আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. আমার একটা ভুল নিয়ে ভাবছিলাম দিয়ে হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে , আমি সব ধর্ম মানি, আস্তাগিরুল্লাহ । সঙ্গে সঙ্গে তওবা করেছি।
হুজুর এই রকম হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
২. হুজুর এই রকম মনে মনে হচ্ছিল , আমি বাস এ করে একটা জায়গাতে যাচ্ছি, দিয়ে বাস এ ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, , কিন্তু সম্পূর্ণ ঘুমায়নি, দিয়ে মনে মনে এমন হলো আমি হিন্দু হয়ে গেলাম আস্তাগফিরুল্লাহ,  এই রকম মনে হলো, সঙ্গে সঙ্গে ঘুম উঠে পড়েছি। হুজুর আমি উচ্চরণ করিনি। ঘুম থেকে উঠে মনে হচ্ছে উচ্চরণ করলাম নাকি তাই মনে হচ্ছে। আমি ১০০% নিশ্চিত না যে উচ্চরণ হয়েছে। হুজুর আমার মনে হচ্ছে আমি মুখে উচ্চরণ করিনি, হয়ত হালকা জিহ্ববা নড়েছে, কিন্তু আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আমি নিশ্চিত না যে উচ্চরণ হয়েছে। হুজুর এটা কি উচ্চরণ হবে?  হুজুর এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে?

৩. হুজুর আমি হিন্দু হয়ে গেলাম আস্তাগফিরুল্লাহ, এই কথা টা  আপনাকে বোঝানোর জন্য লিখতে হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৪.হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো?

৫. হুজুর  আমি ফার্মাসিস্ট , আমি ডাক্তার এর সঙ্গে রুগী দেখছিলাম , দিয়ে হিন্দু ডাক্তার অনেক এমনি হাসির গল্পঃ বলছিলো, দিয়ে এমনি হাসছিলাম, দিয়ে মনে খুবই আনন্দ ছিল, দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে , হিন্দু হয়ে যাব। আস্তাগিরুল্লাহ। সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য মনষ্ক করেছি।  এই রকম আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য হচ্ছে এর জন্য ঈমান চলে যাবে না তো?

আপনাদের মনে মনে যা হচ্ছিলো সেই টা বললাম এর জন্য ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না তো?

৬. হুজুর আমার খুব চিন্তা হচ্ছে। ঈমান নিয়ে , হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো? আমার ঈমান চলে যাবে না তো? আমার কি চিন্তা করার দরকার আছে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এই রকম হওয়ার জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
এটা উচ্চরণ বলে গন্য হবেনা।
এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা।

(৩.৪)
ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত বাক্য বললে/লিখলে আপনার ঈমান চলে যাবে।

(০৫)
এর জন্য ঈমান চলে যাবে না। 

(০৬)
এক্ষেত্রে শুধু ৩ নং প্রশ্ন নিয়ে সমস্যা। 
এটি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে বুঝে বলে থাকলে আপনার ঈমান চলে গিয়েছে।
পুনরায় ঈমান আনতে হবে।

★কেননা শরীয়তের বিধান মতে কেহ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিলে
সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।
তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।

فتاوی عالمگیریہ:
"مسلم قال: أنا ملحد يكفر، ولو قال: ما علمت أنه كفر لا يعذر بهذا."
(کتاب السیر ،باب احکام المرتدین،ج:2،ص:279،ط:رشیدیہ)
সারমর্মঃ-
কোনো মুসলিম বলেছে যে আমি মুরতাদ, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে যদি সে বলে যে আমি তো জানিনা যে এটি কুফর,তাহলে সেই ওযর গ্রহণযোগ্য হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...