আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
429 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়?
সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়?
সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়? সন্তান কখন বালেগ হয়?

1 Answer

0 votes
by (696,800 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আ'লামত হল, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাত, অথবা ছেলে এমন বয়সে উপনীত হওয়া যে, তার বীর্য গর্ভ ধারণ করার উপযুক্ত হয়ে গেছে। আর মেয়েদের বালেগা হওয়ার আ'লামত হল, স্বপ্নদোষ, হায়েয, এবং গর্ভ ধারণের সক্ষম হওয়া।

ছেলের বালেগ হওয়ার নিম্ন বয়স ১২ বৎসর এবং সর্বোচ্ছ ১৫ বৎসর। আর মেয়ের বালেগা হওয়ার বয়স সর্বনিম্ন ৯ বৎসর এবং সর্বোচ্ছ ১৫ বৎসর। এটা সাহেবাইন রাহ এর মাযহাব। এটাই সর্বাধিক পছন্দনীয়। ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মতে ছেলেরা সর্বোচ্ছ ১৮ বৎসর বয়সে বালেগ হয় এবং মেয়েরা সর্বোচ্ছ ১৭ বৎসর বয়সে বালেগা হয়।

মোটকথাঃ-
বালেগ হওয়ার কয়েকটি আলামত রয়েছে যথা-
সাধারণত ১৫ বৎসর বয়স থেকে ছেলে বালিগ হয়।এবং ১৫ বৎসর বয়স থেকে মেয়ে বালিগ হয়।
তবে স্থান কাল ও খাদ্যাভ্যাস হিসেবে এর আগেও শারিরিক উন্নতি হয়ে বালিগ/বালিগা হতে পারে-
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত,বীর্যপাত হওয়া চায় ঘুমন্ত অবস্থায় হোক বা জাগ্রত অবস্থায়, এবং বীর্য এমন অবস্থায় গিয়ে পৌছা যে, উক্ত বীর্য দ্বারা গর্ভ ধারণ সম্ভব।
আর মেয়েদের বালিগ হওয়ার আলামত হল,স্বপ্নদোষ,হায়েয এবং গর্ভধারণের সক্ষমতা অর্জন করা।
এ আলামত গুলো যখনই পাওয়া যাবে তখনই বালেগ/বালেগা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। 

ملتقی الأبحر: (فصل في بیان أحکام البلوغ، 444/2، ط: دار إحیاء التراث العربي)
یحکم ببلوغ الغلام بالاحتلام أو الإنزال أو الإحبال … وببلوغ الجاریۃ بالحیض أو الاحتلام أو الحبل … فإن لم یوجد شيء من ذٰلک فإذا تم لہ ثماني عشرۃ سنۃً، ولہا سبع عشرۃ سنۃً عندہ، وعندہما إذا تم خمسۃ عشر سنۃً فیہما، وہو روایۃ الإمام، وبہ قالت الأئمۃ الثلا ثۃ، وبہ یفتی … وأدنی مدتہ لہ ثنتا عشرۃ سنۃ، ولہا تسع سنین، الخ۔

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 153):
"(بلوغ الغلام بالاحتلام والإحبال والإنزال) والأصل هو الإنزال (والجارية بالاحتلام والحيض والحبل) ولم يذكر الإنزال صريحاً؛ لأنه قلما يعلم منها (فإن لم يوجد فيهما) شيء (فحتى يتم لكل منهما خمس عشرة سنةً، به يفتى) لقصر أعمار أهل زماننا".

تبیین الحقائق: (فصل بلوغ الغلام، 275/6، ط: دار الکتب العلمیۃ)
بلوغ الغلام بالاحتلام والإحبال والإنزال، وإلا فحتی یتم لہ ثماني عشرۃ سنۃً، والجاریۃ بالحیض والاحتلام والحبل، وإلا فحتی یتم لہا سبع عشر سنۃً، ویفتی بالبلوغ فیہما بخمس عشرۃ سنۃ … الخ۔

الفقه الإسلامي وأدلته للزحيلي (6/ 4472):
"البلوغ: يحدث البلوغ إما بالأمارات الطبيعية أو بالسن. أما الأمارات أو العلامات الطبيعية، فاختلفت المذاهب في تعدادها: فقال الحنفية : يعرف البلوغ في الغلام بالاحتلام، وإنزال المني، وإحبال المرأة. والمراد من الاحتلام هو خروج المني في نوم أو يقظة، بجماع أو غيره"

الفقه الإسلامي وأدلته للزحيلي (6/ 4473):
"وأدنى مدة البلوغ للغلام اثنتا عشرة سنةً، وللأنثى تسع سنين، وهو المختار عند الحنفية"

قال الإمام القدوري سلسة المسئلة ٧١٧
قال أبو حنيفة: مدة البلوغ بالسن في الغلام ثماني عشرة سنة، وفي الجارية سبع عشرة سنة.وقال أبو يوسف، ومحمد: في الغلام والجارية خمس عشرة سنة


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...