আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
637 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (0 points)
১)শাতেমে রাসুলদের জন্য কী সরাসরি হত্যার বিধান?

২)শাতেমে রাসুলদের হত্যা করা ব্যক্তিগত ভাবে জায়েয?নাকি এটা রাষ্ট্রের শাসকের দায়িত্ব?

৩)বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে শাতেমে রাসুলদের প্রতি আমার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (696,720 points)
বিসমিহি তা'আলা

ভূমিকা
ইবনে আবেদীন শামী রাহ শাতিমে রাসূল সাঃ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন,
أقول: ورأيت في كتاب الخراج لأبي يوسف ما نصه: وأيما رجل مسلم سب رسول الله - صلى الله عليه وسلم - أو كذبه أو عابه أو تنقصه فقد كفر بالله تعالى وبانت منه امرأته، فإن تاب وإلا قتل، وكذلك المرأة إلا أن أبا حنيفة قال لا تقتل المرأة وتجبر على الإسلام اهـ وهكذا نقل الخير الرملي في حاشية البحر أن المسطور في كتب المذهب أنها ردة، وحكمها حكمها، ثم نقل عبارة النتف ومعين الحكام: والعجب منه أنه أفتى بخلافه في الفتاوى الخيرية. رأيت بخط شيخ مشايخنا السائحاني في هذا المحل والعجب كل العجب حيث سمع المصنف كلام شيخ الإسلام يعني ابن عبد العال، ورأى هذه النقول كيف لا يشطب متنه عن ذلك.
وقد أسمعني بعض مشايخي رسالة حاصلها أنه لا يقتل بعد الإسلام وأن هذا هو المذهب اهـ وكذلك كتب شيخ مشايخنا الرحمتي هنا على نسخته أن مقتضى كلام الشفاء وابن أبي جمرة في شرح مختصر البخاري في حديث «إن فريضة الحج أدركت أبي» إلخ " أن مذهب أبي حنيفة والشافعي حكمه حكم المرتد، وقد علم أن المرتد تقبل توبته كما نقله هنا عن النتف وغيره، فإذا كان هذا في ساب الرسول - صلى الله عليه وسلم - ففي ساب الشيخين أو أحدهما بالأولى، فقد تحرر أن المذهب كمذهب الشافعي قبول توبته كما هو رواية ضعيفة عن مالك وأن تحتم قتله مذهب مالك، وما عداه فإنه إما نقل غير أهل المذهب أو طرة مجهول لم يعلم كاتبها، فكن على بصيرة في الأحكام، ولا تغتر بكل أمر مستغرب وتغفل عن الصواب، والله تعالى أعلم. اهـ
সারসংক্ষেপ,
শাতিমে রাসূল কে হত্যা করা ওয়াজিব।শাতিমের রাসূল সাঃ এর অপরাধ মুরতাদের মত নাকি তারচেয়ে বেশী? মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ কবুল হবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম মালিক রাহ ও ইমাম আহমদ রাহ, বলেন,তাওবাহ কবুল হবে না।ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মতে মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ ও কবুল হবে।

মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة
যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে, তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে। তবে হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪}

জবাবঃ-
(১)
শাতিমে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধান হল,এই শাতিম কে হত্যা করা ওয়াজিব।

(২)
রাষ্ট্রর দায়িত্ব।জনগণ নিজের হাতে শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে পারবে না।ইসলামী হুকুমত সম্বলিত কোনো রাষ্ট্রের জনগণ যদি হত্যা করে ফেলে,তাহলে এই হত্যা মাকরুহ হবে।তবে যেখানে ইসলামী হুকুমত নেই, সেখানকার জনগণের জন্য শাতিমকে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না।বরং এই শাতিমের ফাসির জন্য যথাসাধ্য আন্দোলন করতে হবে।


(৩)শাতিমের ফাসি সম্বলিত আইন করা ও বাস্তবায়ন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা ও আন্দোলন করা, ফরযে কেফায়া।






(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
+1
২ আর ৩ নং পয়েন্টের ব্যাপারে একটু জানতে চাচ্ছিলাম শাইখ।

তাগুতের কাছে বিচার চাওয়ার বৈধতা কি? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...