আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,
সমস্যা টা হচ্ছে আমার নানু আর নানির ,, উনাদের ঘরের পিছনে একটা নারিকেল গাছ ছিলো,সেই গাছ কেটে ঘরের কাজে লাগানো হয়,এর পর থেকে উনাদের সব সময় ওষুখ লেগেই থাকতো ,সব সময় এর জন্য বিশেষ করে ব্যাথা শরীর অনেক ব্যাথা হয়ে থাকতো,, উনাদের ধারনা সেই নারিকেল গাছে জ্বীন জাতীয় কিছু ছিলো ,যারা ওই খানে থাকতো গাছ টা কে বাসা বানিয়ে ,ূ। ,,উনারা স্বপ্নেও দেখছেন এমন ,তার পর উনারা বলেন যে তারা ভুল করছে গাছ টা কেটে ,তার পাশেই একটা বড়ো আম গাছ আছে সেখানে থাকতে বলছে ,এর পর থেকে আর কোন সমস্যা দেখা নেয় নি , কিন্তু উনাদের অসুস্থতা সব সময় লেগে থাকে দুইজন এর ,শরীর সব সময় ব্যথা হয়ে থাকে ,হাতের প্রত্যোকটা রগ দেখা যায় যখন ব্যথা হয়ে থাকে,

এখন সমস্যা হচ্ছে ওই গাছের পাশে যে আর গাছ ছিলো তারা এখন সেখানেই থাকে সম্ভবত ,, কিন্তু সেই আম গাছ অন্য মানুষ এর জমিতে ভাগে পরায় তারা তা রাখবে না কেটে ফেলতে চায় ,গ্রাম এর গ্রাম প্রধান রাও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন গাছ কাটার , কিন্তু নানু নানিরা কাটতে চাচ্ছেন না,যেদিন এই গাছ কাটার আলোচনা করেছিল সেদিন রাতে আমার নানু স্বপ্নে দেখছেন যে একটা সাদা পাঞ্জাবি পাগরি পরা কেউ এসে বলতাছে তাকে যে "আমরা ওই‌ গাছ টাতে থাকি আমাদের থাকার জায়গা টা‌ কাটবেন না আর "

এখন উনাদের কি করা উচিত, গাছ কেটে ফেলবে ?,আর এই কারনেই কি উনাদের অসুস্থতা লেগে থাকে ,,আর যদি এমন টা হয় তাহলে এর কি কোন চিকিৎসা আছে ?  কিভাবে উনারা সুস্থ জিবন পাবেন , সমাধান দিলে খুব উপকৃত হব উস্তায

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনার নানু বাড়ীর লোকদেরকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...