আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (43 points)
আসসালামু আলাইকুম

১) কাফের এবং মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য কি?

২) হিন্দু, ক্রিস্টান,বৌদ্ধ এরা যদি মনে করে স্রষ্টা একজন আছেন কিন্তু আল্লাহকে তারা বিশ্বাস করে না সম্ভবত, তাহলে কি তারা মুশরিক বা কাফের?

৩) কেউ যদি এমন মনে করেছে স্রষ্টা একজন আছে তাহলে তাদেরকে কে কাফের বা মুশরিক বলা যাবে?

৪) হিন্দু, ক্রিস্টান,বৌদ্ধ এদেরকে মুশরিক বলা যাবে?

৫) হিন্দু, ক্রিস্টান,বৌদ্ধ এদেরকে কাফের বলা যাবে?

৬)আল্লাহ কে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে সে কি কাফের হয়ে যাবে?  মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে সে কি কাফের হয়ে যাবে?

৭) ৬ নং প্রশ্ন অনুযায়ী কেউ এভাবে আল্লাহ ও মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি  করলে, তার শাস্তি কি? সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের কি করণীয়?

৮)  ফেসবুকে বা ইউটিউবে অনেক সময় দেখা যায় কেউ, আল্লাহ ও  মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি করতেছে তখন আমার করণীয় কী? এগুলো  বেশি ইউটিউবে কমেন্ট সেকশনে দেখা যায় এবং সেক্ষেত্রে ব্যক্তি ফেক আইডি ইউজ করে।

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (713,720 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১) কাফের শব্দটি ব্যাপক। সকল প্রকার অমুসলিমকেই কাফির বলা হয়। এবং মুশরিক শব্দের অর্থ হল, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে।  কাফির আর মুশরিক, সবার স্থানই জাহান্নাম।

(২) হিন্দু, ক্রিস্টান,বৌদ্ধ এরা যদি মনে করে স্রষ্টা একজন আছেন কিন্তু আল্লাহকে তারা বিশ্বাস না করে সম্ভবত, তাহলে তারা কাফের হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩) কেউ যদি এমন মনে করে যে, স্রষ্টা একজন আছেন, তাহলে তাকে পরবর্তী প্রশ্ন নবী সম্পর্কে করা হবে। যদি তারা নবীকে অস্বীকার করে, তাহলে তারাও অমুসলিম হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৪) হিন্দু, বৌদ্ধ এদেরকে মুশরিক বলা যাবে।তবে খৃষ্টানদেরকে কুরআনে মুশরিক বলা হয়নি।

(৫) হিন্দু, ক্রিস্টান,বৌদ্ধ এদেরকে কাফের বলা যাবে।

(৬)আল্লাহকে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে সে কাফের হয়ে যাবে। মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে সেও মুরতাদ/কাফের হবে।

(৭) ৬ নং প্রশ্ন অনুযায়ী কেউ এভাবে আল্লাহ ও মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি  করলে, সে মুরতাদ/কাফির হয়ে যাবে। 

(৮)  ফেসবুকে বা ইউটিউবে অনেক সময় দেখা যায় কেউ, আল্লাহ ও  মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি করতেছে তখন আপনার উচিৎ, এ পোষ্টকে এড়িয়ে চলা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...