আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ। দুটি প্রশ্ন রয়েছে।

১) আমি একটি পণ্য ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলাম। তারপর সেই পণ্যটি বিভিন্ন পুরাতন জিনিস কেনা বেচা গ্রুপের মাধ্যমে অধিক দামে যেমন ৭০০-৮০০ টাকাতে বিক্রি করলাম। যেহেতু আমি আমার ক্রয়কৃত পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছি তাহলে এটি কি প্রতারণা বা ঠকানোর শামিল হবে? এটি কি নাজায়েজ হবে?

২) একটি পণ্যের বাজার মূল্য ৪০০ টাকা। সেই পণ্যটি আমি অফারে ২০০ টাকা দিয়ে কিনে কিছুদিন ব্যাবহার করলাম। অতঃপর ব্যাবহারের পরিমাণ, ব্যাবহৃত দিন এসব উল্লেখ করে উক্ত পণ্যটি আমি ২০০ টাকাতেই অন্য কারো কাছে বিক্রি করলাম। আমি পণ্যটি অফারে কিনেছি, এটি না জানিয়ে যদি আমি ২০০ টাকাতেই পুরাতন জিনিস কেনা বেচা গ্রুপে পণ্যটি বিক্রি করি তাহলে কি নাজায়েজ হবে? বাজার মূল্য বেশি থাকায় ক্রেতা সব শুনে ২০০ টাকাতেই কিনে নিলো কিন্তু অফারের কথা জানলো না। এটি কি নাজায়েজ?

উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম উস্তাদ। সালাম।

1 Answer

+1 vote
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/3747/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ব্যবসায় কি পরিমান লাভ করা যায়?
ইসলামী শরীয়তে এর কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই, বরং যেকোনো জিনিষ উভয়ের সন্তুষ্টিতে যেকোনো মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। ক্রয়-বিক্রয়ে আমাদেরকে অবশ্যই দুটি দিক খেয়ালে রাখতে হবে।

প্রথমতঃউভয়ের সন্তুষ্টি আছে কি না নেই?সেদিকে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে ,কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
অত্র আয়াত এবং হাদীস থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে  বুঝতে পারলাম যে,যে কোনো ধরণের লেনদেনে উভয়ের সন্তুষ্টি একান্ত অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয়।সুতরাং উভয়ের সন্তুষ্টিতে যেকোনো মূল্যে লেনদেন করা যাবে,বৈধ আছে।কিন্তু কারো সন্তুষ্টি না থাকলে জোর করে বা তাকে বাধ্য করে তার সাথে লেনদেন করা কখনো জায়েয হবে না।

দ্বিতীয়তঃ কারো উপর জুলুম হচ্ছে কি না?সে দিকটাও নজরে রাখতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেটি প্রতারণা বা ঠকানোর শামিল হবেনা। এটি নাজায়েজ হবেনা।।
এটি জায়েজ।

(০২)
এটিও নাজায়েজ নয়।
এটি জায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
জাযাকাল্লাহু খইরন ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরহ উস্তাদ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...