বিয়েতে বর যাত্রীর দাওয়াত খাওয়া কি জায়েজ?

Question

আসসালামু আলাইকুম। বিয়েতে যদি কেউ বর যাত্রীর দাওয়াত দেয় সেই দাওয়াতে যাওয়া কি জায়েজ হবে? আমার আম্মুর খুব কাছের এক আন্টির ছেলের বউভাত এবং বর যাত্রীর দাওয়াত দিছে কয়েকদিন আগে।
১.আমি জানতে চাই এই প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে?

২.যদি আমি আম্মাকে বলি না যাওয়ার কথা কিন্তু উনি যদি জোর করেন তাহলে কি করব?

৩.বউভাতে জাওয়া যাবে কিনা?

৪.একজন দ্বীনি ভাইকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল যেতে কিন্তু মনে ঘৃণা রাখতে।ব্যাপারটা কতটুকু সঠিক?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে, হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা। এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল,
বরযাত্রী ও বউভাত প্রথা, এমন রুসুম রেওয়াজ ইসলাম সম্মত নয়। তাছাড়া এতে ফ্রিমিক্সিং সহ নানাবিধ ইসলাম বিরোধী কাজ রয়েছে,তাই
এগুলোতে শরীক হওয়া কখনো জায়েয হবে না। যদি কেউ যেতে অপারগ হয়, তাহলে আত্মীয়তা রক্ষার স্বার্থে দাওয়াতের নিয়তে সেখানে উপস্থিত হয়েই চলে আসবে। কোনো প্রকার সন্তুষ্টির প্রকাশ করবে না।ইসলাম বিরোধী কোনো কাজে শরীক হবে না। সর্বোত্তম হল, এরকম অনুষ্টানকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা।