আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায,

আমরা শহরে বাসা ভাড়া করে থাকি। নন-মাহরাম আত্মীয় বেড়াতে আসলেও পর্দা করা কঠিন হয় কিছুটা। আমার খালা উনার ছেলে ও মেয়েকে আমাদের এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছেন। সেজন্য আমার খালাতো ভাই ও বোন আমাদের বাসায় থাকবে। আমার খালাতো ভাইটির বয়স ১২-১৩ হবে আর বোনটির বয়স ১০-১১ বছর। এখন আমার জন্য তো খালাতো ভাই নন-মাহরাম আবার আমার আপন ভাই তো আমার খালাতো বোনের জন্য নন-মাহরাম। আর আমি তো জানতে পারবো না তার মাঝে বালেগ হওয়ার আলামত প্রকাশ পেয়েছে কিনা, বাহ্যিক আলামত নেই আপাতত। নরমালি আমি আমার বাসায়ও বড় ওড়না ব্যবহার করি এবং শালীনতার সাথে চলাফেরা করি।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

১. আমার খালাতো ভাই ছোট, এখন কি ওর সামনে আমার পরিপূর্ণ পর্দা আবশ্যক? একদম নিজেকে আড়াল করে ফেলা উচিৎ?
২. আমার খালাতো বোনের জন্যও কি আমার আপন ভাইয়ের সামনে এখনই পরিপূর্ণ পর্দা শুরু করা জরুরি?
৩. আমার খালাতো ভাই-বোনকে কি আমি দ্বীনি তালিম দেয়া এবং পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারবো? পারলে কিভাবে করবো?

আর যদি এখন পর্দা আবশ্যক না হয়, তাহলে কবে থেকে তার সামনে পর্দা করতে হবে? ওরা এখনো ছোট বাচ্চাদের মতোই চলাফেরা করে এবং আমাকেও অনেক সম্মান করে, বাকিটা আল্লাহু আ'লাম।
প্রকৃত ইসলাম কি বলে দয়া করে জানাবেন উস্তায..

1 Answer

0 votes
by (712,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বালেগ হওয়ার কয়েকটি আলামত রয়েছে যথা-
সাধারণত ১৫ বৎসর বয়স থেকে ছেলে বালিগ হয়।এবং ১৩ বৎসর বয়স থেকে মেয়ে বালিগ হয়।
তবে স্থান কাল ও খাদ্যাভ্যাস হিসেবে এর আগেও শারিরিক উন্নতি হয়ে বালিগ হতে পারে। ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত,স্বপ্নদোষ হওয়া।
আর মেয়েদের বালিগ হওয়ার আলামত,হায়েয শুরু হওয়া।এ আলামত গুলো যখনই পাওয়া যাবে তখনই বালেগ হিসেবে গণ্য করা হবে।

قال أبو حنيفة: مدة البلوغ بالسن في الغلام ثماني عشرة سنة، وفي الجارية سبع عشرة سنة.وقال أبو يوسف، ومحمد: في الغلام والجارية خمس عشرة سنة
(৭১৭ নং মাসআলা,কুদুরী)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আমার খালাতো ভাইকে যদি দেখতে বালেগের মতই মনে হয়,যাকে দেখলে ফিতনাং আশংকা হয়, তাহলে তার সামনে আপনাকে পরিপূর্ণ পর্দা করতে হবে। একদম নিজেকে আড়াল করে রাখতে হবে, নতুবা পর্দার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(২) আমার খালাতো বোনের জন্যও আপনার আপন ভাইয়ের সামনে এখনই পরিপূর্ণ পর্দা শুরু করা যদি ফিতনার আশংকা হয়। তবে তাদের কোনো একজন সাবালক না হলে, এবং ফিতনার আশংকা না হলে তখন পর্দা আবশ্যক নয়।
(৩) আপনার খালাতো ভাই-বোনকে আপনি দ্বীনি তালিম দিতে পারবেন, পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারবেনন, নতুবা পারবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...