আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
হুজুর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী। আমি ভীষন পরিমাণে ওয়াসওয়াসা রুগী। আমার কিছু প্রশ্ন আছে আমাকে উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন।
১. হুজুর আমি একটা বিশিষ্ট মানসিক ডাক্তার এর কাছে চিকিৎসা শিখছি। সেই ডাক্তার হিন্দু । তার  কাছে জাই এবং তার সঙ্গে আমিও মানসিক রুগী দেখি। বিষয় হলো মানসিক ডাক্তার  যেহেতু রুগীদের সঙ্গে নানান রকমের কথা বলতে হয়, সেই ডাক্তার ও বলে দিয়ে মাঝে মাঝে বিশাল বড়ো কুফরী কথা বলে ডাক্তার যেহেতু হিন্দু সে আমাদের ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান আছে কিনা জানিনা তবে সে মাঝে মাঝে কুফরী কথা বলে ফেলে। কিন্তু সে ডাক্তার হিসেবে বিশাল বড়ো অভিজ্ঞ ডাক্তার। আমি তার কাছে ডাক্তারি শিখে যদি আমি মানুষের চিকিৎসা করে  উপকার করতে পারি সেইটা আমার জন্য খুবই ভালো হবে। হুজুর আমি কি সেই ডাক্তার এর কাছে চিকিৎসা শিখতে পারি ?
২. হুজুর আমার ওয়াসওয়াসা আছে , হুজুর ডাক্তার যখন মাঝে মাঝে কুফরী কথা বলে আমার শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে মনে এমন হয় ঠিক বলছে এই রকম মনে মনে হয় । আমি এইটা মনে মনে হতে চাইনা তাও মনে মনে হয়ে জাই। কিন্তু আমি মুখে উচ্চরণ করিনি কখনই। হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হলে কি আমার  ঈমান চলে যাবে?
৩. হুজুর আমার মনে মনে এমন হচ্ছে , ওই ডাক্তার এর কাছে চিকিৎসা শিখতে গেলে কাফের বা ঈমান চলে যাবে এই রকম মনে মনে ভাবনা হচ্ছে। দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং স্ত্রী কে আমার মনে মনে এমন হচ্ছে সেই টা বললাম ।

হুজুর আমি যদি এখন চিকিৎসা শিখতে জাই তাহলে কি কাফের বা ঈমান চলে যাবে?  বা  স্ত্রী কে বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
আপনি সেই ডাক্তার এর কাছে চিকিৎসা শিখতে পারবেন, তবে শর্ত হলো ঈমান আকীদা ঠিক রাখতে হবে।
ইসলাম বিরোধী তার কোনো কথা মানা যাবেনা।
ঈমানের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে মুসলিম ডাক্তার থেকে চিকিৎসা শিখবেন। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
,
কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

(০৩)
আপনি যদি এখন চিকিৎসা শিখতে যান,তাহলে  কাফের বা ঈমান চলে যাবেনা।
স্ত্রী কে বলার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...