আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শায়েখ!
আমি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী,বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।আম্মু আলহামদুলিল্লাহ ফেমিনিজম থেকে অনেকটুকু দ্বিনে ফিরেছেন কিন্ত বাবা চরম পর্যায়ের এগোনিস্ট বা নাস্তিক, পর্ণগ্রাফি আসক্ত একজন।আমি নিকাহর প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি বেশ অনেকগুলো কারণে,আলহামদুলিল্লাহ দ্বিনি সাইড দিয়ে বেশ কয়েকজন দ্বিনদার ছেলের রাজি হবার প্রস্তাব এসেছিল,যে কয়জনের ভালো প্রস্তাব এসেছিল পাত্রের কথা হচ্ছে একবারে পাত্রী তুলে নিতে চায় তাদের বাসায়।কিন্ত শায়েখ সমস্যা হচ্ছে -বিয়ের পর আমি যদি শশুর বাড়িতে থাকি অথবা শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি মাঝে মাঝে আসা যাওয়া হয়; এই যে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বয়স্ক বাবা মা একা বাসায় থাকবেম।তাদের ট্রিটমেন্ট, যাবতীয় দেখ-ভাল,উনাদের রান্না করে খাওয়ানো কিছুই হবেনা(উনারা বয়স্ক মুরুব্বি হলেও অনেক কিছু মেইনটেইন করে খাওয়া-দাওয়া,চলাফেরা করেন ডক্টরের পরামর্শে)।যেহেতু আমার পরিবারে আমার কোনো ভাই বোন নেই, আমিই একজন মেয়ে।আর বাবা মাকে নিয়ে যদি স্বামী শশুর শাশুড়ী সহ থাকি অথবা হাসবেন্ড আর নিজের বাবা মা একসাথে থাকি,বাবা যেহেতু এগোনিস্ট বা নাস্তিক চিন্তাধারার মানুষ বাসাতে এমনিতেই আমি ছোট থেকে কখনো ভালো পরিবেশে বড় হইনি।অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,মান-সম্মানহীন কথা বার্তা এসব নিয়মিত পরিবারে;বাসায় বাবা থাকলেই এগুলো উনি করেন।উনার এই নাস্তিকতা বা এগোনিস্ট মানসিকতার একজনকে নিয়ে কোনো পাত্র পক্ষ রাজি হচ্ছেন না আমার পরিবার সহ একসাথে থাকার।যারা রাজি হয়েছিল আমার দ্বিনদারির খবর পেয়ে তারাও সেটার নারাজ হয়েছেন।তাদের সমস্যা ছিল না আব্বু আম্মুকে সাথে নিয়ে থাকার কিন্ত বাবার এসবের জন্যে উনারা একসাথে থাকাটা পছন্দ করছেন না।আর এদিকে আমি বাবা-মা কে ছাড়াও না পারছি আলাদা থাকতে,আমি না থাকলে বয়স্ক মানুষ উনাদের প্রয়োজন কোনো কিছুই ঠিকমত হয়না,আমি একদিন বাসায় না থাকলে ভালো রান্না না খেয়ে পড়ে থাকে(ডক্টরের নিষেধ সেগুলো করা)।এদিকে বিভিন্ন দিক দিয়ে ফেতনা ফাসাদের ভীড়ে আমার নিকাহর অনেক প্রয়োজন ইন শা আল্লাহ।তো সব মিলিয়ে শায়েখ এখন কি করলে উভয় দিক দিয়ে আমার জন্য উত্তম হবে মেহেরবানি করে পরামর্শ দিবেন যেন ভবিষ্যতেও সেরকম টা চালানো যায় ইন শা আল্লাহ। আমি খুব ই পেরেশানিতে আছি।দু'আর আরজি রইল শায়েখ।
জাযাকাল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .
 
সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)
 
 ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
تجب السكني لها عليه في بيت خال
মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৬০৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিবাহের পর স্ত্রীর বাসস্থানের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর দায়িত্ব। 
স্ত্রীর জন্যেও করনীয় হলো স্বামীর সেই বাসস্থানে গিয়ে থাকা।
স্বামীর সন্তুষ্টি চিত্তে অনুমতি ছাড়া এভাবে বাবার বাসায় থেকে যাওয়া জায়েজ হবেনা।
স্বামীর হক আদায় হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পরামর্শ থাকবে, বাসায় কাজের বুয়ার ব্যবস্থা করা।

অথবা আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে (ফুফু বা তার মেয়ে এরকম) কাউকে রেখে দেয়া।

কোনোভাবেই সমাধান না হলে সেক্ষেত্রে আপনি যেভাবে বিবাহের পর বাবার বাসায় থাকতে চাচ্ছেন,বিষয়টি যেনো ভালো ভাবে মেনে নেই,এমন পাত্রের ব্যবস্থার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক সংকটে থাকা ছেলেরা এভাবে স্ত্রীকে বাবার বাসায় রেখে বিবাহে রাজী হয়,দ্বীনদার এমন কাউকে পেলে তাকে বিবাহ করা যেতে পারে।

চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...