আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই,

আমাদের একটা জমির কাজ হয়েছে। যেটা ৫ তলা ফাউন্ডেশনের । এর ভেতর অংশীদার আছে আমার বড় ভাই , ছোট ছোট, আরেকজন ক্রেতা , আর আমি।

এখন আমাকে আমার ভাইরা স্কায়ার ফিট মেপে ভাগের ভাগ যেটা পাবো নিচ তলায় দিতে চেয়েছে। নিচ তলায় আছে পার্কিং, সিঁড়ি ঘর , ১০০০ স্কায়ারফিটের ১ টি ফ্লাট।

এখন নিচ তলায় ছাদ ঢালাই শেষ। যারা অন্য অংশীদারা আছে তাদের অংশ স্কায়ার ফিট মাপলে সিঁড়ি ঘর + পার্কিং আছে‌ তাদের অংশ ও আছে সেভাবে তাদের টাকা ও দেয়ার কথা আছে। এক কথায় এই ২টা জিনিস আমার একান্ত ব্যক্তিগত না এখনে সবার অংশ আছে। এখন আমার বড়ো ভাই, ছোট ভাই, আর একজন ক্রেতা কেউ ই এখানে টাকা দেয়নি ।

আমার বড়ো ভাই বলে : যে আগে ভোগ করবে সে সকল কিছু ব্যয়ভার একাই বহণ করবে ।

এই কথার ইসলামী শরীয়তে কতটুকু যুক্তি আছে আমার জানা নাই।
আর ছোট ভাই , আরেকজন ক্রেতা এরা বলে: আমার কাছে এখন টাকা নাই । আমি এখন দিতে পারবো না । আমি পরে দিবো ।
এখানে আমার কথা বর্তমান বাজারে প্রত্যেকটা দাম প্রচন্ড পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা কোন কালে দিবে ঠিক নাই।কথার কথা তারা আমাকে টাকা দিলো আগামী ২০ বছর পরে তখন তো ঐ টাকার মূল্য অর্ধেকের অর্ধেক নেমে আসবে । এটা আমার সাথে কতোটুকু ন্যায় হচ্ছে?

আমার কথা আমি যতোটুকু স্কায়ার ফিট হিসেবে ভাগের ভাগ পাচ্ছি আমি ততোটুকুর টাকা দেবো। কিন্তু আমি পাবো ৫ টাকা আর আমার দিতে হচ্ছে ১৫ টাকা এটা কি ঠিক?

বাবা মা কে এই সম্পর্কে বললে তারা ওদের হয়ে মানে বড় ভাই, ছোট ভাই , আরেকজন ক্রেতা এদের অংশের টাকা দিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ওদের হয়ে আমাকে ওদের অংশের টাকা ফেরত দিলে বাবা মার টাকাতে আমারোতো অংশ আছে। তাহলে তো সেটা আমার অংশের টাকা ও দেয়ে লাগে বাবা মার হয়ে। তারা বলে যে তোমার অংশের টাকা তুমি দেও।ওদের অংশের টাকা ওরা কবরে যেয়ে দেবে ।

এই সম্পর্কে একটা সমাধান দেন?

আমি অনেক অশান্তিতে আছি।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। দয়াকরে কল দিয়ে প্রশ্নটি সবিস্তারে বলবেন।তারপর আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে, ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...