আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ।
উস্তাদ,,আমার স্বামী এমন একটা বিজনেসে আছেন যেটা থেকে গত ৫/৬ মাস যাবত এক টাকাও ইনকাম হয় নি। বিজনেস টা খুব সম্ভাবনাময়,,২/৩ বছর এমন কষ্ট করলে এটা থেকে খুবি ভালো ইনকামের সম্ভাবনা আছে,,,এমন আশায় আমার স্বামী অন্য কোনো চাকরি বা ব্যবসায় তেও ঢুকছেন না। এই ৫/৬ আমি এবং আমার স্বামীর ভরনপোষণ করছেন আমার আব্বা আম্মা। সম্প্রতি আমার একটা সরকারি চাকরি হয়। চাকরির ট্রেইনিং নিতে গিয়ে দেখি এটা সম্পূর্ণ ভাবে মাইক্রোক্রেডিট এর সাথে জড়িত। সেখানে আমার কাজ একাউন্টস অফিসার হিসেবে রিন দেওয়া, রিনের হিসাব রাখা,,,গ্রামের মহিলাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা সংক্রান্ত টাকার হিসাব রাখা। যেহেতু রিন দেওয়া,  রিনের হিসাব রাখা আছে,,,এর সব গুলার সাথে সুদ জড়িত৷ উস্তাদ,,, আমি মনে প্রানে চাকরি টাকে ঘৃনা করছি।  কিন্তু এখন আমার এমনি অবস্থা চলছে,,, চাকরি টা না করলে আমাকে এবং আমার স্বামীকে জানি না আর কত দিন আব্বা আম্মার উপর থাকতে হবে,,,,। উস্তায,,,আরেকটা বিষয় জানিয়ে রাখা ভালো,,আমার স্বামীর বিজনেস টা এমন কখনো কখনো খুব ভালো ইনকাম হয়,,,আবার কখনো এমন যে ৫/৬ মাস চলে যায়,,কোনো ইনকাম হয় না। উস্তায,, গত পরশু রাতে স্বপ্ন দেখেছি আমার বিছানায় একটা কুচকুচে কালো সাপ। এই সমস্ত কিছুর পর মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত।  উস্তায,,আরেকটা সরকারি চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার জন্য এই চাকরিটা চালিয়ে যাওয়ার রুখসত কি আছে?  নাকি আমার উচিত চাকরিটা এখন ই ছেড়ে দেয়া? আমি যদি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই,,তা নিতে হবে পরিবারের প্রত্যেক টা মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে।
জাযাকাল্লাহ খইর


1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এ চাকুরী করা জায়েজ নেই। আরেকটা সরকারি চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার জন্য এই চাকরিটা চালিয়ে যাওয়ার রুখসত নেই।

তবে যদি পুরো পরিবারের ভরনপোষণ একমাত্র আপনার চাকুরীর বেতন থেকেই হয়,আপনার উপরেই যদি সকলে নির্ভরশীল হয়,সেক্ষেত্রে অন্য চাকুরী পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ চাকুরী চালিয়ে যাওয়ার রুখসত উলামায়ে কেরামগন দিয়েছেন।
তবে হালাল চাকুরীর জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে,আর এই চাকুরীর বেতন ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে 

স্বপ্নে সাপ দেখার ব্যাখ্যা জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
...