আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in সাওম (Fasting) by (6 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম।

আমি রোজা রাখা অবস্থায় আতর দিয়েছিলাম জামা তে। তো হয়তো কোনো ভুলক্রমে আতর হাত থেকে বা কোনোভাবে আমার মুখে ঠোঁটের কাছে লাগে নামাজের মধ্যে যেটা আমি বুঝতে পারি নি। কিন্তু সূরা পড়তে পড়তে হয়তো কিছুটা মুখের মধ্যে যখন চলে যায় ।সামান্য অন্যরকম লাগলেও আমি পাত্তা দেই  নাই এই ভেবে যে হয়তো শয়তান আমার মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করছে ।আর আতর  কোনোভাবে যে মুখে চলে আসতে পারে এটাও ভাবতে পারি নি কারণ আমি সাবধানেই লাগায়েছিলাম অতর।

কিন্তু পরক্ষণে যখন বুঝতে পারলাম যে আতর হয়তো মুখের ভিতর চলে গেছে জিহ্বার মাধ্যমে তখন নামাজ শেষে সাথে সাথে মুখ কুলি করে নেই।

এতে কি আমার রোজা ভেঙ্গে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে। (ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২)

অন্যত্র আমরা লিখেছি,
وَإِنْ تَمَضْمَضَ أَوْ اسْتَنْشَقَ فَدَخَلَ الْمَاءُ جَوْفَهُ إنْ كَانَ ذَاكِرًا لِصَوْمِهِ فَسَدَ صَوْمُهُ وَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكِرًا لَا يَفْسُدُ صَوْمُهُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَعَلَيْهِ الِاعْتِمَادُ.
রোযাদার ব্যক্তি যদি(অজু করার সময়)গরগরা করে কুলি করে এবং নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছায়।অতঃপর সে পানি ভিতরে চলে যায়।যদি তার রোযা স্বরণ থাকা অবস্থায় সে ঐ পানি পৌছিয়ে থাকে, তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধুমাত্র তার কাযা আসবে।কিন্তু যদি তার রোযা স্বরণে না থাকে, তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।(খুলাসাহ) এবং এর উপর-ই ফাতাওয়া। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২০২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1199

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আতরের সামান্য অংশ মুখে গেলেও যেহেতু মুখের লালার আধিক্য ছিলো, যা আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে, সুতরাং আপনার রোযা ফাসিদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 442 views
asked May 22, 2019 in সাওম (Fasting) by আব্দুস সালাম ইবনু আবি হানিফা
0 votes
1 answer 369 views
...