আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in সালাত(Prayer) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

১) এর আগে একটা প্রশ্ন করেছিলাম , যে- " ১ম রাকাতে যে সুরা পড়ব ২য় রাকাতে তার পরের সুরা না পড়া মাকরুহ কেন ? সহিহ হাদিস থেকে তো তার বিপরীতটাও পাওয়া যায়। " উত্তরে বলা হয়েছিল - "...হাদীসে বর্ণিত যে উল্টা পাল্টা সূরার কথা আপনি বলছেন,সেটা হল নফল নামাযের বিবরণ। "

আমি যেটা বলেছিলাম সেটা নফল না , ফরজ । যেমনঃ-জুম্মার দিন ফজরের ১ম রাকাতে  ৩২ নং সুরা, সুরা সিজদাহ আর ২য় রাকাতে ৭৬ নং সুরা , সুরা আদ দাহর পড়া মুস্তাহাব ।

২) নামাজি কিন্তু জালেম , এমন ব্যাক্তির জানাজা পড়ার হুকুম কি ? ( এই জালেম মানুষের জায়গা,সম্পত্তি দখল সহ ইমামকে অপমান করা সহ একজন রাজনৈতিক নেতা যত জুলুম করতে পারে প্রায় করে )

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা নেই।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,   
শরীয়তের বিধান মতে কুরআনের ছোট সুরা, যেগুলো কুরআন শরিফের শেষ দিকে আছে,যেমন সুরা ফিল থেকে নিয়ে সুরা নাস পর্যন্ত।
,
সেই ছোট সুরা গুলো নামাজের মধ্যে পড়ার ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ    
এক সূরা পড়ার পর পরের রাকাতে মাঝখানে এক সূরা বাদ দিয়ে পরের সূরা পড়া মাকরূহ্ তবে দুই সূরা বাদ দিয়ে পড়াতে কোন সমস্যা নেই।

যেমন, প্রথম রাকাতে সূরা ফীল পড়ার পর, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কুরাইশ বাদ দিয়ে সূরা মা’ঊন পড়া মাকরূহ। কিন্তু সূরা কাউসার বা কাফিরূন বা এর পরের সূরাগুলো পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
তবে ভুলে এমন হলে সমস্যা নেই।
,
ইচ্ছাপূর্বক ভাবে মাঝের ছোট এক সুরা বাদ দেওয়া মাকরুহ।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   

ويكره فصله بسورة بين سورتين قرأهما فى ركعتين لما فيه من شبهة التفضيل والهجر، (مراقى الفلاح على هامش الطحطاوى، فصل فى المكروهات-287، الدر المختار مع الشامى- 2/269)

সারমর্মঃ
দুই সুরার মাঝে এক সুরা দ্বারা ফাসেলাহ করা, যে দুই সুরা দুই রাকাতে পড়েছে,এট মাকরুহ।

وَيُكْرَهُ الْفَصْلُ بِسُورَةٍ قَصِيرَةٍ وَأَنْ يَقْرَأَ مَنْكُوسًا إلَّا إذَا خَتَمَ فَيَقْرَأُ مِنْ الْبَقَرَةِ. وَفِي الْقُنْيَةِ قَرَأَ فِي الْأُولَى الْكَافِرُونَ وَفِي الثَّانِيَةِ – أَلَمْ تَرَ – أَوْ – تَبَّتْ – ثُمَّ ذَكَرَ يُتِمُّ وَقِيلَ يَقْطَعُ وَيَبْدَأُ،

وقال ابن عابدين الشامى رح: (قَوْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ يُتِمُّ) أَفَادَ أَنَّ التَّنْكِيسَ أَوْ الْفَصْلَ بِالْقَصِيرَةِ إنَّمَا يُكْرَهُ إذَا كَانَ عَنْ قَصْدٍ، فَلَوْ سَهْوًا فَلَا كَمَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ. (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، فروع يجب الاستماع القراءت مطلقا-2/269)

সারমর্মঃ
ইচ্ছাকৃতভাবে ছোট সুরা দ্বারা ফাসেলাহ করা মাকরুহ।

আরো জানুনঃ 
,
(০২)
প্রথমেই আমরা আত্মহত্যা কারীর জানাযা সংক্রান্ত   একটি মাসয়ালা জেনে নেইঃ 

★আত্মহত্যা মহাপাপ এবং এর শাস্তিও খুব ভয়াবহ- একথা সবাই জানে। কিন্তু তার জানাযা পড়া যাবে না বা তার জন্য মাগফিরাতের দুআ করা যাবে না- এ ধারণা ঠিক নয়। তার জানাযাও পড়া হবে তার জন্য মাগফিরাতের দুআও করা যাবে।

তবে এমন ব্যক্তির জানাযায় শীর্ষস্থানীয় আলেম ব্যক্তি না গিয়ে সাধারণ লোক দিয়ে জানাযার নামায পড়িয়ে নেওয়াই উত্তম। 
(শরহু মুসলিম, নববী ৭/৪৭ (৯৭৮ নং হাদীসের অধীনে); সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/১৯)
,
প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম নখয়ি বলেন, ‘যারা আত্মহত্যা করবে, তাদের জন্য জানাজা পড়া যাবে। তেমনি জেনার কারণে বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে যেসব নারী মারা যাবে, তাদেরও জানাজা পড়া যাবে। একইভাবে যে ব্যক্তি মদ পানের কারণে মারা যাবে, তারও জানাজা পড়া যাবে।’ (ইব্ন আবি শায়বা, হাদিস : ১১৯৮৪)

অন্য হাদিসে এসেছে : জাবির ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.)-এর দরবারে এক লোককে হাজির করা হয়, তীরের ফলা দ্বারা যে নিজেকে হত্যা করেছে। তখন তিনি তার ওপর নামাজ পড়েননি।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৭৮) 

★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জানাযা নামাজে অংশ গ্রহন করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই। 
এক্ষেত্রে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোনো বিধিনিষেধ নেই।  
,      
তবে কেহ যদি তার জানাযায় শরীক হতে না চায়,সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। 
সেটি নাজায়েজ নয়,এতে সে গুনাহগার হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 906 views
...