আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
السلام عليكم و رحمة اللہ وبركاته

আমার বিয়েতে বাবা উকিল হিসেবে প্রস্তাব পেশ করে, আমি কবুল বলি।

সে সময়ে আমার রুমে বাবা আর চাচা উপস্থিত ছিলেন, দুলাভাই গাইরে মাহরাম হওয়ায় রুমের বাইরে (পর্দার অপরপাশে) অবস্থান করেছিলেন, তিনিও সাক্ষী হিসেবে এসেছিলেন। তিনি প্রস্তাব পেশ করা শুনতে পেলেও কবুল বলাটা শুনেননি। বাবা আর চাচা শুনেছেন।

বিয়ে যেহেতু মসজিদে হয়েছে, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তার আগে বাবা ইযন নিয়ে যান।

এমতাবস্থায় বিয়েটি শুদ্ধ হয়েছে কি না জানতে চাই। যেহেতু একজন সাক্ষী কবুল বলাটা নিজ কানে শুনেননি, দেখেনওনি শুধু প্রস্তাব পেশটুকু শুনেছেন।

শুদ্ধ না হয়ে থাকলে করণীয় কী? কীভাবে শুদ্ধ করে নিতে পারি? সে পর্যন্ত কি আমাদের পারষ্পরিক যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে? এর কারণে আমাদের কি যিনার গুনাহ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (678,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

এক্ষেত্রে আপনার থেকে অনুমতি নেয়ার সময় সেখানে সাক্ষীর উপস্থিতি জরুরী নয়।

আপনার বাবা একাই আপনার অনুমতি নিতে পারে। সেখানে কাহারো উপস্থিতি আবশ্যক নয়। 

এক্ষেত্রে আপনার বাবা যেহেতু আপনার অনুমতি নিয়ে মসজিদে গিয়ে পাত্রকে আপনার পক্ষ হতে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করেছে,বা কাজী সাহেব/হুজুরকে দায়িত্ব দিয়ে তার মাধ্যমে পাত্রকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করিয়েছে,আর পাত্র সেখানে উপস্থিত একাধিক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম সাক্ষীদের সামনে কবুল বলেছে,সুতরাং উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। 

ومن امر رجلا بأن يزوج ابنته الصغيرة، فزوجها والأب حاضر بشهادة رجل واحد سواهما جاز النكاح (هداية، كتاب النكاح-2\3-7، الدر المختار مع الشامى-4\94، هندية-1\268)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার ছোট মেয়ের বিবাহের জন্য একজনকে আদেশ করে,তারপর সে তার ছোট মেয়েকে বিবাহ দিয়ে দেয় তার বাবার উপস্থিতিতে,তাদের দুইজন ব্যাতিত আরো একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে।
তাহলে এই বিবাহ হয়ে যাবে।  
 
আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...