আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)

১.৩. জানার জন্য প্রশ্ন কোন  মেয়ের যদি বাবার অনুমতি ছাড়া বিয়ে হয় কিন্তু সেখান থেকে তালাক হয় না। মেয়েটা প্রথমে মাযহাব সম্পর্কে না জানলেও পরবর্তী তে আহলে হাদিসের মত মানে এবং তার বাবার অনুমতি তে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু সেই ছেলে কোন মাযহাবের অনুসরণ করে না। তার বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় এমন মত থাকলে কি তাদের বর্তমান বিয়ে হয় নাই বা তালাক হবে? পুরোটাই জানার জন্য প্রশ্ন। মেয়েটার সাথে এমন কিছু হয় নাই। এই প্রশ্ন করায় আপনারা উত্তর দিয়েছেন কওমি মাদ্রাসায় প্রশ্ন করতে। আমার পক্ষে কওমি মাদ্রাসায় প্রশ্ন করা সম্ভব না।  দয়া করে বেয়াদবি নিবেন না  শায়েখ। আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। আমি আগের উত্তর খুজে পাচ্ছি না।  দয়া করে আমাকে আবার উত্তর টা দিবেন?  আমি আর বিরক্ত করবো না।  প্লিজ শায়েখ

 

২. শায়েখ আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার পর ইজাব কবুলের মাসআলা পড়ে ওয়াসওয়াসা আসতো এবং আপনাদের কাছে প্রশ্ন করায় আপনারা উত্তর দিয়েছেন কোন সম্যসা নেই আমার এখন কার বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।  শায়েখ এখন এই লিংকের https://ifatwa.info/73390/ ৩নং প্রশ্ন ও আপনারা যে উত্তর দিয়েছেন প্রশ্নটা  যা জানার জন্য করা হয়েছিল তা তে কি আমার এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা হবে?  আমার বৈবাহিক জীবন তো শুদ্ধ? 

৩. আপনারা উত্তর দিলে কি কওমী মাদ্রাসায় যাওয়া লাগবে? আসলে এমন তো কিছু হয় নাই। কওমি মাদ্রাসায় প্রশ্ন করা তো আমার পক্ষে কঠিন। আমার স্বামী তো কিছু জানে না আমার এসব ওয়াসওয়াসার বিষয়ে।

৪. আমার বৈবাহিক জীবন তো শুদ্ধ তাই তো শায়েখ? 

 

আমি আর এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করবো না্।  আল্লাহ আপনাদের রিজিক বৃদ্ধি করুণ। আপনার অনেক সাহায্য করেছেন। দয়া করে আরেক বার সাহায্য করুণ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে।

1 Answer

0 votes
by (678,760 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهَا، فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ»، ثَلَاثَ مَرَّاتٍ «فَإِنْ دَخَلَ بِهَا فَالْمَهْرُ لَهَا بِمَا أَصَابَ مِنْهَا، فَإِنْ تَشَاجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ»

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে মহিলাকে তার অভিভাবক বিয়ে দেয়নি, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। এরপর স্বামী যদি তার তার সাথে মিলামিশা করে তবে সে মহরের অধিকারী হবে স্বামী তার সাথে [হালাল পদ্ধতিতে] মেলামেশা করার কারণে। আর যদি তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়, তবে যার অভিভাবক নেই, বাদশাই তার অভিভাবক বলে বিবেচিত হবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৮৭৯, সুনানে তিরামিজী, হাদীস নং-১১০২, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৯}

আরেক হাদীসে এসেছে-

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا مَمْلُوكٍ تَزَوَّجَ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ، فَهُوَ عَاهِرٌ»

অনুবাদ- হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে গোলাম মনীবের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে তাহলে সে জিনাকারী। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৭৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪২১২, সুনানে দারামী, হাদীস নং-২২৭৯, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১১১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২৭০৫}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে ইমাম শাফেয়ী রহঃ অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ে ছেল উভয়েই বিবাহের সময় যেহেতু মাযহাব মানেনি (তারা হানাফি মাযহাব অনুসারী নয়) ,তাদের এই অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

(০২)
ঐ প্রশ্নতো শুধু জানার জন্য করেছিলেন।
এটি তো আপনার জীবনের সংঘটিত বিষয় নয়,তাই 
আপনার এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।

(০৩)
না,কওমি মাদ্রাসায় যেতে হবেনা।

(০৪)
আপনার বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।
আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...