আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার আগে অনেক দিনের ফজরের সালাত কাযা হয়েছে, তার কিছু কিছু হিসেব লেখা আছে ডায়েরিতে, আমি সেগুলো দেখে দেখে পড়ে ফেলার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ,  কিন্তু আজকে আমি এখানে ওয়েবসাইটে দেখলাম যে ফজরের ফরজের সাথে সুন্নতও কাযা করতে হবে। আগে যে নামাযগুলো আমি কাযা করেছি, সেখানে আমি শুধু ফরজ সালাত আদায় করেছি, সুন্নত আদায় করিনি,, এখন আমি কি করতে পারি?? আমার বাকি যে সালাতগুলো আছে ফজরের, সেগুলো কাযা আদায়ের সময় কি আমি সুন্নত ও ফরজ উভয়টিই আদায় করবো? আর আগের যে সুন্নতগুলো আদায় করিনি, সেজন্য আমি এখন কি করবো?
জাযাকাল্লাহ খাইরান...

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

https://ifatwa.info/44846/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো, ছুটে যাওয়া নামায সমূহের মধ্যে শুধুমাত্র ফরয এবং বিতির  নামাযের কাযা করতে হবে। সুন্নতের কাযা করা জরুরী না। তবে কেউ করে নিলে সমস্যা নেই। (ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৩৯৮)


ফজরের সুন্নাত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা আদায় করবে সুর্য উদিত হবার পর। জোহরের ওয়াক্ত আসলে আর আদায় করবেনা।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاء في إعادتهما بعد طلوع  الشمس ،رقم-423)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। (জামে তিরমিজী-১/৯৬)

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/25869/


★★কেহ যদি জোহরের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত পড়তে না পারে,তাহলে তার জন্য জোহরের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে পূর্বের চার রাকাত সুন্নত আদায় করে নেওয়া উচিত। (ফরজ শেষে দুই রাকাত সুন্নত পড়ার পর তা আদায় করে নিবে।)  (আল মুহিতুল বুরহানি : ২/২৩২; ফাতহুল কাদির : ১/৪১৫; আদ্দুররুল মুখতার : ২/১২-১৩)


হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا لَمْ يُصَلِّ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ صَلاَّهُنَّ بَعْدَهَا

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি কোন দিন যোহরের প্রথম চার রাকাত সুন্নত পড়তে না পারতেন, তাহলে তা ফরজের পর আদায় করে নিতেন। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪২৬]


তিরমিজি শরীফের ৪২৬ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَتَكِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا لَمْ يُصَلِّ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ صَلاَّهُنَّ بَعْدَهُ .

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি যুহরের পূর্বে চার রাকাআত না আদায় করতেন তবে যুহরের (ফরযের) পর তা আদায় করতেন।

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/9878/


ফজরের নামাজ কাজা হলে সেদিন জোহরের ওয়াক্ত আসার আগেই কাজা করলে ফজরের সুন্নাত সহ কাজা আদায় করতে হয়। আর যদি জোহরের ওয়াক্ত চলে আসার পর ফজরের কাজা আদায় করে, বা অন্য কোনো ওয়াক্ত বা অন্য কোনো দিন উক্ত ফজরের ওয়াক্তের কাজা আদায় করে, সেক্ষেত্রে শুধু ফজরের ফরজ নামাজের কাজা আদায় করতে হয়, সুন্নাতের নয়।


জোহরের ক্ষেত্রে যদি চার রাকাত সুন্নাত না পড়ে আগে ফরজ নামাজ পড়া হয়, তাহলে ফরজ শেষে দুই রাকাত সুন্নাত আদায় করে তারপর জোহরের আগের সেই চার রাকাত সুন্নাত আদায় করবেন। আছরের ওয়াক্ত চলে আসলে জোহরের আগের সেই চার রাকাত সুন্নাত আদায়ের সময় থাকবেনা।

বাকি নামাজ গুলোর আগে তো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নেই, তাই সেগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবেনা।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শুধু ফজরের ফরজ নামাজগুলোর কাযা আদায় করবেন। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সুন্নাতের কাযা আদায় করা লাগবে না। কারণ, ফজরের নামাজ কাজা হলে সেদিন জোহরের ওয়াক্ত আসার আগেই কাজা করলে ফজরের সুন্নাত সহ কাজা আদায় করতে হয়। আর যদি জোহরের ওয়াক্ত চলে আসার পর ফজরের কাজা আদায় করে, বা অন্য কোনো ওয়াক্ত বা অন্য কোনো দিন উক্ত ফজরের ওয়াক্তের কাজা আদায় করে, সেক্ষেত্রে শুধু ফজরের ফরজ নামাজের কাজা আদায় করতে হয়, সুন্নাতের নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...