আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার বিয়ের ৫ বছর হইছে আমার স্বামি বিদেশ থাকে বিয়ে করে ৩ মাস ছিল বিয়ের পর ৩ বছর থেকে একটু কম সময় পর আসছে দেশে এসে ২ মাসথেকে আবার চলে গেছে এর মাঝে আমার একটা  সন্তান হইছে এই আমার বিবাহিত জীবন আর সে বিদেশ থেকে তার ও ভালো লাগে না তাকে আমি বলি আইসা পড়তে কিন্তু সে বিদেশ ছাড়লে কি করে খাবে বিদেশ ভালো টাকা ইনকাম করে আবার সে হস্তহস্তমৈথুন অভ্যস্ত হয়ে গেছে তার জীবন সে নিজে শেষ করতাছে সাথে আমারে খারাপ বানাইতাছে সে হারামের দিকে আমারেও ডাকে এগুলা কি কোন জীবন আমার ও তো চাহিদা আছে মানুষ কেমনে এতদিন থাকে আমি কি করব আমার নজর ও খারাপ দিকে চলে যায় আমার জিনার গুনাহ হচ্চে সে বিদেশ থাকব আর শুধু শুধু সন্দেহ করব ২ মাস ভালো কথা বলব আবার আমার সাথে তার কথায় না মিললে ঝগড়া লেগে ২ মাস কথা বন্দ কইরা দিব আমার হঠাৎ দ্বিনের বুঝ পাইছি আলহামদুলিল্লাহ তারপর আমার তার সব ব্যাপার গুলা খারাপ লাগা শুরু হইছে সে সিগারেট খায় নামায পড়ে না মদ ও খাইত আগে এখন খায় কিনা জানি না এখন আমি এগুলা নিয়া ডাক দেয় এমন কইরো না এগুলা খাইয়ো না এখন তার আমারে ভালো লাগে না তারপর সে গাড়ি চালায় বিদেশ আর সে চায় সারাদিন তার সাথে কথা বলি সারাদিন কি কথা বলব মানুষের দোষ ছাড়া কোন কথা আছে ওনি এগুলায় শুনত একজান ঈমানদার নারীর এগুলা তো সব বিরক্ত লাগব ফোন দিলে ২/৩ ঘন্টায় ও রাখে না এগুলা তো আমার ব্রেনে ও সমসয়া হইতাছে না ধরলে ও বলে কার সাথে কথা বলি তারপর আবার তার মার সাথে ২/৩ ঘন্টা কথা বলব তারপর আবার গ্রুপ কলে তার বোনরা মা সহ সবাই কথা বলব একটু ঘুমের সময় ঘুমামো তাও পারা যায় না তারের কথায় অনথক কথায় আমার ঈমানের উপর দাগ ওড়া শুরু হইতাছিল তারপর আমি পর্দা করমু তারে বলছি সে রাজি না আবার ওই টাইমে সে বাড়িতে আসবে ওনি তার বোনের কাছে মার কাছে বলতাছে আমি বাড়িতে যাব না আসলে সে আমারে দেখব অন্য রকম তার সহ্য হইব না এগুলা ওনার মা বোন সবাই ওনার কথা শুনে সবাইরে মাসে মাসে টাকা দেয় এজন্য পরে আমার ফোন দিয়া বলে তুই বল আপনি যা বলবেন তাই শুনমু আর কোন কিছু বলবি না ওইদিক দিয়া আমার বাবা মা ও বেদ্বিব আমার বাবা বড়লোক জায়গায় বিয়ে দিছে এখন আমি এমন করি সে আমারে বলে আমি মরেই যাব কত ঝামেলা হইছে তাও আমি পর্দা করতাম আমার আল্লাহর ভয় এত পরিমান ডুকছে তারপর আমারে শয়তানের ওয়াসওয়াসা শুরু হয়ে গেছে আমার নামাযে আল্লআল্লাহর ব্যাপারে রসুলল্লাহ’র এর ব্যাপারে এত বাজে বাজে কথা মনে আসত আমি কি করব বুঝতাছি না এইটার পরে আবার আরেক ওয়াসওয়াসা আমি কোন পুরুষ মানুষ সামনে আসলেই তাদের খারাপ দিকে নজর চলে যায় ২টা সমস্যা নিয়ে আমার ঈমান হারিয়ে যাচ্চে বুঝতাছি আমি পাগলের মত অবস্তা হয়ে যাইতাছিল তার উপর আমার স্বামি আসছে তাও ২ নাম্বার ওয়াসওয়াসা ভালো হচচে না আমি কি করব শেষ মেশ তার সাথে মিশে আমার ঈমানই হারিয়ে গেছে সে আমারে বেদ্বিন পরিবেশে নিয়ে গেছে মাকেটে নিয়ে যায় নামায ও পড়তে পারি না আমারে তার বন্দুর বনের মুসলমানিতে নিযে য়ায় এইভাবে কার সাহায়্য ছাড়া দ্বিন পালন করা যায় আমি আবার আগের মত হয়ে গেছি তারপর আমার একটা বাচ্চা হয় গওয়ার পর পরে সে এনআইসিউ তে ভর্তি ১ মাস তার সাথে আমি আর আমার ননস ছিলাম টানা ২৬ দিন আর ৬ দিন অন্য আরেক এনআইসিউ তে ছিল সেখানে বাহির পুরুষ মহিলা সব একসাথে থাকে ওইখানে ঘুমাইছি কি করমু ৫/৬ দিন হোটেলে থাকছি ওনেক টাকা লাগে বাবুর পেছনে লাখ লাখ টাকা গেছে তার উপরে এমন ঝগড়া আমার মা লাগাইছে কয় এই হসপিটালে নিছে দেখে এমন হইছে আর কত কাহিনি বললে শেষ হবে আমার কথা হইছে এই স্বামির সাথে কেমনে থাকব সে বেশি ইনকাম করে দেখে শুধু শুধু কিস্তিতে টাকা উঠায় বলে পরে দিয়া শেষ করে দিব কিস্তি প্রতি মাসে ১০ হাজার দেয় আবার বাবুর আকিকা দিছে লাখ টাকা চলে গেছে টাকা নাই আবার পাড়া প্রতিবেশী খাওয়াব ঝন করে আবার আকিকা করছে আবার ওইখানে কত ঝন সারাজীবন বিদেশ করব আর এই টাকা কিস্তিতে উঠাইব আর দিব নিজের কাছেও রাখতে পারে না টাকা আবার এখন ঘরের জন্য ফাড়নিছার কিনব এদিক দিয়া লাখ লাখ টাকা ঝন আর আমারে মাএ ২/৩ হাজার টাকা দেয় এখন আমার মার সাথে ঝগড়া লাগার পড়ে আমারে আর টাকা দেয় না আবার আমি ইসলামিক বই কিনি এজন্য দিবে না অনলাইনে আরবি শিখতে ও দেয় না আমি সব ভুইলা যাইতাছি কি করমু আমার অন্তর ও কঠিন হয়ে গেছে  কিছু ভালো লাগে না কি করব বেদ্বন পরিবারে দ্বিন নিয়ে কেমনে থাকব !

আর কিছু সময় রাগ করলে আমারে ভালো না লাগলে যেমনে ভালো হইব ওইভাবে চলে যাও এমন কতবার ঝগড়া লেগে বলে ভালো লাগলে থাক না লাগলে চলে যাও এগুলায় কি তালাক হয় ?

আবার আমরা থাকি আলাদা রান্নাবান্না ভাবিদের ওইখানে হয় ওানাদের ঘরেই খায় আর তারা রানতে গেলে কত বদনাম মানুষের বলে এতে তারা জানে এগুলা গীবত তাও বলে  এ অবস্তায় আমি ওইখানে কাজ করতে হয় আমার শাশুড়ী ভাবি এই রোজার দিন রোজা রেখেও গীবত ছাড়ে না আমার ঈমান দুর্বল দেখে ডাকও দিতে পারিনা এ অবস্তায় আমি কি করব   ?

আমার চোখ খালি পুরুষ মানুষ দেখলেই তাদের খারাপ জায়গায় নজর চলে যায় এ অবস্তায় আমি না চাইলেও পুরুষ মানুষ দেখলেই নজর চলেই যায় আমি কি করব আর নামাযে ওয়াসওয়াসা এটা কিভবে দুর করব নামায মনোযোগ দিয়ে পরলেই এমন হয় ?

আমার স্বামি আলাদা বিলডিং গ্রামের বাড়ি তাদের ঝামেলা নাই শশুর শাশুড়ী আর আমি থাকি সারাদিন ওনি বলে কাজ করা লাগব না আমার সাথে কথা বল এইভাবে আমি কি করব আমার ঈমানহারা হয়ে গেছি সে আমার শারীরিক হক ও বদায় করতাছে না এজন্য আমার মন মানসিকতা ও খারাপ হয়ে যাচচে


আমার বাচ্চাকে শাশুড়ীর কাছে দিয়ে নামায পড়তে আসলে ৪রাকাত শেষ না করতে করতে ডাকাডাকি শুরু করে দেয় নামাযও ঠিক করে পড়তে পারি না  কয় এত টাইম লাগে তাড়াতাড়ি পড়তে পারছ না নামায কি তাড়াতাড়ি পড়া যায় আমার নামায পড়তে ও সময় লাগে যোহর লাগে ২৫ মিনিট এজন্য বকা দেয় আর ওনারা তো কি নামায পড়ে ১০ মিনিটে শেষ আমি নামাযের শেষে জিকির গুলা ও করতে পারি না নামাযের পর জিকিরগুলা কীভাবে করব
আমার বাহিরে যেয়ে পাতা ঝাড়ু দিতে হয় পাতা দিয়া রান্নরান্না করে আবার মাঝে মাঝে ধান ঘাটতে যায়তে হয় এ অবস্তায় কিবাবে পর্দা করব
আমার বাচ্চারে আমার শাশুড়ীর কাছে দিয়া আসলে ওরে কোলে নিয়া মোবাইল দেখা শুরু করে আবার ওর সামনে ধইরা রাখে বাচ্চাটা কি শিখব আবার আমার স্বামি কল দেয় ২ ঘন্টায় ও ছাড়ে আমি ওনার কাছে দিয়া কাজ করতে যায় আর ওর কোলে নিয়া এই মানুষের বদনাম গীবত এগুলা শুরু করে আমার বাচ্চটা কি শিখব তারপর আমার ননস ওানর মেয়েরা আসলে ওর গান ছালাইয়া শুনে ওগো থেকে কি শিখব আমার কি ওগো কাছে আমার বাচ্চারে না দেওয়া উচিত
আমি নামায পড়ি ওই রুমে সাউন্ড বক্স আছে আমার নামাযের কোন সমস্যা হবে
আমার বাবা মার ও সংসার জীবন ভালো না ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি মারামারি তাদের কেউ কারো সাথে মিলে না  ঝগরার সময় যে কত ছাইরা দিব বলছে আমার মনে হয় না তাদের সংসার এখনো ঠিক আছে আমার মা তরকারির ক্ষেত করছে এগুলা মানুষের বাড়ি বাড়ি নিয়ে বেচে এজন্য বাবা ডাক দেয় ওনি শুনে টাকার লোভ ওনার ভিতরে ডুকছে আর এত দোষ ধরে তেল আনলে বলে ভালো না তরকারি আনলে বলে ভালো না এগুলো নিয়া এত গালাগালি করে ।

হুজুর আমাক পরামর্শ দেন দয়া করে আমি কি করব আর স্বামির সাথে আমার সংসার ঠিক আছে কিনা তার কথা গুলার মাধ্যমে???

আমার স্বামি অনলাইনে কোরআন শিখতে বাধা দেয় তিনি মনে করে আমি কার সাথে কথা বলি এমন মনে করে এজন্য আমারে টাকাও দেয় না আমি ফ্রি কোর্সগুলা করি তাও ডাক দেয় আবার লুকাইয়া পড়া যায় না ওনার মা বলে দেয় ওনার কাছে বললে আবার আমারে বকা দেয় তার অঅবাধ্য হয়ে কোরআন শিখা যাবে আমি না পড়তে পড়তে ভুলেই গেছি মনে হয় আমার পড়া হয় না আমি কি করব???

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় ভাই/বোন!
আপনি আপনার স্বামী এবং স্বামীর বাড়ীর লোকজনকে হেকমতের সাথে বুঝাতে থাকুন, তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করুন। তাদের হেদায়তের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। এবং সংসার জীবন চালিয়ে যান। নিরবে আপনার কুরআন শিক্ষা চালিয়ে যান। স্বামীকে কুরআন সম্পর্কে বুঝাতে থাকুন। দেখবেন, একদিন সেই আপনার কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিবে। 
আল্লাহ তা'আলা বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥) 
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
ওস্তাদ আমার ওয়াসওয়াসা ব্যাপারটা নিয়ে কি করব??
আর স্বামির সাথে কথা বলা নিয়ে এই যে অনর্থক কথাগুলা বলতে এগুলো কেমনে বন্দ করব???
গীবত এর প্রস্নটা কিভাবে তাদের মাঝখান থেকে গীবত শুনা থেকে বাচব   ? 
আমার বাচ্চাটাকে নিয়ে যে এমন করে তার জন্য কি করব দয়া করে উত্তর দিবেন     ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...