আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১. কোনো সামর্থ্যবান ব্যক্তি বিয়ের যদি চাহিদা না থাকে এক্ষেত্রে বিয়ে না করলে কি গোনাহগার হবে?

২. কারো বিয়ের কথা মাথায় আসলে মাথায় আজেবাজে চিন্তা আসে যেমন কোনো মেয়েকে নিয়ে জেনার চিন্তা আসে এক্ষেত্রে কেউ যদি নিয়ত করে যে বিয়ে করবে না তাহলে কি গুনাহ হবে?এছাড়া কারো যদি দ্রুত বিয়ে করা সম্ভব না হয় এবং বিয়ের কথা ভাবতে গেলে  নিশ্চিত জেনা সহ অন্যান্য গুনাহে জড়িয়ে পরার আশংকা হয় এক্ষেত্রে কেউ বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেয় তার কি গুনাহ হবে?

৩. ফরজ নামাজে কেউ সালাম ফেরানোর পরের কোনো আরবি দোআ পড়ে ফেললে কি নামাজ বাতিল হবে? যেমন " আল্লাহুমা আ ইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক" আমি দুইটা ফরজ নামাজের একটাতে এ দুআর ভুলে আলা পর্যন্ত আরেকটাতে ইন্নি পর্যন্ত পড়ে ফেলেছিলাম। সেই নামাজ গুলো কি কাজা করতে হবে।এছাড়া  কুরআন হাদীসের অন্য কোনো দুআ কি ফরজ নামাজে পড়া যাবে?

৪. বিদায়ের সময় সালাম দেওয়া ও মুসাফাহ করলে কি বিদআত হবে?মুসাফাহ ও কুলাকুলি করার সুন্নত পদ্ধতি কি।

৫.একটা হাদীসে দেখেছিলাম রাসূল সা ফরজ নামাজে ইকামাতের সাথে সাথে না দাড়িয়ে ধীরে ধীরে দাড়াতে বলেছিলেন। অনেককে দেখি হাইয়্যা আলাস সালাহ বলার সময় দাড়ান এটাকি সুন্নাহ?

৬.চোখে সুরমা লাগানোর কি নির্দিষ্ট কোনো সময় আছে নাকি দিনে রাতে যখন ইচ্ছা যতবার ইচ্ছা লাগানো যাবে?

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১) কোনো সামর্থ্যবান ব্যক্তির বিয়ের চাহিদা না থাকলে,এবং গোনাহে জড়িত না হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত থাকলে, তিনি বিয়ে না করেও থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে উনি গোনাহগার হবেন না। যদি বিয়ে না করা সুন্নতের খেলাফ।

(২) কারো বিয়ের কথা মাথায় আসলে মাথায় আজেবাজে চিন্তা আসে যেমন কোনো মেয়েকে নিয়ে জেনার চিন্তা আসে এক্ষেত্রে কেউ যদি নিয়ত করে যে বিয়ে করবে না, তাহলে গুনাহ হবে না,যদি গোনাহে জড়িত না হওয়া নিয়ে তিনি নিশ্চিত থাকেন। তবে বিয়ে করা সুন্নত।

(৩) ফরজ নামাজে তাসবিহাতের জায়গা সমূহে আপনার বর্ণিত কুরআন হাদীসে উল্লেখিত আরবী দু'আ পড়া যেতে পারে।তবে কিরাতের মূহুর্তে কিংবা তাশাহুদ পড়ার সময়ে উক্ত দু'আ পড়া যাবে না।পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/185

(৪) বিদায়ের সময় সালাম দেওয়া ও মুসাফাহ করা যাবে। বিদআত হবে না। উত্তম হল, এই দু'আ পড়া,যা নিম্নোক্ত হাদীসে এসেছে,

সালেম ইবন আব্দুল্লাহ ইবনে উমার হতে বর্ণিত, সফরকারীকে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলতেন, 
وَعَن سَالِمِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ: أنَّ عَبدَ اللهِ بنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، كَانَ يَقُولُ للرَّجُلِ إِذَا أرَادَ سَفَراً: اُدْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَدِّعَكَ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُوَدِّعُنَا، فَيَقُولُ: أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكَ، وَأمَانَتَكَ، وَخَواتِيمَ عَمَلِكَ . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। সুতরাং তিনি বলতেন, ’আস্তাউদি’উল্লা-হা দ্বীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা ’আমলিক।’ অর্থাৎ তোমার দ্বীন, তোমার সততা এবং তোমার কাজের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম। (সুনানে তিরমিযী -৩৪৪৩)

মুসাফাহ দুনু হাত দ্বারা করা উত্তম।তবে একহাতেও জায়েয।এবং কুলাকুলি একবার করা সুন্নত। একের অধিক করা বিদ'আত। 

(৫) ফরজ নামাজে ইকামাত শুরু হওয়ার পূর্বে সবাইকে দাড়াতে হবে। দাড়ানো মুস্তাহাব।
হাইয়্যা আলাস সালাহ বলার সময় ইমাম সাহেবের জন্য তাকবীরে তাহরিমা বলার কথা কিছু কিছু কিতাবে বর্ণিত থাকলে সর্বোত্তম মতামত হল, ইকামত শেষ হওয়ার পরই ইমাম সাহেবে রাকাত শুরু করবেন।
:وشروع الإمام في الصلاة مذ قیل قد قامت الصلاة (تنویر الأبصار: ۲/۱۷۷، شامي) ..... ولو أخر حتی أتمھا لا بأس بہ إجماعًا.....لأن فیہ محافظة علی فضیلة الموٴذن وإعانة لہ علی الشروع مع الإمام (۲/۱۷۸، شامي زکریا)
(৬)রাতে চোখে সুরমা লাগানো সুন্নত। প্রত্যেক চোখে তিনবার লাগানো সুন্নত।অথবা ডান চেখে তিনবার এবং বাম চোখে দুইবার সুরমা লাগানোই সুন্নত, এভাবে যে,প্রথমে ডান চোখে দুইবার তারপর বাম চোখে দুইবার এবং শেষে শুধুমাত্র ডান চোখে একবার।
(ابن عباس) أنّ النبي صلی اللہ علیہ وسلم کانت لہ مکحلة یکتحل بہا کل لیلة، ثلاثة في ہذہ وثلاثة فی ہذہ․ رواہ الترمذی، وعنہ قال: کان النبی صلی اللہ علیہ وسلم یکتحل قبل أن ینام بالإثمد ثلاثًا في کل عین․ مرقاة المفاتیح، کتاب اللباس، باب الترجل ۸/۳۰۹، ط: فیصل/ دیوبند


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,080 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (34 points)
হুজুর আমার ৫নং প্রশ্নটা বসা থেকে উঠে দাড়ানো নিয়ে।অনেক মুসল্লি ও ইমাম সাহেব ইকামাতের সময় হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় উঠে দাড়ান।তারা নামাজ অবশ্য ইকামাতের পরেই শুরু করেন। এখন বসা থেকে উঠে দাড়ানোর এই সময়টা কি সুন্নাহ।অনেকে মাসজিদে ঢুকে সময় কম থাকলে বসে পড়েন সাথেসাথে আর হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় উঠে দাড়ান।এটা কি হুজুর সুন্নাহ।

জাঝাকাল্লাহু খইর হুজুর

by (714,080 points)
না, এটাকে সুন্নাহ বলা যাবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...