আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.একটা বিষয় নিয়ে আমি অনেক টেনশন আছি .একটু বিস্তারিত উত্তর দেবেন যদি বিয়ে না হয় থাকে তাইলে কোন কোন বিষয়ে বিয়েটা হয় নি..আমি অনেক টেনশন এ আছি . সব সময় বুকের মধ্যে ধুকবুক করছে . বিষয়টা কাউকে খুলে বলতে পারছি না .মনের মধ্যে শুদু এই বিষয় নিয়ে তোলপাড় চলছে .আমি একসময় একটা মেয়ের সঙ্গে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম.. আলহামদুলিল্লাহ এখন নেই. এখন দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করি . হারাম সম্পর্ক থাকা কালে আমি আর ওই মেয়ে ফোনে অডিও কল এ কথা বলার সময় ইজাব জাতীয় কোনো কথা বলেছিলাম কিনা বা এমনকোন কথা বলেছি কিনা যা দিয়া ইজাব বুজায় আমার নিশ্চিত মনে নেই কিন্তু আমি ৩ বার কবুল বলেছিলাম আর ওই মেয়ে ৩ বার কবুল বলেছিলো.ওই সময় আমার রুমে ২ জন ছেলে ছিলো  . ছেলে গুলাকে  ওই মেয়ে  নামে জানতো কিন্তু কখনো তাদের  দেখা হয় নি আর ওই মেয়ে মেসে ছিলো হয়তো সম্ভবত তার২ টা রুমমেট মেয়ে রুমমেট ছিলো .মেয়ে এর রুমমেট এর মধ্যে একটা মেয়ের সঙ্গে আমি কথা বলেছি কিন্তু কখনো দেখা হয়নি.আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে ওই মেয়েটা হয়তো বাসায় ছিলো ..এখন আমাদের বিয়ে হয়েছে কিনা???আমার কিছু দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি  আমি যত ধুর জানি মোবাইলে বিয়ে জায়েজ নেই যদি ওয়াকিল না থাকে .আমার যত মনে পড়ে আমি কাউকে কোনো ওকিল বানাই নি কিন্তু ভয়ে এর জায়গা যে আমি ওর রুমমেট এর সঙ্গে মাঝে মাজে কথা বলতাম তাই সে এমনি ওকিল হয়ে গেছে আবার আমার ২ রুমমেট কে জানত ওই মেয়ে তাই আমার রুমমেট ২ টা ওকিল হয় গেছে আমার  ছেলে ২ টা রুমমেট ছিলো তার একজনের কাছে আমি শুনছি এই বিষয় শে বলেছে তার যত দুর মনে পড়ে সে এইরকম কথা শুনিনি যে আমি কবুল বলেছি বা তাকে বিবাহ কোনো প্রস্তাব দিচ্ছি এখন আমার ভয় যে হয়তো আমার আরেক রুমমেট শুনছে এবং ওই মেয়ের ২ রুমমেট মেয়ে শুনছে তাই হয়তো বিবাহ হয়ে গেছে .আবার ধরলাম আমার ২ রুমমেট আমার কথা শুনছে কিন্তু ওই মেয়ের কথা তো শুনার কোনো প্রশ্নই আসে না.কিন্তু তাই ভয় করছে. আমার দুই রুমমেট আমার কথা শুনে নি কিন্তু হয়তো ওই মেয়ে ওই সময় বাড়ী ছিলো এবং ওর পাশে ওর ভাই ছিলো যে ক্লাস ৮ তে পড়ত কিন্তু একজন এ সাক্ষী হয় না আর অন্য কেউ থাকলেও আমার কথা তো শুনার প্রশ্নই আসে নি .আমার যে দিকগুলো বিয়ে না হওয়ার পক্ষে আমি সেইগুলা তালকে তিল বানাচ্ছি আর যেই গুলা বিয়ে হওয়ার পক্ষে সেই গুলা তিল কে তাল বানাচ্ছি .আমি মনকে এত বুজ দিচ্ছি যে মোবাইলে বিয়ে জায়েজ নেই ওকিল বাদে কিন্তু ভয় হচ্ছে যে যেহেতু আমার পাশের ছেলে কে মেয়ে জানতো বা আমি মেয়ের পাশে কে তাকে জানতাম তাই তারা এমনি ওকিল হয়ে গেছে .. আবার মনে হচ্ছে যে মোবাইলে যদি বিবাহ জায়েজ হয় তাইলে তো আমি শেষ আমার মনে হচ্ছে আমি ইজাব করেনি কিন্তু অনেক আগের তাই ভয় করছে আবার সাক্ষী থাকার মধ্যে আমার ২ টা ছেলে রুমমেট আর ওই মেয়ের ২ টা মেয়ে রুমমেট  কিন্তু আমার ছেলে রুমমেট  গুলা ঐরকম কিছুই  শুনেছে কিনা মনে করতে পারছে না আর ওই মেয়ের কথাতো আমার রুমমেট এর শুনার প্রশ্নই আসেনা আর যদি আমার আর ওই মেয়ে একে ওপরের রুমমেট কে চিনলেও ওকিল না হয় তাইলে তো বিবাহ হয় নি আবার ভয় হচ্ছে যদি ফোনে বিবাহ জায়েজ হয়ে যায় ওকিল বাদেই. আবার ভয় হচ্ছে আমার পাশের ২ রুমমেট কোনো শুনেছে কিন্তু মনে করতে পারছে না কিন্তু ওই পাশে এমন কেউ শুনেছে কিনা যাতে সাক্ষীর সর্ত পূর্ন হয়ে গেছে .কিন্তু ওই মেয়ে পাশে এমন কেউ থাকার কথা না . কারণ যত দুর মনে পড়ে আমরা কেউ ই বিয়ের নিয়তে ঐগুলা বলেছিলাম না.ওই সময় আহলে হাদিসের ভক্ত ছিলাম তাই ভয় হচ্ছে যে তাদের কোনো নিয়মে বিবাহ হয়ে যাচ্ছে কি না তারা মোবাইল বিয়ে জায়েজ বলে কি কিন্তু আমি আজ অনেক মাস যাবত ওদেরকে তেমন ভালো লাগে না তাই হানিফী মাজাবকে ফলো করার চেষ্টা করি কারণ আমাদের দেশ এ হানাফী আমাদের এলাকায় হানাফী মাযহাব চলে .আমি নিজেই ভাবলে বুঝতে পারছি এই বিয়ে হয়নি কিন্তু আমার শুধু ভয় হচ্ছে যদি কোনো কারণে বিবাহ হয়ে যায় যদি কোন ফাঁক ফোকর দিয়ে বিয়ে হয়ে যায় .সব থেকে বড় আশা যে ফোনে এইভাবে বিবাহ হয় না কিন্তু ভয় হচ্ছে যদি কোনো কারণে ফোনে বিবাহ জায়েজ হয়ে যায়. ফোনে বিবাহ নাজায়েজ সেইটা আমার জন্য প্রযোজ্য কিনা যেহেতু ওই সময় আমি আহলে হাদিস এর ভক্ত ছিলাম. নিজে নিজে ব্যাখ্যা করছি তখন মনে হচ্ছে বিয়ে হয় নি কিন্তু ভয় কাটছে না . খাইতে গেলে নামাজ পড়তে গেলে এই বিষয় মনে পড়ছে . তবে অনেকদিন আগের কথা তো কিন্তু একটা বিষয় ১০০ % সুরে ফোনে অডিও কলে কথা বলেছিলাম

বেয়াদবি মাফ করবেন তবে ব্যাখ্যা সহ উত্তর দেবেন কোন কোন কারণে বিবাহ হয় নি যাতে আমার সন্দেহ দুর হয়.

1 Answer

0 votes
by (678,560 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]


قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনিও কাউকে উকিল বানাননি,যেই উকিল সরাসরি সেই মেয়েটির কাছে গিয়ে সরাসরি আপনার পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করবে,আর সেই মেয়েটিও কাউকে উকিল বানায়নি,যেই উকিল সরাসরি সেই মেয়েটির পক্ষ থেকে আপনার কাছে এসে সেই মেয়ের পক্ষ হতে আপনাকে সরাসরি বিবাহের প্রস্তাব পেশ করবে,সুতরাং মোবাইলের মাধ্যমে হওয়া এই বিবাহ শুদ্ধ হয়নি ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...