আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
আস সালামু আলাইকুম।  সম্মানিত শায়েখ আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো ।
প্রশ্ন১: নামাযের সময় ইমাম সাহেব এর ভুলে আমি লোকমা দিয়েছি ।এখন হানাফী ফিকহ এর নিয়মে  তাশাহুদ এর পরে যে সাহু সিজদাহ দেয় একদিকে সালাম ফিরায়  । আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ এটা কি আমাকেও বলতে হবে ।  নাকি একবারে শেষে  যখন সালাম ফিরায় ওই সময় বললেই হবে ।
প্রশ্ন 2 : ইতিমোধ্যে আপনাদের কাছে প্রশ্নে জেনেছি যে স্ত্রী এর কোনো ওজর না থাকলে স্বামী এর যখন সহবাসের দরকার হবে তখন স্ত্রী সহবাসে মিলিত হবে।  কিন্তু শায়েখ ধরেন স্ত্রী কোনো সমস্যা নাই তবুও সে কোনোভাবেই রাজি না। এমন সময় এই উত্তেজনা সময় স্বামী কি করবে ।বেচে থাকার উপায় কি।  নফল নামায বা কোনো কিছু বলেন । যাতে সে এই উত্তেজনা থেকে তৎক্ষণাৎ বেচে থাকতে পারে।
প্রশ্ন 3: শায়েখ চারিদিকে আকিদা নিয়ে বিভিন্ন মতামত বিভেদ চলে আসতেছে।  আমি আপনাদের থিকে জানতে চাই যে ইমান এর যে ৭ টি স্তর মানে বিশ্বাস করতে হয়।  এই 7 টা মৌলিক বিষয় যদি কেউ বিশ্বাস করে তাহলে কি তার আকিদা ঠিক আছে।  যেহেতু আমরা কোনো আলেম না তাই আমাদের জন্য একটু বলেন যে কতোটুকু বিষয়ে জেনে রাখলে বুঝতে পারবো যে আমার আকিদা ঠিক আছে। বা আকিদার মূল বিষয়গুলো একটু যদি বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
উক্ত সূরতে লুকমা দেওয়ার কারণে আপনাকে সাহু সিজদা দিতে হবে না। 

(২)
এমনতাবস্থায় সে উত্তেজনা কমানো সকল রকম চেষ্টা করবে। হ্যা, স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার জন্য স্ত্রীর অবশ্যই গোনাহ হবে। 
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন,
حدثني عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يا عبد الله، ألم أخبر أنك تصوم النهار، وتقوم الليل؟»، فقلت: بلى يا رسول الله قال: «فلا تفعل صم وأفطر، وقم ونم، فإن لجسدك عليك حقا، وإن لعينك عليك حقا، وإن لزوجك عليك حقا، وإن لزورك عليك حقا، وإن بحسبك أن تصوم كل شهر ثلاثة أيام، فإن لك بكل حسنة عشر أمثالها، فإن ذلك صيام الدهر كله»، فشددت، فشدد علي قلت: يا رسول الله إني أجد قوة قال: «فصم صيام نبي الله داود عليه السلام [ص: ٤٠] ، ولا تزد عليه»، قلت: وما كان صيام نبي الله داود عليه السلام؟ قال: «نصف الدهر»، فكان عبد الله يقول بعد ما كبر: يا ليتني قبلت رخصة النبي صلى الله عليه وسلم
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সওম পালন কর এবং সারা রাত সালাত আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) সওম পালন কর আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক্ব রয়েছে, তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমার মেহমানের হাক্ব আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক ‘আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়। আমি (বললাম) আমি এর চেয়েও কঠোর ‘আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন ‘আমলের অনুমতি দেয়া হল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আরো বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তবে আল্লাহর নাবী দাঊদ (আঃ)-এর সওম পালন কর, এর হতে বেশি করতে যেয়ো না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর নাবী দাঊদ (আঃ)-এর সওম কেমন? তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। রাবী বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন, আহা! আমি যদি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম! (সহীহ বোখারী(শামেলা)-১৯৭৫) 


(৩) আকিদা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব কিছুক্ষণ পর দেওয়া হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (44 points)
১ নম্বর প্রশ্নটি আপনাদের হয়তো আমি বোঝাতে পারিনি।  এটা হলো ইমাম সাহেব সাহু সিজদাহ দিলে আমাদেরও তো দিতে হয়। এখন হানাফি মাজহাব এ তাশাহরদ পড়ার পরে একদিকে সালাম ফিরানোর পরে  ২ টা সিজদাহ দিয়ে আবার তাশাহুদ পড়া হয়।  এখন প্রথমবার তাশাহুদ পড়ার পরে আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ইমাম সাহেব বলে ডানদিকে সালাম ফিরালে। আমরা মুক্তাদিও কি আস সালামু আলাইকুম বলতে হবে ।এটাই ছিলো প্রশ্ন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...