আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by

১.  আল্লাহর সিফত,  সম্পর্কে কি কি আকিদা রাখা ফরজ?বিভিন্ন আকিদার বিষয় এতো সেনসিটিভ যে একটু ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে, এক্ষেত্রে যেগুলো জানা বাধ্যতামূলক সেগুলোই জানলাম, বাকি আর আগালাম না..এটা সাধারণ মানুষের জন্য উপযোগী নয় কি?

২. কারো যদি মাথায় আসে, হাসি আল্লাহর সিফত হলে, কান্নাও কি আল্লাহর সিফত? তখন সেকি চাইলে এটা ভাবতে পারে?যে এটা জানা তো আমার জন্য দরকার না, এসব না ভাবি...

৩. হাদীসে কুদসী কি আল্লাহর কালাম না মাখলুখ? আর এই বিষয়ে কি ইলম থাকা জরুরী? না কি এইটা আমার আমলের জন্য জানা প্রয়োজন নয় ভেবে স্কিপ করতে পারি?

৪. কেও যদি বলে, "অমুক জিনিস পাওয়ার জন্য সে এতো দোয়া করেছি যে মাঝেমধ্যে তার মনে হয় এটা না পেলে সে নাস্তিক হয়ে যাবে" এতে কি সে কাফের হয় যাবে? ( আসলে তার মাঝেমধ্যে ভাবনায় আসতো যে এটা পায় নি,তার পরে ধর্ম বিমুখ হয়ে গেছে। এর পর হয়তো, মনে মনে এসব ভাবনার জন্য খারাপ লাগতো, ভাবতো এতো বড় মহাসত্য জেনে কি অবিশ্বাস করা যায়? আসলে তখনকার ভাবনা পরিষ্কার মনেও নাইতার) 

বিয়ের আগে বলেছলো কিনা তাও মনে করতে পারছে না কি করনীয়?

৫." বিয়ের ক্ষেত্রে নারী নিজেই পুরুষকে প্রস্তাব দেওয়া সুন্নত" এরকম এ্টি কথা, আমাদের নবী(সাঃ) হাদীস বলে অনলানে শেয়ার করা হচ্ছে এটা কি সঠিক?

ভুল হলে,কেও যদি এটা দেখে তা বিশ্বাস  করে তবে কি তার ইমানে সমস্যা হবে?এক্ষেত্রে কিছু কি করনীয় আছে?

৬. কাওকে কি করছে জিগ্যেস করায় যদি বলে, মসজিদে বসে সুরা মুলক -টুলক পড়লাম। সুরার নামের সাথে এভাবে অন্য নাম যোগে বলায় কি কুফর হবে? ( শব্দ মিলিয়ে মানুষে বলে যেমন ,পথটত, নামাজ টামাজ,এমন বলেছে আরকি, কোনো নিয়তে বলে নি)

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এক্ষেত্রে যেগুলো জানা বাধ্যতামূলক সেগুলোই জানলাম, বাকি আর আগালাম না..এটাই সাধারণ মানুষের জন্য উপযোগী।

(০২)
হ্যাঁ, তখন সে চাইলে এটা ভাবতে পারে, যে এটা জানা তো আমার জন্য দরকার না, এসব না ভাবি।

(০৩)
হাদিসে কুদসি বলা হয়ঃ
যে হাদীসের মূল কথা সরাসরি আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ থেকে এসেছে, সেই হাদীসকেই‘হাদীসে ক্বুদসী’ বলা হয়।

 আল্লাহ তাআ’লার যেই কথাগুলো কুরানুল কারীমের ‘আয়াত’ হিসেবে নাযিল করা হয়নি বরং, আল্লাহ তাআ’লা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নের মাধ্যমে অথবা তাঁর অন্তরে ‘ইলহাম’ করে পাঠিয়েছেন, আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সেই কথাগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে নিজ ভাষায় তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন, সেইগুলোকে হাদীসে ক্বুদসী বলা হয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    

হাদীসে ক্বুদসীর কথাগুলো আল্লাহর, কিন্তু তার ভাষা বা বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে। অপরদিকে, ক্বুরানুল কারীমের আয়াতগুলোর কথা এবং ভাষা – সমস্তটাই স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লার।

হাদীসে কুদসীর শব্দগুলি মাখলুক।

(০৪)
শুধু এতটুকু দোয়া করার দরুন বা মনে মনে ভাবার দরুন সে নাস্তিক হয়ে যাবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য করনীয় হলো এহেন মারাত্মক ক্ষতিকর মূলক বাক্য নিয়ে কোনোদিন না ভাবা,কোনো কিছু না বলা।

(০৫)
বিয়ের ক্ষেত্রে নারী নিজেই পুরুষকে প্রস্তাব দিতে পারে,এটি জায়েজ।
এর স্বপক্ষে হাদীস রয়েছে।

সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)

★তবে এটিই সুন্নাত,এমন দাবী করা সহীহ নয়।

অনলাইনে যেটা শেয়ার হচ্ছে,
কেউ যদি এটা দেখে তা বিশ্বাস করে, তবে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
এক্ষেত্রে তার জন্য করনীয় হলো বিশ্বাস না করা,আর এগুলো শেয়ার না করা।

(০৬)
সুরার নামের সাথে এভাবে অন্য নাম যোগে বলায় কুফর হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে এরকম কোনো কিছু যোগ না করার প্রাক্টিস করার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...