আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (10 points)
কোম্পানি এক্সপেক্ট করে যে কর্মচারী প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪০ ঘন্টা কাজ করবে।

কোন সপ্তাহে কম, কোন সপ্তাহে বেশি করলে সমস্যা নাই।

কোম্পানি যে কাজ কর্মচারী দিয়ে করায়, সেগুলা অন্য দেশের ক্লায়েন্ট এর কাজ। প্রতি সপ্তাহে, কোন টাস্কে কি পরিমাণ সময় ব্যয় হয়েছে ইত্যাদি দেখাতে হয় কর্মচারীদের। পরবর্তীতে এগুলা ক্লায়েন্ট কে দেখানো হয়।

কোন ব্যক্তি প্রতিনিয়ত সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার কম কাজ করলে সেটায় কোম্পানির আপত্তি থাকে। উল্লেখ্য, কর্মচারী এই মর্মে কোন চুক্তি তে যায় নাই কোম্পানির সাথে যে, কর্মচারী প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য। কেবল চুক্তি তে এই ছিল যে, কোম্পানি এক্সপেক্ট করে ৪০ ঘন্টা।


আরেকটি বিষয়, কর্মচারীর বেতন ফিক্সড। সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করলে যে বেতন, তার বেশি করলেও একই বেতন।


তো এখন, কর্মচারী যদি কোন কাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে লম্বা সময় দেখিয়ে করে। কোন দিন কাজ করে আবার করে না।


কিন্তু সময় ঠিকই দেখাচ্ছে, যে ৮ ঘন্টা কাজ করতেসে প্রতিদিন। এভাবে, সে লম্বা সময় নিয়ে এবং সময় দেখিয়ে উক্ত কাজ আদায় করলো।

এমতাবস্থায়, কি কর্মচারীর বেতন জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)


بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কোম্পানি যদি নির্দিষ্ট কোন সময় (৪০ ঘন্টা) কাজের এক্সপেক্ট না করত তাহলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু সাপ্তাহিক ৪০ ঘন্টা কাজের এক্সপেক্ট করাটাই মোটামুটি শর্তের পর্যায়ে পড়ে যায়। তাছাড়া “দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ না করেও” কাজ করেছি বলা সরাসরি মিথ্যা ও ধোকার শামিল। বিধায়, যতটুকু সময় কাজ করেছেন সেই পরিমাণ বেতন গ্রহণ করা নি:সন্দেহে জায়েয আছে। তবে কাজের চেয়েও অতিরিক্ত সময়ে কাজ করেছি মর্মে মিথ্যা বলে বেতন গ্রহণ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...