আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম, মুফতি সাহেব, আমি আপনার আগের কয়েকটি ফতোয়ায় দেখেছিলাম যে আপনি বলেছেন কেও শুধু কাফেরের নামে তার পরিচয় দিলে সে কাফের হবে না। সেই জবাব গুলে খুজে না পেয়ে, একটু নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজকে প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু আজকে বললেন যে এতে তারা কাফের হবে বিষয়টি একটু বুঝতে চাইছি। অনেক চিন্তায় আছি এটা নিয়ে।। 

https://ifatwa.info/64861/  (এর তিন নং)


১. অনেক সময় মজা করে অনেক বিধর্মীর নামে অনেকে পরিচয় দিয়ে থাকে, যেমন ভালো ফুটবল খেলার জন্য কাওকে হয়তো কেও মেসি ডাকে, এজন্য সেও নিজেকে খেলার দরুন নিজেকো মেসি নামে পরিচয় দেয়। আবার কেও ভালো লেখালেখি করায় কাওকে কেও রবীন্দ্রনাথ ডাকে তাই সেও নিজেকে মজা করে এই নামে পরিচয় দেয়। বা কোনো নায়কের চেহারার সাথে মিল থাকায় তাকে সেই নায়কের নামে ডাকে সেও নিজেকে সেই নামে পরিচয় দেয়। তখন তো তাদের নিজেকে কাফের বলে পরিচয়ের ইরাদা থাকে না এতেও কি কাফের হয়ে যাবে?

২. বিধর্মীদের নামে / বৃটিশদের ইংরেজি নামে বা সংস্কৃত/ বাংলা নামে আইডি খুললেও কি কাফের হয়ে যাবে?

৩. নাম তো বাংলা হলে হিন্দুর মতো লাগে, আর ইংরেজি হলে খ্রিষ্টান এর মতো লাগে..এখন কেও নিজেকে মজা করে এসব নামে ডাকলেও কুফর হয় যাবে? যেমন ক্রিস গেইল, মার্গারেট, ইত্যাদি 

৪. আমি একদিন  পড়াতে গিয়ে বলেছিলাম আমরা সবাই লেখক (মনে মনে লেখক ভট্টাচার্য নামে একজনের কথা চলে আসে, তবে ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছি কি না মনে নাই) ।  আবার সেদিন একজন বলেছিলো তোমাকে অমুক (কোন বিধমর্ী খেলোয়াড় না নায়কের নাম বলেছিলো মনে নাই)  এর মতো লাগছে। আমিয়ো মনে হয় মজা করে বলেছিলাম যে হ্যা, আমি অমুকই।ধ কি নাম বলেছিলান খেয়ালে আসছে না দুই তিনদিন আগের ঘটনা...

এখন তো হুজুর টেনশনে পরে গিয়েছি অনেক মনে ও নাই কি নাম বলেছিলাম,  আমার কি ইমানে সমস্যা হবে?আমি আপনার ফতোয়া আগে দেখে এতো গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখি নি এখন আপনি অন্য রকম বলায় বড় চিন্তায় পরে গেছি। আগে এমন বলেছিলাম কিনা বা আমার বউ বলেছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। আমি আলহামদুলিল্লাহ ইমান নবায়ন করি ডেইলি, এখন কি করবো?আমার বউ দুরে থাকে, বিবাহ নবয়ান করা কঠিন, এটা কি করতে হবে? না কি আমার ইমান ঠিক আছে

৫. কেও নিজেকে কোনো বিধর্মীর নামে মজা করে পরিচয় দিলে, কিভাবে বুঝবো সে কাফের হয়েছে কি না, একটু জানাবেন কি? বড় টেনশনে পরেছি...

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

কেউ যদি ইচ্ছাপূর্বক ভাবে কোনো বিধর্মীর এমন নামে পরিচয় দেয়, যাহা বিধর্মীদের সাথেই নির্দিষ্ট।
তাহলে তাহা ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
তবে নিজেকে অমুসলিম প্রকাশ করার যেহেতু উদ্দেশ্য নেয়নি,তাই সে কাফের হবেনা।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিলে
সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।
তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।

فتاوی عالمگیریہ:
"مسلم قال: أنا ملحد يكفر، ولو قال: ما علمت أنه كفر لا يعذر بهذا."
(کتاب السیر ،باب احکام المرتدین،ج:2،ص:279،ط:رشیدیہ)
সারমর্মঃ-
কোনো মুসলিম বলেছে যে আমি মুরতাদ, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে যদি সে বলে যে আমি তো জানিনা যে এটি কুফর,তাহলে সেই ওযর গ্রহণযোগ্য হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০২)
না,এতে কাফের হবেনা।
তবে নিজেকে অমুসলিম বলে পরিচয় দেয়ার উদ্দেশ্য থাকা যাবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে কুফর হবেনা।

(০৪)
আপনার ঈমান ঠিক আছে।
ঈমান নবায়ন করতে হবেনা।

(০৫)
বিষয়টির জবাব উপরে উল্লেখ রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...