আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
reshown by
*একটু দ্রুত উত্তর দিলে ভালো হতো *
হায়েজের লাল রক্ত আসার দশদিন আগে থেকে আমার হলদে স্রাব আসছিলো যে কারণে আমি কনফিউজড হয়ে একদিন রোজা ভাঙি, কিন্তু তারপরের দিন থেকে রোজা কন্টিনিউ করতে থাকি কারণ আমার অভ্যাস এমন না আর আমার মনে হচ্ছিলো কোনো এক ওষুধ খাওয়ার কারণে এমন হলুদ স্রাব আসছে। তারপর ২-৩ চলে যাওয়ার পর আর ১০ দিন পর লাল স্রাব আসায় নিশ্চিত হলাম সেটা হায়েজ না, তাহলে কি আমাকে সেই এক দিনের রোজার কাফফারা আদায় করতে হবে নাকি কাযা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে?

আর হায়েজের লাল স্রাব বন্ধ হওয়ার ৮ দিনে এসেও আমি সেই হলুদ হলুদ স্রাব দেখছি, আজকে ফরজ গোসল করে ফজরের নামাজও আদায় করেছি,এই অবস্থায় কি ১০দিন পর্যন্ত দেখবো হলুদ স্রাব দূর না হওয়া পর্যন্ত নাকি ওষুধের প্রতিক্রিয়ার কারণে এমন হচ্ছে ভেবে রোজা আর নামাজ কন্টিনিউ করবো? ( যদিও ওষুধের ব্যাপারটা আমি নিশ্চিত না কিন্তু হায়েজের ১০ দিন আগের হলুদ স্রাব দেখে এটা মনে হচ্ছে)
by (17 points)
দুই হায়েজের মাঝে  দেড় মাসের মতো বিরতি ছিলো। ৭তারিখ থেকে আমি এমন হলুদ হলুদ স্রাব দেখি যা ছিলো ১৭ তারিখ পর্যন্ত এবং তারপর লালস্রাব আর ব্লিডিং হয় টানা ৬ দিন অর্থাৎ ২৩ তারিখ পর্যন্ত, তাহলে এই যে আমি ৭তারিখ থেকে ১৭ তারিখ হায়েজ না মনে করে রোজা রাখি আর পরবর্তীতে হায়েজ ধরে রোজা ভাঙি আর নামাজ না আদায় করি এক্ষেত্রে কি আমাকে মোট ১৭টা রোজা কাযা আদায় করতে হবে? ১০ দিন বাদে বাকি দিনের নামাজও কাযা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম   


প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা ৩ তিন,আর  সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

আরো জানুনঃ- 

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
""হায়েজের লাল রক্ত আসার দশদিন আগে থেকে আমার হলদে স্রাব আসছিলো""

এই যে আপনার হলদে স্রাব আসছিলো,এটা আপনার আগের হায়েজ বন্ধ হওয়ার কতদিন পর?
যদি আগের হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে মোট ১৫ দিন হিসেব করার পর ১৬ তম দিনে বা তার পরে এই হলুদ স্রাব এসে থাকে,তাহলে সেটিকেই হায়েজ হিসেবে ধরতে হবে।

আর যদি সেটি আপনার আগের হায়েজ বন্ধ হওয়ার ১৫ দিন আগেই আসে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা।
এক্ষেত্রে যেই রোযা আপনি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন,সেটির কাজা আবশ্যক হবে,কাফফারা নয়। 

এই হলুদ স্রাব চলমান থেকে থাকলে হায়েজ শেষ ১৬ তম দিন থেকে আপনাকে হায়েজ ধরতে হবে।

এভাবে চলমান থাকলে হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা শেষ হওয়ার পর থেকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা পূর্ণ ভাবে আদায় করতে হবে।
(নামাজ রোযা মিস হলে সেগুলির কাজা পরবর্তীতে আদায় করবেন।) 

হায়েজ মনে করে কোনো রোযা ভেঙ্গে ফেললে সেটির শুধু কাজা আসবে,কাফফারা নয়।

আরো জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...