আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in সাওম (Fasting) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি আজকের আরাফার রোজা রেখেছিলাম। গোসল করার সময় সারা শরীর ধুয়ে এরপরে অজু করি৷ তখন কুলি করার সময় গড়গড়া করিনি৷ এরপরে আবার শাওয়ার ছেড়ে সারা গা ধুই৷ তখন হঠাৎ মনে হয় আমি পা ধুইনি। গোসলের সময় একসাথে অজু করার সময় পা ধুতে হয় কীনা এটা নিশ্চিত ছিলামনা(ফরজ গোসল ছিলনা)। সন্দেহ দূর করতে আবার অজু শুরু করি প্রথম থেকে। তখন অজুটা সচেতনভাবে করছিলামনা, মাথায় আগের অজু হয়েছে কীনা+ একজন কষ্ট দিয়েছিল ওইসব মাথায় ঘুরছিল। তখন হঠাৎ খেয়াল করলাম আমি কুলি করার সময় গড়গড়া করে ফেলেছি, এবং সম্ভবত কিছুটা পানি গলা দিয়ে গেছে। পুরোপুরি নিশ্চিত না, কিন্তু সম্ভাবনা ৫০% এর বেশি লেগেছে৷ রোজার জন্য যে গড়গড়া করা যাবেনা এটা খেয়াল ছিলনা- যেহেতু অন্য কথা ভাবছিলাম। কিন্তু রোজা যে রেখেছি এটা মনে ছিল কীনা এটা তো আলাদা করে ভেবে দেখিনি। এখনও মনে পড়ছেনা।
এই রোজাটা কি ভেঙে গেছে? আমার খুব খারাপ লাগবে এটা ভেঙে গেলে। এই প্রশ্নের উত্তর তো পরে পাব, রোজাটা যদি পুরো করি তাহলে কি রোজা না হলেও সওয়াব পাব?

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة 
ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8222

অন্যত্র আমরা লিখেছি,
وَإِنْ تَمَضْمَضَ أَوْ اسْتَنْشَقَ فَدَخَلَ الْمَاءُ جَوْفَهُ إنْ كَانَ ذَاكِرًا لِصَوْمِهِ فَسَدَ صَوْمُهُ وَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكِرًا لَا يَفْسُدُ صَوْمُهُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَعَلَيْهِ الِاعْتِمَادُ - 
রোযাদার ব্যক্তি যদি(অজু করার সময়)গড়গড়া করে কুলি করে এবং নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছায়।অতঃপর সে পানি ভিতরে চলে যায়।যদি তার রোযা স্বরণ থাকা অবস্থায় সে ঐ পানি পৌছিয়ে থাকে, তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধুমাত্র তার কাযা আসবে।কিন্তু যদি তার রোযা স্বরণে না থাকে, তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।(খুলাসাহ) এবং এর উপর-ই ফাতাওয়া। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২০২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1199



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার প্রবল ধারনা হচ্ছে যে, পেটে পানি চলে গেছে। সুতরাং এখন আপনার রোজা ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত রোযাকে কাযা করে নিবেন।এবং বাকী দিন রোযাদারের সাদৃশ্য গ্রহণ করে কোনো কিছু গ্রহণ না করে কাটিয়ে নিবেন। এটাই উত্তম হবে। সওয়াব পাবেন কি না? তা আল্লাহই ভালো জানেন। হয়তো আল্লাহ দিয়ে দিতেও পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...