আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,শাইখ।

আমি আলহামদুলিল্লাহ শরীয়াহ মেনে চলার চেষ্টা করি,আল্লাহ যতটুকু হিদায়াহ দিয়েছেন। এমনকি মাকরুহ কাজ থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করি,মোটকথা সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকি যেন কোনো শরীয়াহবিরোধী কাজ বা গুনাহ না হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এজন্য।

সম্প্রতি আমি যেটা করি,আল্লাহর কাছে কোনো জরুরি কিছু চাওয়ার পর তা যদি নসিব না হয়,আমি এভাবে আল্লাহর সাথে বলি,"তুমি আমাকে দিলা না যেতে আম্মুর কাছে,দেখা করতে দিচ্ছো না কেন,এতো দুয়া করলাম,তুমি শুনছো না কেন।তুমি আমাকে এতো কষ্ট দিলা? তুমি যদি আমার কথা(দুয়া) না-ই শোনো, তাহলে দুয়া করবো না। তুমিই একমাত্র আমার ডাক শোনার ছিলা,তোমাকে ডাকা তাহলে বন্ধ করে দিবো,দুয়া করব না আর। যদি এমন হয়,নিরাশা আমাকে ঈমান নষ্ট করে দিতে থাকে,বা আমি দ্বীন থেকে দূরে চলে যাই,তখন কি হবে বলো,যেহেতু দুয়া কবুল না হলে মানুষ হতাশ হয়ে দ্বীনহারা হতে পারে।"

এরকম দুইবার হয়েছে। অনেক করে অনেক করে,এতোবার চাওয়ার পরও হালাল দুয়া কবুল হয়নি,আর আমি রাগ দেখিয়েছে,অভিমান করেছি,বলেছি যে,করলা না তো দুয়া কবুল?আচ্ছা ঠিক আছে,আমি আর আশা করবো না। আশাই ছেড়ে দিলাম। এরকম অনুযোগ, অভিযোগ, রাগ,আর অভিমান যদি আল্লাহর সাথে করি,

১)এতে কাফির হয়ে গেছি বা ইমান কি চলে গেছে আমার? ২)আমি বিবাহিতা, তো আমার বৈবাহিক সম্পর্ক কি নষ্ট হয়ে গেছে,যদি ইমানহানি হয়ে থাকে?

 এখন ইবাদাতেও মনোযোগ আসছে না,মনে হচ্ছে,আল্লহ আমার উপর রাগ,তাই দুয়া কবুল করেন না আর আমি যদি যেহেতু রাগ অভিমানে অনেক কথা আল্লাহকে বলি নারাজ হয়ে তার উপর(আস্তাগফিরুল্লাহ) তাহলে আমার ইবাদাতও কবুল না করেন যদি,তাই মনোযোগ আসে না ইবাদাত এ।

1 Answer

0 votes
by (709,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত।
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الِاسْتِعْجَالُ؟ قَالَ: يَقُولُ: قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يُسْتَجَابُ لِي فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ الدُّعاءَ . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার (প্রতিটি) দু’আ কবূল করা হয়, যে পর্যন্ত না সে গুনাহের কাজের জন্য অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য এবং তাড়াহুড়া করে দু’আ করে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেন, (দু’আ করে) এমনভাবে বলা যে, আমি (এই) দু’আ করেছি। আমি (তার জন্য) দু’আ করেছি। আমার দু’আ তো কবূল হতে দেখছি না। অতঃপর সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং দু’আ করা ছেড়ে দেয়। ( সহীহ : মুসলিম ২৭৩৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৮৮১, আল আদাবুল মুফরাদ ৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ৭৭০৫,মিশকাত-২২২৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি দু'আ করতে থাকুন।দু'আ কখনো বিফলে যায় না।হয়তো আপনার দু'আ হুবহু কবুল হবে,নতুবা আল্লাহ আপনাকে কঠিক বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন,অথবা কিয়ামতের দিন আপনাকে সওয়াব আকারে দু'আর প্রতিদান দিবেন।

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
 جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلَّا آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رحم» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন দু’আ করলে আল্লাহ তা’আলা তার হয়ত সে দু’আ কবূল করেন অথবা এরূপ কোন বিপদকে তার ওপর থেকে দূরে সরিয়ে দেন, যদি সে কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের জন্য দু’আ না করে। ( তিরমিযী ৩৩৮১, আহমাদ ১৪৮৭৯, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৩৭৭২, সহীহ আল জামি‘ ৫৬৭৮,মিশকাত-২২৩৬)

বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/67508


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ আমাদেরকে যা কিছু দিবেন, সবই উনার অনুগ্রহ। সুতরাং আল্লাহর উপর রাগ অভিমান কিছুই করা যাবে না। ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন না। যেহেতু না জেনে না বুঝে এগুলো করে ফেলছেন,তাই আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু'আ করুন,এবং তাওবাহ করতে থাকুন। আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...