আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
273 views
in সাওম (Fasting) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
১. রোযা অবস্থায় কারো নাকে যদি পানি আসে এবং নাক টান দেওয়াতে কিছুটা কফ যদি তার গলা দিয়ে যায়, তাহলে কি রোযা ভঙ্গ হবে?

২. গুগলে বিভাগের নামসহ নামাজের সময় সার্চ দিলে সবার প্রথমে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের  সময়সূচি আসে এবং তাহাজ্জুদ, ইশরাক, দোহা, আওয়াবিন নামাজের যে সময়সূচি আসে সেগুলোর সবগুলোই কি সহীহ? সেই সময় অনুযায়ী নামাজ পড়া যাবে?

৩. আল্লাহর নিরানব্বই নামের ফজিলত অর্থাৎ কোন নাম কতবার পড়লে কি লাভ করা যায়, এমন ফজিলত বিভিন্ন বইয়ে, ইউটিউবে দেখেছি। কোনগুলো সহীহ বুঝতে পারছি না।আল্লাহর নিরানব্বই নামের সহীহ ফজিলত ও আমল কোথায় পাবো দয়া করে রেফারেন্স দিবেন শায়েখ।

৪. এই লকডাউনে হিদায়াতপ্রাপ্ত কোনো মেয়েকে অনলাইনে স্কুলের ক্লাস করার জন্য একটা মোবাইল দেয়া হয়েছে। সেখানে সে ক্লাস করার পাশাপাশি যদি দ্বিনী জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লেকচার শুনে, বই, দুআ পড়ে তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে? একটু আধটু লেকচার শুনলে তার পরিবারও আপত্তি করবে না ইন শা আল্লাহ। আর মাস শেষে এমনিও এম.বি রয়ে যায়। সে এসব দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারটা কাউকে বলে না কারণ পরিবারের লোকজন ভাবতে পারে, সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখানে বেশি সময় দিচ্ছে। কিন্তু সে ক্লাসগুলোও করে।
এক্ষেত্রে তার এভাবে দ্বীনি জ্ঞানঅর্জন করলে কি কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কফ গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হবে না। কেননা উহা মুখের সাধারণ থুথুর অন্তর্গত। মুখের মধ্যে সাধারণ পানি যাকে থুথু বলা হয় তা দ্বারা রোযা নষ্ট হয় না।

সুতরাং কফ গিলে ফেলার দ্বারাও রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(ফাতাওয়ায়ে রিয়াযুল উলুম ৩/৩০৩.আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল
৩/৪০৩)

ইমাম বুখারী রহ. বলেন,
وَقَالَ عَطَاءٌ وَقَتَادَةُ يَبْتَلِعُ رِيقَهُ

আতা রহ. ও কাতাদা রহ. বলেন, রোজাদার তার মুখের থুথু গিলে ফেলতে পারে। (বুখারী পরিচ্ছদঃ ১২১০)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা।      
,
(০২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا

নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা নিসা-১০৩)

পুরুষ-মহিলার সকলের উপরই নির্দিষ্ট সময়ে নামায পড়া ফরয।ওয়াক্ত আসার পূর্বে নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়।
এতে উক্ত নামাজ আদায় হবেনা। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত নামায রোযার স্থায়ী ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে ইফতার ও সাহরীর সময়কে নির্ধারণ করবেন।এ ক্যালেন্ডারের সাথে যদি কোনো গুগলের টাইম মিল থাকে,তাহলে এই  প্রদর্শিত সময়কে আপনি গ্রহণ করতে পারবের।তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ হল আপনি পাশের মসজিদকে অনুসরণ করে নিবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০৩)

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০৪)
এভাবে দ্বীনি জ্ঞানঅর্জন করলে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
তবে সেই লেকচার গুলো যদি ভিডিও হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে বিধান কিছুটা ভিন্ন।
কারন কিছু ইসলামী স্কলারগন সেটার অনুমতি প্রদান করেনা।   
ভিডিও লেকচার  দেখা নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 186 views
0 votes
1 answer 189 views
0 votes
1 answer 268 views
...