আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। উস্তায নিজেদের ফরজ হজ আদায় করার উদ্দেশ্যে মক্কায় গিয়ে জীবিত এবং মৃত আম্মা আব্বা এবং নিকটজনদের ইসালে সওয়াবের নিয়তে একাধিক উমরাসহ অন্যান্য ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো কোন পদ্ধতিতে কিভাবে সহজে সর্বোত্তমভাবে আদায় করা যেতে পারে একটু বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ। পাশাপাশি নিজেদের হজ মাবরুর হওয়ার জন্য কী কী বিষয়  খেয়াল রাখা জরুরি করণীয় সমূহ, সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি, বিভিন্ন আমলসহ মদীনা যিয়ারতের জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ। আর ফরজ হজ আদায় করার পূর্বে এবং পরেও কী মক্কায় থাকা অবস্থায় নিজেরাও একাধিক উমরা আদায় করা যাবে? মাবরুর হজ এবং উমরা আদায়ের যেন তাওফিক দেন আল্লাহ একটু দুয়া করবেন উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (626,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

যে কোনো মুসলমানকে চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক নফল ইবাদতের সওয়াব পৌঁছানো যাবে।
এবং সওয়াব পৌছবে।

https://www.ifatwa.info/70397/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلاَ الْعُمْرَةَ وَلاَ الظَّعْنَ . قَالَ " حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ "
 তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা অতি বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ, উমরা পালনে এমন কি যান বাহনে চলতে সক্ষম নন। তিনি বলেন তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ উমরা আদায় করে নিবে। ( ইবনু মাজাহ ২৯০৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৩১)

وفي الشامية
"من صام أو صلى أو تصدق وجعل ثوابه لغيره من الأموات والأحياء جاز". (ج2، ص: 243) فقط والله أعلم
কেহ রোজা রাখল অথবা নামাজ পড়লো অথবা সদকা আদায় করল এবং তার সওয়াব সে মৃত ব্যক্তি এবং জীবিত ব্যক্তিদের জন্য প্রদান করল সে ক্ষেত্রে একটি জায়েজ হবে।

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ.এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা এভাবে তুলে ধরেন।
তিনি  বলেনঃ
ﻭﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻞ ﺛﻮﺍﺏ ﻋﻤﻠﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﺻﻼﺓ ﺃﻭ ﺻﻮﻣﺎ ﺃﻭ ﺻﺪﻗﺔ ﺃﻭ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﻗﺮﺁﻥ ﺃﻭ ﺫﻛﺮﺍ ﺃﻭ ﻃﻮﺍﻓﺎ ﺃﻭ ﺣﺠﺎ ﺃﻭ ﻋﻤﺮﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻟﻠﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
মূলকথা হলঃ
মানুষ তার আমলের সওয়াব অন্যর জন্য দিতে পারবে, সে আমল চাই নামায/রোজা/সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন। এটা আমাদের উলামাদের কাছে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।(বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3565

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিজেদের ফরজ হজ আদায় করার উদ্দেশ্যে মক্কায় গিয়ে জীবিত এবং মৃত আম্মা আব্বা এবং নিকটজনদের ইসালে সওয়াবের নিয়তে একাধিক উমরাহ আদায় করা যাবে,একাধিকবার তওয়াফ করা যাবে,অন্যান্য আমল করা যাবে।

এক্ষেত্রে আপনি ১ম ওমরাহ শেষ করে মসজিদে আয়েশায় গিয়ে পুনরায় ওমরার এহরাম বাঁধতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যাদের যাদের জন্য ওমরা করতে চাচ্ছেন সকলের জন্য পৃথক পৃথকভাবে একটি করে ওমরা করতে পারেন।

অথবা একটি ওমরার মধ্যেই সকলের নিয়ত এক সাথে করতে পারেন যে আমি ওমরাহ টি আমার সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদের জন্য আদায় করছি, সকল আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ত এক উমরার মধ্যেও করতে পারবেন।

মসজিদে আঈশায় গিয়ে ইহরাম বাধার সময় আপনি নিয়তটি করবেন।
সেক্ষেত্রে সকলের আমলনামায় ওমরাহ করার ছওয়াব পৌঁছে যাবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 537)
'' أفاد أنه يفعل ما يفعله الحلال، فيطوف بالبيت ما بدا له ويعتمر قبل الحج، 

হজ করার উদ্দেশ্যে এহরাম বেঁধে মসজিদে হারামে আসার পর ওমরা শেষ করে হালাল হলে সেক্ষেত্রে এরপর যত ইচ্ছা সে তাওয়াফ করতে পারবে এবং হজ করার পূর্বে যত ইচ্ছা উমরাহ করতে পারবে।

ইহরামের বিধিনিষেধ,উমরাহ আদায়ের পদ্ধতি ,তওয়াফ করার নিয়ম,সায়ী সংক্রান্ত আলোচনা ,মদিনায় রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রওযা যিয়ারাত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/86723


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (626,400 points)
হজ কিভাবে করতে হবে  কিভাবে হজ করলে হজ্জে মাবরুর হবে, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে নিম্নের আর্টিকেলটি পড়তে পারেনঃ-

by (14 points)
অনেক অনেক শুকরিয়া উস্তায জাযাকুমুল্লাহু খইরন। 
by
পবিত্র মক্কায় দোয়া কবুলের বিভিন্ন স্থান

পবিত্র মক্কায় কাবা শরীফের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন জায়গায় দোয়া কবুল হয়ে থাকে। সেসব জায়গায় গিয়ে খুব আদব, ভক্তি ও বিনয়ের সাথে একান্ত মনে বারবার দোয়া করা উচিত। যেমন-

১.  কাবা ঘর দেখে, কাবা ঘরের ভিতরে ও কাবা ঘর ধরে।

২. আল্লাহর ঘরের দরজার চৌকাঠে।

৩. মুলতাযাম – বাইতুল্লাহর দরজা থেকে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত স্থানে।

৪.  মুসাল্লায়ে জিবরাঈল। (কাবার দরজার ডান পাশে)

৫. হাতিমের মধ্যে।

৬. হাতিমের মধ্যে মিজাবে রহমতের (কাবা ঘরের পানি পড়ার নালা) নিচে।

৭.  জমজম কূপের কাছে। যদিও ক‚পের কাছে যাওয়া যায় না। মাতাফের বেইজমেন্টের নিচে।

৮.  জমজমের পানি পানের সময়।

৯.  মাকামে ইবরাহিমের কাছে ( কাছাকাছি বা পিছনে)।

১০. রুকনে ইয়ামানির কাছে।

১১.  রুকনে ইয়ামানি ও হাজারে আসওয়াদের মাঝখানে।

১২.  মুলতাযাম-মুলতাযামের বিপরিত দিকে রুকনে ইয়ামানির বাম পাশে। (রুকনে ইয়ামানী সংলগ্ন পশ্চিম দেয়াল অর্থাৎ দরজা সোজা এলাকা পর্যন্ত তার স্থান)।

১৩.  মাতাফ – কাবা ঘরের চতুর্দিকে তাওয়াফের স্থানকে মাতাফ বলে।

১৪.  সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের ওপর।

১৫.  মাসআ – সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে যাওয়া আসার পথ।

১৬.  মিলাইনে আখজারাইন – সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে যাওয়া আসার পথের মাঝের সবুজ বাতির ৪০ গজ অংশ।

১৭.  মিনার ময়দান এবং মিনার মসজিদসমূহে (মসজিদে খায়েফ)।

১৮.  আরাফাত ময়দান।

১৯.  আরাফত ময়দানের জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়।

২০. মুজদালিফার ময়দানে।

২১.  মিনার কংকর মারার স্থানে (বড় শয়তানের স্থান ব্যতীত) ।

২২.  মাওলুদুন্নবী – হযরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মস্থানে।

২৩.  জাবালে নুর বা হেরা পর্বতের গুহায় যেখানে কুরআন সর্বপ্রথম নাজিল হয়েছে।

২৪.  জাবাল সউর বা সাওর পর্বতের গুহা – যেখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের সময় বিশ্রাম নিয়েছিলেন। ( আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুসহ রসূল সললাল্লহু আলাই ওয়া সাল্লাম তিন দিন ছিলেন)। 

২৫.  দারুল আরকাম-সাফা পাহাড়ের সাথে। (যেখানে হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ইসলাম গ্রহণ করেন)।

২৬.  জাবালে আবু কুবাইস। (সাফা পাহাড়ের কাছে)

২৭.   ওমরা ও হজ্জ করে মাথা মুন্ডন বা চুল কর্তনের সময়।

সংগৃহীত
by

হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই আমার ঘর থেকে বের হতেন; তখনই আকাশের দিকে মাথা উঠিয়ে বলতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন আদিল্লা আও উদাল্লা; আযিল্লা আও উযাল্লা; আও আজলিমা আও উজলামা; আও আঝহালা আও ইউঝহালা আলাইয়্যা।' (আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত)

অর্থ : 'হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পথভ্রষ্ট হওয়া বা (কাউকে) পথভ্রষ্ট করা থেকে আশ্রয় চাই। গোনাহ করা বা (কাউকে) গোনাহের দিকে ধাবিত করা থেকে আশ্রয় চাই। (কাউকে) অত্যাচার করা ও (কারো দ্বারা) অত্যাচারিত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। অজ্ঞতা প্রকাশ করা বা অজ্ঞতা (মূর্খতা) প্রকাশের পাত্র হওয়া থেকেও আশ্রয় চাই।' (আবু দাউদ)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 96 views
0 votes
1 answer 333 views
...