আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি সালাতে দাড়ালে কয় সিজদা দিলাম সেটা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে পড়ে যাই।কয়েক দিন আগে রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হত আর এখন সিজদা নিয়ে বেশি হচ্ছে।বিশেষ করে ফরয নামাজে যখন মনোযোগ আরো বেশি দিই তখনও এই সমস্যা হচ্ছে।আবার কখনো কখনো মানসিক শান্তির জন্য সালাত ছেড়ে দিয়ে আবার শুরু করি তারপর আবার একই সমস্যা হয়।এমতাবস্থায় আমি আমার প্রবল ধারণা বা কনফিডেন্স যা বলে সে অনুযায়ী নামাজ আদায় করে শেষ করি।

১.এতে করে কি নামাজ হচ্ছে আমার??

২.সিজদা সাহু দিচ্ছি না কারণ এই সমস্যা আমার লেগেই আছে তাই।তাহলে কি সিজদা সাহু ছাড়া নামাজ হচ্ছে??

৩.কম সিজদা বা বেশি সিজদা দিলে কি সিজদা সাহু দিতে হয়??

৪.আমি খুতখুতে হয়ে যাচ্ছি আর অল্প তেই মনে হচ্ছে আমার নামাজ হচ্ছে না এই ভুল হচ্ছে অই ভুল হচ্ছে।এভাবে কনফিউজড হয়ে পড়ছি খুব বেশি।এক্ষেত্রে করণীয় কি??

৫.সিজদা আর রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহে পড়লে সিজদা সাহু ছাড়া আত্মবিশ্বাস অনুসারে বা প্রবল ধারনা অনুসারে নামাজ আদায় করতে পারব??

৬.আসরের নামাজ নিষিদ্ধ সময়ে পড়া যাবে???মাঝে মাঝে দুপুরের ঘুমের কারণে দেরি হলে আসরের নামাজ নিষিদ্ধ সময়ে পড়া হয়েছে।এক্ষেত্রে নামাজ কি হয়েছে বা হবে???

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/62231/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ " .

মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন রাকাআত আদায় করা হলো না চার রাকাআত আদায় করা হলো- সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয় রাক’আত আদায় করেছে বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকাআত) সে কয় রাকাআতকে ভিত্তি ধরে অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে। (এখন) সে যদি পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তাহলে এ দু' সিজদা দ্বারা তার সালাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি তার সালাত চার রাকাআত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সিজদা দুটি শয়তানের মুখে মাটি নিক্ষেপের শামিল হবে। (মুসলিম ১১৫৯.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৫২, ইসলামীক সেন্টার ১১৬১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে। 
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবে। 

(০২)
সেজদায়ে সাহু দিতেই হবে।
নতুবা পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
,
এখন পূর্বের নামাজ গুলির যেহেতু ওয়াক্ত শেষ হয়ে গিয়েছে,তাই সেগুলি পুনরায় আদায় করার ব্যাপারে ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ থাকায় সেগুলো আদায় না করলেও পরবর্তীতে যেনো সেজদায়ে সাহু মিস না হয়।
সেদিকে গুরুত্ব দিবেন।

(০৩)
উভয় ছুরতেই সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
সেজদাহ কম হলে উক্ত সেজদাহ আদায়ের পাশাপাশি সেজদায়ে সাহুও আদায় করতে হবে।

(০৪)
এগুলোকে পাত্তা দেয়া যাবেনা।
আর আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
ওয়াসওয়াসা পরিহার করার এটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

(০৫)
না,সেজদায়ে সাহু আদায় করতেই হবে।
নতুবা উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা আবশ্যক হবে।

তবে ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে এই নামাজ পুনরায় আদায় করার ব্যাপারে ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ রয়েছে। 

(০৬)
হ্যাঁ, চলতি দিনের আসরের নামাজ নিষিদ্ধ সময়ে পড়া যাবে।
তবে অন্য কোনো দিনের কাজা নামাজ আসরের পর নিষিদ্ধ সময়ে পড়া যাবেনা।

আপনার যে মাঝে মাঝে আসরের নামাজ নিষিদ্ধ সময়ে পড়া হয়েছে,এক্ষেত্রে নামাজ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
নাম্বারিং করে একাধিক উত্তর লেখার ক্ষেত্রে প্রতি নাম্বারের শুরুতে অতি সংক্ষেপে  প্রশ্ন টি উল্লেখ করে দিলে ভালো হয়। অন্যথায় বারবার উপরে স্ক্রল করে প্রশ্ন দেখে আসতে হয়

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 149 views
0 votes
1 answer 89 views
...