আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
শাইখ আমি আপনার থেকে একটা পরামর্শ চাচ্ছি।এই মূহুর্তে আমি এমন কাওকে পাচ্ছিনা যে আমাকে সঠিক পরামর্শটা দিতে পারবেন।

আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৮ মাস।বিয়ের আগে থেকেই আমার স্বামীর একটা মেয়ের সাথে ৫ বছরের হারাম সম্পর্ক। আমার স্বামীর সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ক্লাসে পড়ে ওই মেয়েটা।আমার স্বামীর ডিফেন্স এ অফিসার হওয়ার খুব শখ সেজন্য কাওকে বলেনি ওনার বিয়ে হয়েছে এমনকি ওই মেয়ের সাথেও সম্পর্ক রেখেছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে ওনার বিয়ে হয়েছে।আমি কালকে ওই মেয়ের নাম্বার পেয়ে ওই মেয়েকে ফোন দিলে ওই মেয়ে বলে ৫ বছর থেকে সম্পর্ক। তখন আমি বলি আমার তো ওনার সাথে বিয়ে হয়েছে।এই কথা শুনে ওই মেয়ে আমার স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার কথা বলে।তখন আমার স্বামী আমাকে অনেক রিকুয়েষ্ট করে যাতে আমি বলি আমাদের বিয়ে হয়নি,বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।আমি সেটাই বলি বাধ্য হয়ে।তারপর থেকে নাকি এখন পর্যন্ত ওই মেয়ের সাথে আর কথা হয়নি।


ওই মেয়ে আমাকে বলেছিল আমি যদি বিয়ের প্রমাণ দিতে পারি তাহলে আর সম্পর্ক রাখবেনা।আমার স্বামী আমাকে বলেছিল ওই মেয়ের সাথে আর সম্পর্ক রাখবেনা।আর ১ মাস আছে ওনার পরীক্ষার, তারপর উনি আর আমি ঢাকায় চলে যাব ইনশা আল্লাহ।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এইভাবে মিথ্যা কথা বলা,আর আমার স্বামীকে ক্ষমা করে তার উপর বিশ্বাস রাখা কি আমার ঠিক হচ্ছে??

দয়া করে আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/644

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উচিৎ ছিলো, তাওরিয়াহ করা।অথবা ফোন না করা।যেহেতু ঝামেলা বেধেই গেছে, এবং আপনি মিথ্যা বলে নিয়েছেন, তাই এখন আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করেন। হ্যা, আপনি আপনার স্বামীর প্রতি বিশ্বাস রাখবেন। স্বামীর তো একাধিক বিয়ের অনুমোদন রয়েছে, সুতরাং এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না। হ্যা, স্বামীর উপর ওয়াজিব যে, তিনি হারাম সম্পর্ককে পরিত্যাগ করবেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...