আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আস সালামু আলাইকুম,
আমার নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বেবি হওয়ার পর ৫০ তম দিনেও নিফাসের ব্লিডিং বন্ধ হয়নি দেখে একজন গাইনি ম্যাম কে দেখাই। তখন ম্যাম আমাকে পিল দেন। ২১ দিন পিল, ৭ দিন বন্ধ এরকম করে ৩ মাস খেতে বলেন। আমিও এটা মেনে ৩ মাস ওষুধের ডোজ কমপ্লিট করি। ১২ এপ্রিল আমার পিল খাওয়া শেষ হয় আর ১ ৫ এপ্রিল থেকে পিরিয়ড হয়, ৫ দিন পর ১৯ এপ্রিল  থেকে নামাজ শুরু করি।এখন ২৭ এপ্রিল রাত থেকে আবার ব্লিডিং হচ্ছে। আমি প্রথমে ইস্তিহাজা ধরে নামাজ কন্টিনিউ করি।কিন্তু এরপর লক্ষ্য করি যে এই ব্লিডিং এর ক্রাইটেরিয়া  আমার প্রেগ্ন্যাসির পূর্ব পিরিয়ড এর মত( পেটে ব্যাথা,ব্লিডিং এর ধরন,ফ্লো সব)।এজন্য ২৯ এপ্রিল ফজর থেকে নামাজ বন্ধ পড়া বন্ধ করি। যেহেতু হানাফি মাজহাব ফলো করি আর হানাফি মাজহাব অনুযায়ী পবিত্রতা মিনিমাম ১৫ দিন থাকা লাগে এখন আমি কনফিউশান এ পড়ে যাই।পিরিয়ড দেখে  নামাজ বন্ধ রাখি।৩দিন ব্লিডিং হয়ে নরমাল পিরিয়ড শেষ হলে যেমন স্রাব আসে  তেমন সাদা স্রাব আসে।তখন আবার নামাজ শুরু করি। পরবর্তীতে ৮ মে আবার একদম পিরিয়ড এর  ব্যাথা,ব্লিডিং,ফ্লো সহ পিরিয়ড শুরু হয়।৬ দিন পর পবিত্র হই আবার সাদা স্রাব আসে।   শাইখ  আমার এখন এই সিচুয়েশনে   কি করা দরকার একটু বলে দিলে খুব ভালো হয়।আমি ইস্তিহাজার ব্লিডিং আর পিরিয়ড এর ব্লিডিং আলাদা বুঝতে পারছি।  নামাজ গুলো বাদ দিলাম পিরিয়ড হচ্ছে দেখে। বাদ দিয়ে কি ভুল করেছি?
[[
এটা আমার প্রথম নিফাস ছিল এবং ৪০ দিন পর থেকে নামাজ শুরু করেছিলাম।
নরমালি হায়েয ৬/৭৷ দিন থাকত)

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন! 
১৫ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন হয়। যা হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ।এখন এই রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা ধরে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 233 views
0 votes
1 answer 47 views
...