আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। আমার কিছু প্রশ্ন আছে দয়া করে উত্তর দিবেন।
১/ আগের বার আমি একটি স্বপ্নের কথা বলেছিলাম যেখানে একটি কাল সাপ আমাকে দংশন করে , আমার প্রচন্ড ব্যাথা হয় এবং আমি পড়ে সে জায়গা থেকে রক্ত বের করে বিষমুক্ত করি। আপনারা ব্যখ্যায় বলেছিলেন কেও আমার ক্ষতি করবে এবং আল্লাহ এর কাছে পানাহ চাইতে। আমাকে আরেকটু বিষদ ভাবে দয়া করে বলবেন, অর্থাৎ কি রকম ক্ষতি, যে ক্ষতি করছে কি উদ্দেশ্যে, এটা কি চক্রান্ত বা অনিবার্য? আমার কোন প্রকাশ্য শত্রু নেই  কেননা আমি সেরকম অবস্থান বা বয়স এ উপনীত হই নি। দয়া করে জানাবেন।
২/ আমি আগের বার প্রশ্ন করেছিলাম মনে মনে দুয়া প্রসঙ্গে নফল নামাজে। আসলে বলতে চেয়েছিলাম আরবি বাদে অন্য ভাষায় মুখে উচ্চারণ নয় বরং  তাসবীহ এর পাসাপাসি সিজদায় যদি মনে মনে করি দুয়া বা আল্লাহ এর প্রসংশা এবং কামনা তাহলে কি সমস্যা হবে??
৩/ আমাকে আগেরবার প্রশ্নের উত্তর এ উপদেশ দিয়েছিলেন থানভী বা মাদানী সিলসিলাহ এর কারও সহচারযে যেতে। আমাকে দয়া করে জানাবেন এই দুই সিলসিলাহ এর মধ্যে পার্থক্য কি । শুধু কি অবস্থান অর্থাৎ অঞ্চলগত পার্থক্য নাকি মতবাদ এও পার্থক্য রয়েছে। এবং উভয়ের সহচারয গ্রহণ বা উভয় সীলসিলাহ এর আলীম এর পরামর্শ গ্রহণ করলে সমস্যা আছে কি??
৪/ কাজা রোজার ক্ষেত্রে কি সেরকম ফযিলত বা সোওয়াব পাওয়া যায় যেমনটা নফল সিয়াম এ পাওয়া যায়? অর্থাৎ সিয়ামরত অবস্থায় দুয়া কবুল এর সম্ভাবনা, আল্লাহ এর নৈকট্য লাভ, নিয়মিত কাজা আদায় করলে আত্মিক উন্নতি, সিয়ামকারীদের মত হওয়া আল্লাহ এর কাছে এরূপ ফযিলত অ সওয়াব কি পাওয়া যায় কাজা রোজা রাখলে??
৫/ ইবাদত এর ক্ষেত্রে কঠোর না হওয়া বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
৬/ যখন ইমান দুর্বল হয়ে উঠে তখন নামাজ এ মনোযোগ থাকে না গুরুত্ব থাকে না কোন শান্তি ও পাই না ফলে খুব দ্রুত শেষ করি। সেসময় কি মনোযোগ না থাকলেও জোড় করে চেষ্টা করব সময় নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে পড়ার?
৭/ সুন্নাহ নামাজ একদম ছেরেই দিয়েছি কেননা ফরয নামাজ টাই কোনমতে আদায় করি অভ্যাস ধরে রাখতে। আর আমার ইচ্ছাও জাগে না ইবাদত এ কারণ খুবই নিচু পর্যায়ের ইমান নিয়ে আছি। আমি  মনযোগ না থাকলেও কোন শান্তি না থাকলেও যদি সুন্নাহ নামাজ বা জিকির-আজকার করি এর ফজিলত কি পাব? অন্তর এর পরিশুদ্ধি কি আশা করতে পারব??

জাজাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এটি সম্ভাব্য একটি ব্যাখ্যা, যেটি আপনার জীবনে নিশ্চিত ভাবে হবেই বিষয়টি এমন নহে।
তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই। 

(০২)
নামায সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।

সেজদায় গিয়ে سبحان  ربي الأعلى 
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}

আরো জানুনঃ  

তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন নফল নামাজে বাংলায় দোয়া করার রুখসত দিয়েছেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।          
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার প্রশ্নটি ছিলো মনে মনে দোয়া করা সংক্রান্ত, সেক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ভাষায় মনে মনে দোয়া করতে পারবেন।
তবে এসময়ে চুপ থাকা যাবেনা।
যবানে সেজদার তাসবিহ বা উপরে উল্লেখিত কোনো দোয়া চালিয়ে যেতে হবে।
,
(০৩)
অঞ্চলগত পার্থক্য আছে,আর তাদের বলে দেওয়া তরিকার আমল গত পদ্ধতি  নিয়ে কিছু পার্থক্য আছে। 
জানামতে তাদের মাঝে মতবাদের দিক লক্ষ্য করে কোনো পার্থক্য নেই।
,
(০৪)
হ্যাঁ সেসব ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ। 
,
(০৫)
নফল আদায়ে শক্তভাবে আদেশ করা উদ্দেশ্য। 
,
(০৬)
হ্যাঁ অবশ্যই সেই চেষ্টা করতে হবে।
,
(০৭)
ফজিলত পাবেন।
তবে অন্তরের শুদ্ধির জন্য বেশি বেশি ইবাদত,ও নেক বান্দাদের কাছে থেকে, এ অবস্থা থেকে আগে উত্তরন হতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...