবীরি, নূরুচ্ছুদুর, আরকানে আরবায়া, ফতওয়ায়ে রশিদীয়া, ইত্যাদি।)


অথচ এখন অনেকেই কবরে তালক্বীন দেয় না। তাল্কীন দিতে হয় , এ বিষয় জানেই না—-


হায়রে মুসল্মান

কবে হবে আর শুভ বোধ উদয় ?

সুন্নত পালনে সদা জাগ্রতময়।""""

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


এই রেওয়ায়েত হযরত আবু উমামাহ বাহেলী রাঃ এর মাধ্যমে মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/৫৪,ইহইয়াউল উলুম ২৭২ তে বর্ণিত হয়েছে।
সুতরাং এর উপর আমল করার অবকাশ রয়েছে।
কিন্তু সেটিকে আবশ্যকীয় মনে করার সুযোগ নেই।
কেননা রেওয়ায়েতের সনদ মজবুত নয়। বরং যেই এলাকায় আবশ্যকীয় মনে করা হয়,সেখানে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/১৩৩)

যার আরবী পাঠ হল,

عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَوْدِيِّ، قَالَ: شَهِدْتُ أَبَا أُمَامَةَ وَهُوَ فِي النَّزْعِ، فَقَالَ: إِذَا أَنَا مُتُّ، فَاصْنَعُوا بِي كَمَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نصْنَعَ بِمَوْتَانَا، أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ” إِذَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْ إِخْوَانِكُمْ، فَسَوَّيْتُمِ التُّرَابَ عَلَى قَبْرِهِ، فَلْيَقُمْ أَحَدُكُمْ عَلَى رَأْسِ قَبْرِهِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانَةَ، فَإِنَّهُ يَسْمَعُهُ وَلَا يُجِيبُ، ثُمَّ يَقُولُ: يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانَةَ، فَإِنَّهُ يَسْتَوِي قَاعِدًا، ثُمَّ يَقُولُ: يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانَةَ، فَإِنَّهُ يَقُولُ: أَرْشِدْنَا رَحِمَكَ اللهُ، وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ. فَلْيَقُلْ: اذْكُرْ مَا خَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا شَهَادَةَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّكَ رَضِيتَ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، وَبِالْقُرْآنِ إِمَامًا، فَإِنَّ مُنْكَرًا وَنَكِيرًا يَأْخُذُ وَاحِدٌ مِنْهُمْا بِيَدِ صَاحِبِهِ وَيَقُولُ: انْطَلِقْ بِنَا مَا نَقْعُدُ عِنْدَ مَنْ قَدْ لُقِّنَ حُجَّتَهُ، فَيَكُونُ اللهُ حَجِيجَهُ دُونَهُمَا “. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ، فَإِنْ لَمْ يَعْرِفْ أُمَّهُ؟ قَالَ: «فَيَنْسُبُهُ إِلَى حَوَّاءَ، يَا فُلَانَ بْنَ حَوَّاءَ»

হযরত আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: 

“যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই মৃত্যুবরণ করে, তাকে কবরে সমাহিত করার পর তোমাদের মধ্যে একজন তার কবরের শিয়রে দাঁড়িয়ে বলবে: 
- হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে তা শুনতে পাবে, কিন্তু উত্তর দিবে না। 
- অতঃপর যখন আবারো বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন মৃত ব্যক্তি সোজা হয়ে বসে পড়বে। 
- আবার যখন বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে বলবে: আল্লাহ্ তাআলা তোমার উপর দয়া করুক। তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও। কিন্তু মৃত ব্যক্তির একথা তোমরা শুনতে পাবে না। অতঃপর সে (তালকীনকারী) বলবে:

اُذْكُرْ مَاخَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا: شَهَادَةَ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) وَاَنَّكَ رَضِيْتَ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) نَبِيًّا وَّ بِالْقُرْاٰنِ اِمَامًا ـ

অনুবাদ: “তুমি তা স্মরণ করো, যা বলে তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছ অর্থাৎ,
- একথা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। 
এবং এটাও বলো যে, 
- তুমি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে, 
- ইসলামকে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হিসেবে, 
- হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হিসেবে এবং 
- কুরআন মজীদকে ইমাম হিসেবে মনে-প্রাণে স্বীকৃতি দিয়েছ এবং এর উপর সন্তুষ্ট ছিলে।” 
তালকীনকারী এ কথা বলার পর মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় একে অপরের হাত ধরে বলবেন: চলো আমরা চলে যাই। তার পাশে বসে থেকে আমাদের কোন লাভ নেই যাকে লোক দলীল শিখিয়ে দিয়েছে। এক ব্যক্তি রহমতে আলম (ﷺ) এর নিকট আরয করল, যদি তার মায়ের নাম জানা না থাকে, তখন কিভাবে তালকীন করবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: “হাওয়া رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا এর দিকে সম্পর্কিত করবে।” 
(আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারনী, হাদীস নং-৭৯৭৯, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৩৯১৮।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
(وَلَا يُلَقَّنُ بَعْدَ تَلْحِيدِهِ) وَإِنْ فُعِلَ لَا يُنْهَى عَنْهُ. (الدر المختار مع رد المحتار-3/80-81)
সারমর্মঃ-
কবরস্থ করার পর তালকীন করা হবেনা 
তনে কেহ যদি এমন আমল করে তাহলে তাকে তাহা হতে বাধা দেয়া যাবেনা।

(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বর্ণনাটি দুর্বল। তাই উলামায়ে কেরাম বলেছেন, যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তাহলে তাকে বাঁধা না দেয়া। কিন্তু এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা কিছুতেই উচিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
আমার জানা মতে মুনকার নাকির সবাইকে প্রশ্ন করবেন।প্রশ্ন থেকে কেউ বাঁচবে না। ভুলটা সংশোধন করবেন। 
তাহলে তালকিন যদি কেউ করে সেটিকে সুন্নাহ ধরা যাবে ?নাকি বিদাত হবে এতে?
by (675,600 points)
মুনকার নাকির সকলকেই প্রশ্ন করবেন।
কেউ যদি তালকীন করে,সেটিকে মুবাহ তথা বৈধ বলা হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...