আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আমি কিছুদিন আগে প্রশ্ন করেছিলাম। আমি বর্তমানে প্রেগন্যান্ট (৪ মাসের কম)। কিন্তু, যেহেতু হার্টবিট আসেনি তাই শীঘ্রই নিশ্চিতভাবে গর্ভপাত হয়ে যাবে। হয়তো ২-১ দিনের মধ্যে নিজ থেকে ক্লিয়ার না হলে  ওষুধও খেতে হবে।

আমার হালকা বাদামী স্রাব আসা শুরু হয়েছিল ২৩ নভেম্বর থেকে। তখন ৬ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলাম এবং তখনই এখানে প্রশ্ন করেছিলাম। হুজুরের পরামর্শমত আমি ১০ দিন (২ ডিসেম্বর পর্যন্ত) হায়েজ ধরে নামাজ হতে বিরত ছিলাম। ৩ ডিসেম্বর থেকে লাল/খয়েরী স্রাব থাকা সত্ত্বেও আবার নামাজ শুরু করি।
আমার যেহেতু গর্ভপাত পুরোপুরি হয়নি, তাই এখনও রক্তস্রাব হচ্ছে এবং আরো অন্তত সপ্তাহখানেক হবে। এর কম বা বেশীও হতে পারে৷ এখন কি আমি নামাজ পড়বো?
এতে করে যদি আমার হায়েজ অনিয়মিত হয়ে যায়, দীর্ঘদিন রক্তপাত/বাদামী স্রাব হয় তাহলে হায়েজের হিসাবটা কীভাবে করবো?

1 Answer

0 votes
by (718,040 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে মেয়েলোকের হামেশা তিন বা চারি দিন হায়েয আসার অভ্যাস ছিল, তাহার যদি কোন মাসে রক্ত বেশী আসে, কিন্তু দশ দিনের বেশী না হয়, সব কয় দিনকেই হায়েয গণ্য করিতেই হইবে, কিন্তু দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী আসিলে পূর্ব অভ্যাসের কয় দিন হায়েয হইবে, বাকী কয় দিন ইস্তেহাযা। যেমন, হয়ত কোন মেয়েলোকের বরাবর তিন দিন জারি হওয়ার অভ্যাস ছিল, হঠাৎ এক মাসে তাহার নয় দিন দশ রাত্রের চেয়ে এক মুহূর্তও বেশী রক্ত দেখা গিয়া থাকে, তবে তাহার তিন দিন তিন রাতের রক্তকে হায়েয গণ্য করিতে হইবে, অতিরিক্ত দিনগুলির রক্তকে ইস্তেহাযা বলিতে হইবে এবং ঐ দিনগুলির নামায কাযা ওয়াজিব হইবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গর্ভপাতের রক্তস্রাবের কারণে আপনার যদি ধারাবাহিক রক্তস্রাব নির্গত হতে থাকে, তাহলে আপনার পূর্বের মাস সমূহে আদত বা অভ্যাস যতদিনের ছিলো, প্রত্যেক মাসে ততদিন হায়েয গণনা করবেন।এবং অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা ধরে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 92 views
...