আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাবা আমাকে কোন টাকা দেয় না,মূলত উনি আপাতত অপারগ,ওনার হার্ট এর অপারেশন হয়েছে,আমি নানুর বাসায় থাকি এবং অবিবাহিত,আমি হাত খরচের জন্য টিউশন করতে চাচ্ছি,(পর্দার সমস্যা নেই আলহামদুলিল্লাহ এবং গাড়িতেও উঠতে হবে না,পুরুষদের সাথে অপ্রয়োজনে কথা ও বলতে না ইন শা আল্লাহ,স্টুডেন্ট মেয়ে এবং আমিও মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ)

কিন্তু আমি জেনারেল লাইনের,আর দ্বীনি স্টুডেন্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন,বেশীরভাগ যেই স্টুডেন্ট পাওয়া যায় তারা পর্দা করে না,এবং পড়াশুনা করছে কোন না কোন লক্ষ্য নিয়ে যেমন হয়তো কেউ সহশিক্ষা তে যাবে বা ফ্রি মিক্সিং এ জব করবে ইত্যাদি,আমি যদি এটা নিশ্চিত ভাবেই জানি তাহলে কি পড়ানো জায়েজ হবে? আর যদি না জানি তাহলে কি জিজ্ঞেস করতে হবে? আমার আসলে ওয়াসওয়াসা এর সমস্যা আছে বিভিন্ন বিষয়ে,কিন্ত এ প্রশ্ন কে অযৌক্তিক বলে একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছি না,উল্লেখ্য যে আমি সালাফি মাসআলা অনুসরণ করি আলহামদুলিল্লাহ,কিন্তু বাংলাদেশে সালাফি মাসআলা খুঁজে পাওয়া কঠিন তাই ধারনা পাওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করছি।

1 Answer

0 votes
by (662,040 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)

অর্থাৎ কেয়ামতের দিন কোন মানুষ অন্য মানুষের পাপভার বহন করতে পারবে না। প্রত্যেককে নিজের বোঝা নিজেই বহন করতে হবে। “বোঝা” মানে কৃতকর্মের দায়দায়িত্বের বোঝা। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই তার কাজের জন্য দায়ী এবং প্রত্যেকের ওপর কেবলমাত্র তার নিজের কাজের দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক ব্যক্তির কাজের দায়-দায়িত্বের বোঝা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি অন্যের দায়-দায়িত্বের বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে নেবে এবং তাকে বাঁচাবার জন্য তার অপরাধে নিজেকে পাকড়াও করাবে  এরও কোন সম্ভাবনা নেই।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি এটা নিশ্চিত ভাবেই জানেন যে কেউ সহশিক্ষা তে যাবে বা ফ্রি মিক্সিং এ জব করবে ইত্যাদি,সেক্ষেত্রেও তাকে পড়ানো জায়েজ হবে।

আর যদি না জানেন, তাহলে জিজ্ঞাসা করা  আবশ্যক নয়।

সে পরবর্তীতে গুনাহ করলে তার দায়ভার তার উপর বর্তাবে, আপনার উপর নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...