আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by
১.কোনো মানুষ যদি  "বউ কে তালাকের ইচ্ছে নাই " লেখার সময় " ব* কে তালাক " লিখে একটু থাকে ও পরে বাক্য লেখা শেষ করে। তবে এটুক লিখে থামার জন্য বিবাহে কোনো সমস্যা হবে কি ???

২. মনে মনে ইসলাম বিরুধী কথা চলে আসার ধরুন কারো ইমান চলে যায় না, এটা জানার পরেও যদি কেও মন শান্তি করার জন্য কলিমা পড়ে। এবং ভাবে এই কাজে তার ইমানে সমস্যা হলেও তার থেকে বাচার জন্য আবার অর্থাত দুইবার কালিমা শাহাদাত পরে নিবে । এতে কি কুফরের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ পায়? এতে ইমানে সমস্যা হবে?

৩. দত্তক সংক্রান্ত একটি জিজ্ঞেসার ভিডিও দেখে একজনের মাথায় চলে আসে, ছোট বেলায় দত্তক নিলে সন্তানের সাথে পালক পিতা মাতার পর্দার কোনো রুখসত আছে কি না, যদিও সে জানতো যে রুখসত নাই। তার পরেও এমন চিন্তা নিয়া সেই ভিডিও দেখার ফলে কি ইমানে সমস্যা হবে?

৪. হাজির-নাজির আকিদা শরকি আকিদা, একজন আলেম বলিতেছলেন এই আকিদার ইমামের পিছনে নামাজ হবে না। এটা শুনে কারো মনে যদি চলে আসে এটা তো শিরকি আকিদা না। তর খানিক পরে মনে আসে যে এটা সত্যিই শিরকি এতে কি তার ইমানে সমস্যা হবে?

৫. ""ভালো খারাপ সব কিছু আল্লাহর তরফ থেকে আসে"" এভাবে বললে কি আল্লাহ কে খারাপ কাজের পিছনে নিয়ে আসার জন্য কোনো গুনাহ বা কিছু হবে?

৬., ভালো স্বপ্ন আল্লাহর তরফ থেকে আসে আর খারাপ স্বপ্ন আসে শয়তানের তরফ থেকে।  এই কথা মাথায় আসার পর কেও য়দি ভাবে  খারাপ স্বপ্ন শয়তানের থেকে হলেও মূলত তো আল্লাহর আদেশেই হচ্ছে,  এই ভাবনার পরে তার এই ভাবনা সঠিক না ভুল তা নিয়ে চিন্তা হয়, এতে কি তার ইমাানে সমস্যা হবে?

৭. ভালো খারাপ সব কিছু আল্লাহর হুকুমে হয়, এই আলাপের সময় কেও যদি ভাবে খারাপ এর দিকে আল্লাহর নিসবত করবো,এটা ঠিক না ভুল হবে, এটা ভেবে যদি বলে, ভালো সব কিছুই আল্লাহর থেকে হয় তবে কি ইমানে সমস্যা হবে?
৮.কেও যদি ভিন্ন প্রসঙ্গের আলাপে, বউ ছাড়া অন্য কোনো মানুষকে বলে "এতে ১০০ তালা* হবে" /"এতে ১০০ বাইন হবে" এতে কি বিবাহে সমস্যা হবে?(বউ এর দিকে কোনো নিসবত ছিলো না)

৯. কেও লটারি পেলে বা দেখে দেখে পাস করলে বা এইরকম খারাপ কাজ এর ক্ষেত্রে এদের ভাগ্য ভালো বলে ফেললে কি ইমানে সমস্যা হবে?

১০. স্ত্রী যদি স্বামীকে ম্যাসেজে বলে "তুমি আমার জামাই না" এই ম্যাসেজে যদি ভুল করে স্বামীর লাইক পরে যায়, বা স্বামী লাইক দিয়ে দেয়  এতে কি বিবাহে সমস্যা হবে? (বউ এর অনুমতি দেওয়া)

1 Answer

0 votes
by (686,480 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০২)
এতে কুফরের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ পায়না। এতে ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এমন চিন্তা নিয়া সেই ভিডিও দেখার ফলে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
এভাবে বললে মহান আল্লাহ কে খারাপ কাজের পিছনে নিয়ে আসার জন্য কোনো গুনাহ হবেনা।
তবে খারাপ কাজের নিসবত মহান আল্লাহর দিকে করা আদবের খেলাফ। 

(০৬)
এতে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(০৭)
তবে ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(০৮)
এতে বিবাহে সমস্যা হবেনা। 

(০৯)
না,এতে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(১০)
এতে তাদের বিবাহে সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...