আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১ম প্রশ্ন ছিল, কেউ যদি আমার হক্ব নষ্ট করে বা আমার অধিনস্ত কাউকে হত্যা করে। কিন্ত্য দেশে শারঈ আদালত না থাকার দরুন তার যথাযথ শাস্তি হবেনা।এজন্য যদি নিজে নিজে প্রতিশোধ নেই,সেটা কি জায়িজ?

২য় প্রশ্ন ছিল,সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে যে শালিস হয়।বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তক যেটা হয়,সেখানে কোনো চোরকে শাস্তি স্বরুপ প্রহার বা অন্য শাস্তি দেয়া যাবে কিনা? যেহেতু তারা হাত কাটার অথরিটি রাখেনা।অথবা হাত কাটার জন্য চারজিন সাক্ষী মওজুদ নেই কিন্তু একজন/দুজন বা অন্যান্য এভিডেন্স প্রমাণ করে সে চুরি করেছে

৩য় প্রশ্ন, একটা ঘটনা, এক বখাটে জোরে হর্ন বাজিয়ে মোটর বাইক চালিয়ে যাচ্ছে, এক পথচারী প্রতিবাদ করায় তাকে এসে থাপ্পড় দেয়।আমরা রাস্তার লোকজন যদি তাকে ধরে উলটো কিছ্য উত্তম মধ্যম দিই এতে গুনাহ হবে? বা ধরুন, পাড়ায় জোরে গান বাজাচ্ছে পুলিশ ও কিছ্য বলেনা, আমার সামর্থ্য আছে তাদের কে আটকানোর,তাই আটকাতে যেয়ে যদি তাদের আঘাত করতে হয় তাহলে সেটা জায়েজ?

৪র্থ, চোর ধরা পড়লে কি করাউচিত? আমাদের পন্য যা নিয়েছে তা ফেরত নিয়ে পুলিশে দেব না নিজেরাই পেটাব? যদি এমন হয়বারবার ধরা পড়ে,আর পুলিশ ঘুষ নিয়ে ছেড়্র দেয়?

৫, একবার একদল লোক অনেকদিন যাবত ছিল তাদের মাঝে সুসম্পর্ক ছিল পরে তাদের মধ্যে একজন লোক প্রতিশ্রুতি ভংগ করে অথবা দলের গোপন কথা বাইরে ছড়িয়ে দেয়। তাই আমরা সবাই মিলে তার গায়ে চোগলখোর লিখে দেই। এবং ধমকি দিই এবং মারের ভয় দেখাই যদিও তা মারার নিয়ত ছিলনা। এসব কি পাপ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (711,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কেউ যদি কারো হক্ব নষ্ট করে বা কারো অধিনস্ত কাউকে হত্যা করে। এজন্য নিজে নিজে প্রতিশোধ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

(২)
সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে যে শালিস হয় বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তক যেই গ্রাম্য আদালত হয়, সেখানে কোনো চোরকে শাস্তি স্বরুপ হাত কাটা যাবে না। শরয়ী দন্ডবিধি প্রয়োগের জন্য ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক বিশেষ কাজী/বিচারক নিয়োগ হওয়া জরুরী।হ্যা সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রহার বা অাপাতত সাধারণ শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন, https://www.ifatwa.info/36

(৩) 
সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।তবে সর্বপ্রথম আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা সম্ভবপর না হলে, তখন ফিতনা ফাসাদ ব্যতিত হেকমতের সাথে পদক্ষেপ করা যাবে। ফিতনা ফাসাদের আশংকা হলে, তখন শুধুমাত্র মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করতে হবে।সেটাও সম্ভব না হলে, জবান অন্তর দ্বারা মন্দ করতে হবে।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1982


(৪) চোর ধরা পড়লে পন্য ফেরত নেয়ার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার গোনাহ হবে। 

(৫)  এসব উচিৎ হয়নি। আল্লাহর কাছে এজন্য ক্ষমা চাইতে হবে।হ্যা, তার কৃতকর্মের কারণে তাকে জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাড় করানো যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...