আসসালমুআলাইকুম হুজুর, আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী।
১. হুজুর আমার প্রিয় নবী সাঃ কে নিয়ে মাঝে মাঝে খারাপ চিন্তা চলে আসছে , আমি মনের সাতে লড়াই করে যাচ্ছি। যখন ই আমার লিঙ্গে হাত ঠেকছে তখনি নবী সাঃ এর (লিঙ্গের) কথা মনে হচ্ছে আস্তাগিরুল্লাহ।
হুজুর এই সব বাজে চিন্তা চলে আসছে, আমি শরীর এ কোথাও ভয় এ হাত দিতে পারছিনা, বাথরুম যেতে পারছিনা , বাথরুম এ গিয়ে নানা রকমের বাজে চিন্তা চলে আসছে। ওই সব মনে হচ্ছে, আকাশের দিক তাকিয়ে অন্য মনষ্ক হয়ে বাথরুম যাচ্ছি, বাথরুম এ মনে হচ্ছে আস্তাগিরুল্লাহ পড়ছি আর তৌবা করছি। তার পর আমার ভেজা পা এর ছাপ যেখানে পড়ছে মনে হচ্ছে নবী সাঃ এর পা এর ছাপ আস্তাগিরুল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে পা দিয়ে মুছে ফেলেছি সেই ছাপ । আল্লাহ কসম হুজুর এমনি এমনি চলে আসছে এইসব ভাবনা । , আমি তওবা করছি খুব ভয় হচ্ছে , হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
২. একটা বাচ্চা ছেলে বলছে আমার রোজা করতে ভালো লাগে না , আমি এ কথা শুনে বললাম এমন বলতে নেই, সে বুঝতে পারেনি দিয়ে আমি বললাম রোজা করতে ভালো লাগে না এমন কথা বলতে নেই।
হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৩. আমার স্ত্রী র সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিলো সে আল্লাহ কে বলছিলো আল্লাহ গো একটু গরম কমিয়ে দাও, আমিও সেই টাইম এ ফোন রাখার জন্য বললাম " ঠিক আছে " সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো সে তো আল্লাহ কে ডাকলো বললো গরম কমিয়ে দাও আমি বললাম ঠিক আছে এমন বাজে ধারণা মনে হয়ে জাই। আমি আসলে ফোন রাখার জন্য বলেছিলাম "ঠিক আছে।" হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৪. হুজুর মনে মনে শুধু বলছি আল্লাহ আমাকে ওয়াসওয়াসা থেকে বের করো । এই রকম ভাবে মনে মনে বার বার বলছি ওয়াসওয়াসা থেকে বেরিয়ে শান্তি পেতে চাই। হটাৎ মনে মনে বলেছি "ইসলাম থেকে বেরোতে চায়। আস্তাফিরুল্লাহ। " হুজুর আমি মনে মনে ভুল করে বলেছি , আমি মুখে উচ্চরণ করিনি । তার পর থেকে শুধু মনে মনে ওই কথা হয়ে যাচ্ছে , পানি খাচ্ছি মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে যাবে , কিছু খাচ্ছি মনে হচ্ছে দাতে দাত লেগে উচ্চরণ হয়ে যাবে , হুজুর আমার খুব ভয় হচ্ছে , আমি মনে মনে বলেছি। মুখে উচ্চরণ করিনি। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৪.১ আপনাদের কে লিখলাম কথা টা তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৪.২ আমাদের গ্রামে মসজিদে অন্য গ্রাম থেকে একজন নামাজ পড়তে আসে তাকে নিয়ে মনে নানা রকমের খারাপ চিন্তা হয়, কিন্তু কখনো মুখে উচ্চরণ করিনি, ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হয় , কখনই মুখে উচ্চরণ করিনি। আমার কি ঈমান চলে যাবে?
৪.৩. আমার হাচ্ছি উটছে তখন মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি বলে ভয় হচ্ছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি হ্যাচ্ছি তুলছিলাম শব্দ হয়েছে কিন্তু আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। হুজুর ঈমান ঠিক আছে তো?
৫. হুজুর আপনাদের এই খানে প্রশ্ন করে খুব চিন্তা হয় কি উত্তর আসবে দিয়ে আল্লাহ কে ডাকি ভয় হয় ।
আর মাজে মাজে এমনি আপনাদের কথা মনে হয় আপনাদের কে কি প্রশ্ন করলাম না করলাম, মনে মনে এমন হয় হুজুর কে প্রশ্ন করে এই এই বলবো মনে মনে ভাবি । এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
৬. হুজুর আপনাদের কে প্রশ্নে লিখি " হুজুর, দয়া করে উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন " এমন ভাবে মাসায়েল গত দিক থেকে এই ভাবে সাহায্য চাওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৭. হুজুর মনে মনে আখেরাত নিয়ে ওয়াসওয়াসা র জন্য সন্দেহ হচ্ছিলো , সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য মনষ্ক করে ফেলি। কারণ আমি আখেরাত ও মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর কঠিন ভাবে বিশ্বাস করি। হুজুর ওয়াসওয়াসা আমাকে শেষ করে দিচ্ছে , এইরকম ভাবনা আসলে মনে মনে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?
৭.১. আমি আমার মা এর সঙ্গে কথা বলছিলাম যে এই ভাবে জীবনে কি করবো, দিয়ে মা বললো আল্লাহর ওপর ভরসা নেই নাকি আমি বললাম অবশ্যই ভরসা আছে, দিয়ে মা বললো তাহলে চিন্তা কিসের । হুজুর এই কথার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৮. সত্যিই আমি ওয়াসওয়াসা থেকে বেরোতে চায় , নাহলে পাগল হয়ে যাবো , আর প্রশ্ন করতে পারছিনা হুজুর। শুধু ঈমান নিয়ে ভয় হতে থাকে। এ আমি বিশাল ওয়াসওয়াসা রুগী আমাকে বলুন আমি কি করে এ থেকে বেরোতে পারবো।
আমি ওয়াসওয়াসা থেকে বেরিয়ে আর ৫ টা মানুষের মত শান্তিতে থাকতে চাই পরিবার নিয়ে।
৮.১ আপনাদের কে এই ভাবে বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৯. আমার স্ত্রীর সঙ্গে একটু মন কষাকষি হয়। দিয়ে আমার মনে ভাবনা হয় আমার প্রিয় নবী সাঃ এর বৈবাহিক জীবন এত সুন্দর ও পবিত্র ছিল । আমাদের বৈবাহিক জীবনটা যদি একটু ঐরকম হতো, এই রকম ভাবার জন্য কি ঈমানের বা বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে?
৯.১. হুজুর স্ত্রীর সঙ্গে একটু রাগা রাগী হয়। স্ত্রী রেগে বলেছে আমি তোমার জীবন থেকে নিজেকে একদম ফুল স্টপ করে দিবো , তাই বললো আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি ভেবে কথা টা বললে সে বললো এমনি রেগে বলেছি । কোনো কারণ নেই এর জন্য কি বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে?
৯.২. স্ত্রী রেগে বলছে আমি আমার মত থাকবো , আমিও রেগে বলেছি ঠিক আছে তাহলে তুমি থাকো তোমার মত। কিন্তু এই কথা বলার মধ্যে ভয় হয়ে জাই কেনিয়া হয়ে গেলো বলে হুজুর আমার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না । বরং কথা টা বলতে গিয়ে কেনিয়া হবে বলে ভয় পেয়েছি, হুজুর আমার খুবই ওয়াসওয়াসা আমি রেগে গিয়ে অন্য কিছু বলতে যাচ্ছিলাম কেনিয়া হবে বলে রাগ কন্ট্রোল করে আমি এমনি কথা টা বলেছি ।
ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে সন্দেহ হচ্ছে মনে হচ্ছে আমি সত্যিই বলেছি, আবার মনে হচ্ছে এমনি নরমালি বলছি। হুজুর এই রকম সন্দেহ হলে কি কোনো সমস্যা হবে? আমি বিশাল পরিমাণে রেগে বলেছি কথাটা কিন্তু আমার কেনিয়ার কোনো নিয়ত ছিলনা। আখন ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে নিয়ত ছিল এই রকম সন্দেহ তে পড়ে যাচ্ছি হুজুর, খুব চিন্তা হচ্ছে , ওয়াসওয়াসা তে পড়ে সন্দেহ হয়ে যাচ্ছে , আমার আসলে নিয়ত ছিল না , কিন্তু ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে নিয়ত ছিল , এই নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে হুজর । আমি বুঝতে পারছিনা কিছু বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
** সন্দেহর ভিত্তিতে তে কিছু হয়না তাইনা হুজুর।?
*** হুজুর আমার নিয়ত থাকলেও আমি যদি এখন অস্বীকার করি তাহলে কি কোনো তালাক হবে??
*** এখানে যে কথার পরিপেক্ষিতে আমার স্ত্রী বললো আমি আমার মত থাকবো , আমি প্রতিউত্তর এ বললো
হা তুমি তোমার মত থাকো, এটা কি কেনিয়া বাক্য ?
কারণ আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থাকে আমি আমার বাবার বাড়ি থাকি । অনুষ্ঠান করা হয়নি তাই। এটা কি কিনিয়া হবে?