আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম, গত মাসে আমার হায়েজের ব্লিডিং ৫ দিনে সেরে ৬ দিন থেকে নামাজ পড়তে পারছিলাম। এই মাসে ৬ দিন পর্যন্ত থেকে ৭ম দিনে সালাত আদায় করেছি। ৭ম দিনের রোজাটাও রেখেছি। এখন সারাদিন যেয়ে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময়ে হালকা লালচে স্রাব দেখেছি। এখন, (১) এরকম দু'একদিন অফ থেকে পুনরায় লালচে স্রাব হলে এই অবস্থায় আমাকে আবারও অপেক্ষা হবে? এবং আগামীকাল ফজরের ওয়াক্তে যদি লালচে স্রাব না দেখি তাহলে তো ফরজ গোসল করেই নামাজ আদায় করতে হবে তাইনা? (২) দশ দিন দশ রাতের ভিতরে এমন হলে তো পুনরায় ফরজ গোসল ছাড়া নামাজ আদায় করা যাবেনা তাইনা?

(৩) তাহলে (৭ম দিনের) আজকে যে রোজাটা রাখলাম এটা পরে আবারও কাযা আদায় করে দিতে হবে?

(৪) রোজা রেখে ফজর গোসল করলে তো গলার ভিতরে এবং নাকের ভিতরে পানি পৌঁছাতে হয়না, তাহলে কি পরবর্তীতে এই গোসল আবারও দোহরাতে হয় নাকি? (মানে যেহেতু রোজা অবস্থায় নাকের ভিতরে ও গলার ভিতরে পর্যন্ত পানি পৌছানো হয়, তাহলে রোজা শেষে এটা আবার পানি পৌঁছিয়ে দিতে হয় কি'না তাই)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৫/৬ দিন হায়েজ আসার পর এরকম দু'একদিন অফ থেকে পুনরায় লালচে স্রাব হলে এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এরকম দু'একদিন অফ থেকে পুনরায় লালচে স্রাব হলে এই অবস্থায় সাদা স্রাব আসার জন্য আপনাকে আবারও অপেক্ষা হবে।এবং আগামীকাল ফজরের ওয়াক্তে যদি লালচে স্রাব না দেখেন,হায়েজ যদি বন্ধ দেখেন, তাহলে ফরজ গোসল করেই নামাজ আদায় করতে হবে। 

(০২)
হ্যাঁ, দশ দিন দশ রাতের ভিতরে এমন হলে পুনরায় ফরজ গোসল ছাড়া নামাজ আদায় করা যাবেনা। 

(০৩)
হ্যাঁ, এটা পরে আবারো কাজা আদায় করে নিতে হবে।

(০৪)
না,পরবর্তীতে এই গোসল আবারও দোহরাতে হয়না 
মুখে পানি নিয়ে সামান্য কুলি ও নাকের ভিতরে সামান্য পানি দেয়াই (আঙ্গুল ভিজিয়ে মুছে নিলেই) যথেষ্ট। 

রোজা শেষে এটা আবার পানি পৌঁছিয়ে দিতে হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (38 points)
জাঝাকাল্লাহু খইর শাইখ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...