আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/কোনো ছেলে যদি কোনো মেয়েকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে জিনায় লিপ্ত করাতে বাধ্য করে তাহলে কি সেই নারী জিনাতে লিপ্ত হলে গুনাগার হবে?

২/যদি এমন হয় যে কোনো ছেলে একটা মেয়ের গোপন তথ্য বা ভিডিও জেনে গেছে এখন এই তথ্য দিয়ে যদি সে ছেলেটা মেয়েটাকে জিনা করতে বাধ্য করে তাহলে এই ক্ষেত্রে মেয়েটার করনিয় কি?

৩/জিনাতে লিপ্ত না হলে মেয়েটাকে হত্যা করা হবে বা তার গোপন তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হবে এইক্ষেত্রে করনিয় কি?আর নারী যদি জিনাতে লিপ্ত হয় তাহলে কি পাপ হবে

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
والمرأة إذا أكرهت على الزنا فلا حد عليها، والرجل آثم في الإقدام على الزنا؛ لأن الزنا من المظالم، وأما المرأة إذا كانت مكرهة على الزنا هل تأثم. 
ذكر شيخ الإسلام في شرحه في باب الإكراه على الزنا أنها إن أكرهت على أن تمكن من نفسها فمكنت فإنها تأثم، وإن لم تمكن هي من الزنا وزنى بها لا إثم عليها، وذكر أيضا في الإكراه إذا أكرهت على الزنا فمكنت من نفسها فلا إثم عليها، وهذا كله إذا كان الإكراه بوعيد تلف، فإن كان الإكراه بوعيد سجن أو قيد فعلى الرجل الحد بلا خلاف، وأما المرأة فلا حد عليها ولكنها تأثم، ولو امتنع المكره عن الزنا حتى قتل فهو مأجور، كذا في المحيط.  (الفتاوی الہدنیة: ۵/ ۵٤، کتاب الإکراہ الباب الثاني، ط: زکریا جدید)
যদি নারীকে যিনা করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে ঐ নারীর উপর হদ তথা শরয়ী দন্ডবিধি আরোপিত হবে না। হ্যা, পুরুষকে যিনা করতে বাধ্য করা হলে, তখন যদিও হদ আসবে না তবে তার গোনাহ হবে,কেননা যিনা জুলুমের অন্তর্ভুক্ত। নারীকে যিনা করতে বাধ্য করা হলে,উক্ত নারীর কি গোনাহ হবে? শাইখুল ইসলাম(বাযদাবী) রাহ বলেন, যদি নারীকে যিনা করতে বাধ্য করা হয়,তখন যদি সেই নারী সেচ্ছায় সুযোগ প্রদান করে, তাহলে সেই নারী গোনাহগার হবে।তবে যদি নারী সেচ্ছায় সুযোগ প্রদান না করে বরং সে বরাবরই অস্বীকৃতি জানায়, তারপরও জোর করে যিনা করে নেয়া হয়, তখন কিন্তু সেই নারীর গোনাহ হবে না। এটাও বর্ণিত রয়েছে যে, নারীকে বাধ্য করার পর নারী সেচ্ছায় সুযোগ দিলে তখনো গোনাহ হবে না।এইসব বিধান তখনই যখন হত্যার হুমকি দেওয়া হবে। তবে যদি জেল জুলুমের হুমকি দেয়া হয়,তাহলে পুরুষের উপর হদ আসবে যদিও নারীর উপর হদ আসবে না, হ্যা তখন নারী গোনাহগার হবে। যাকে যিনাতে বাধ্য করা হবে, যদি সে রাজী না হয়, অতঃপর তাকে হত্যা করা হয়, তাহলে নিহত ঐ ব্যক্তি ক্ষমাপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪৮)

দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
Fatwa ID: 219-216/N=2/1435-U
 جس نابالغہ یا بالغہ لڑکی یا عورت کے ساتھ زنا میں جبر واکراہ کا معاملہ کیا گیا اور وہ آخر تک اس عمل پر راضی نہیں ہوئی تو دنیا وآخرت میں اسے گوئی گناہ یا سزا نہ ہوگی، مستدرک حاکم (۲: ۱۹۸ مطبوعہ دارالمعرفة بیروت) میں ہے: عن ابن عباس رضي اللہ عنہما قال قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: ”تجاوز اللہ عن أمتي الخطأ والنسیان وما استکرہوا علیہ“ وہذا حدیث صحیح علی شرط الشیخین ولم یخرجاہ“ اوردرمختار (مع الشامی: ۶: ۵، ۶ مطبوعہ مکتبہ زکریا دیوبند میں ہے: والزنا الموجب للحد وطء․․․ مکلف خرج الصبي والمعتوہ ناطق․․․ طائع في قبل مشتہاة حالا أو ماضیا خرج المکرہ اھ․


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কোনো ছেলে যদি কোনো মেয়েকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে যিনায় লিপ্ত করাতে বাধ্য করে, তাহলে সেই নারীর জন্য যিনাতে লিপ্ত হওয়া জায়েয হবে না। তখন যিনাতে লিপ্ত হলে অবশ্যই ঐ নারী গুনাগার হবে।

(২)যদি এমন হয় যে, কোনো ছেলে একটা মেয়ের গোপন তথ্য বা ভিডিও জেনে গেছে, এখন এই তথ্য দিয়ে যদি সে ছেলেটা মেয়েটাকে যিনা করতে বাধ্য করে, তাহলে এই ক্ষেত্রে মেয়েটার উচিৎ আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা।

(৩)যিনাতে লিপ্ত না হলে মেয়েটাকে হত্যা করা হবে,বা গোপন ভিডিও প্রকাশ করা হবে, এমন পরিস্থিতিতে যদি মেয়ে যিনাতে লিপ্ত হয়, তাহলে ঐ মেয়ের গোনাহ হবে না। কিন্তু মেয়ের উপর অত্যান্ত জরুরী যে, সে অচিরেই আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...