আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম । আমি আর আমার স্ত্রী এর মধ্যে ইতিমধ্যে তালাক সংঘটিত হয়েছে । তালাক টা এ ভাবে ছিল যে আমি তোকে তালাক দিলাম তালাক তালাক ।

উল্লেখিত যে আমাদের মাঝে এখনও কোন সহবাস হয় নি ।কিন্তু নিম্মলিখিত কাজ গুলো ঘটেছে ।

এক দিন আমি আর আমার স্ত্রী রেস্টুরন্টে একে অপরকে স্পর্শ করছিলাম । আমাদের ছারপাশই মানুষ ছিলো এমনকি আমার সামনের টেবিলের মধ্যেও ছিলো । কিছুক্ষন পর পরই যে খাবার সার্ভ করে তিনি আসত । আমার স্ত্রী এর যৌনি এর সাথে আমার যৌনি স্পর্শ হয়েছে স্পর্শ হওয়াতে সাথে সাথে সাদা স্রাব পরছে স্ত্রী এর যৌনিতে ।যৌনির ভিতরে প্রবেশ করি নি চার পাশেই মানুষ ছিলো । কিন্তু এর মাঝেও যিনি খাবার পরিবেশন করতেন তিনি  আসতেন । এক কথায় আমি কোন মতে স্পর্শ করছি । তিনি আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিল  । এমন ঘটনা আবার  ঘটেছিলো পার্কে যেখানেও চার পাশে মানুষ ছিলো ।এবং মানুষ আসা যাওয়া করতো । এক কথায় সহবাস প্রতিবন্ধকতা ছিলোই ।চাইলেই যেখানে সহবাস করা যেত না । আমরা এমন কোন স্থানে ছিলাম না যেখানে চাইলেই সহবাস করা যায় ।দরজা বন্ধ অবস্থায়ও কোন দিন ছিলাম না । কখনও রাত ও কাটাই নি এক সাথে ।

এখন প্রশ্ন হলো আমাদের যেহেতু সহবাস হয় নি এবং উপুরুক্ত যে কাজ গুলো ঘটেছিল সব খানেই তো সহবাসের প্রতিবন্ধকতা ছিলো কোন না কোন ভাবেই  ।আমরা কি আবার বিয়ে করতে পারবো ?

1 Answer

0 votes
by (63,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

 

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনএক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললোহে আল্লাহ্র রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেনরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেনঅতঃপর বললেনহে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যেসে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধতালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

 

 

 হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

 

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনতিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহতালাকরাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেনএই হাদীসটি হাসান-গারীব।

 

 ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة

যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি যেহেতু এখনও  স্ত্রীর সাথে সহবাস করেননি তাই যদি সত্যই  আপনার স্ত্রীকে বলে থাকেন (আমি তোকে তালাক দিলাম তালাক তালাক তালাক) তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্ত্রীর উপর এক তালাকে বায়েন পতিত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে স্ত্রীর ইদ্দত চলাকালিন সময়ে ও ইদ্দতের পরে আপনি চাইলে আবার নতুন মহর ধার্য করে প্রস্তাব ও গ্রহণের মাধ্যমে দুইজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে আপনি আর দুই তালাকের মালিক থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (63,400 points)
হ্যাঁ, আবার নতুন করে বিয়ে করতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে আপনি আর দুই তালাকের মালিক থাকবেন।


by (5 points)
reshown by
খালওয়াতে সহীহ হয়েছে ? খালওয়াতে সহীহ কি তালাকের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা করবে ? আপনার কথার উপর ভিত্তি করেই আমরা বিয়ে করে নিব । ইনশাল্লাহ । দয়া করে খুলে বলেন ।নির্দিদ্বায় বিয়ে করতাম কিনা । যদি খালওয়াতে সহীহ হয় ও । 
by (63,400 points)

না, খালওয়াতে সহীহা হলে তখন আবার তাকে বিয়ে করা আপনার জন্য জায়েজ হবে না। কারণ তালাকের ক্ষেত্রে খালওয়াত বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সহবাসের হুকুমে হয়ে থাকে। তাই তখন আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে। যেভাবে সহবাসের পর তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হয়ে থাকে। তাই তার সাথে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আরেকটি প্রশ্ন করার অনুরোধ করা হলো। দেখতে হবে খালওয়াতে সহীহা হয়েছে কি না?

by (5 points)
edited by

আসসালামুআলাইকুম । আমি আর আমার স্ত্রী এর মধ্যে ইতিমধ্যে তালাক সংঘটিত হয়েছে । তালাক টা এ ভাবে ছিল যে আমি তোকে তালাক দিলাম তালাক তালাক ।

উল্লেখিত যে আমাদের মাঝে এখনও কোন সহবাস হয় নি ।কিন্তু নিম্মলিখিত কাজ গুলো ঘটেছে ।

১।এক দিন আমি আর আমার স্ত্রী রেস্টুরন্টে একে অপরকে স্পর্শ করছিলাম । আমাদের ছারপাশই মানুষ ছিলো এমনকি আমার সামনের টেবিলের মধ্যেও ছিলো । কিছুক্ষন পর পরই যে খাবার সার্ভ করে তিনি আসত । আমার স্ত্রী এর যৌনি এর সাথে আমার যৌনি স্পর্শ হয়েছে স্পর্শ হওয়াতে সাথে সাথে সাদা স্রাব পরছে স্ত্রী এর যৌনিতে ।যৌনির ভিতরে প্রবেশ করি নি চার পাশেই মানুষ ছিলো । কিন্তু এর মাঝেও যিনি খাবার পরিবেশন করতেন তিনি  আসতেন । এক কথায় আমি কোন মতে স্পর্শ করছি । তিনি আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিল  । এমন ঘটনা আবার  ঘটেছিলো পার্কে যেখানেও মানুষ ছিলো ।এবং মানুষ ইচ্ছে করলেই যে কোন সময় অসতো পারতো ।হাসপাতাল, কলেজ ক্যাম্পাস ও এমন হইছে যেখানে হঠাৎ করেই কেউ আসতে পারতো । এক কথায় প্রতি টা কাজেই কেউ না কেউ আসতে পারতো । কখনো বদ্ধ ছিলাম না দরজা বন্ধ করে আমরা ।  সব ক্ষেত্রেই কেউ না কেউ আসতে পারতো ।
মোট কথা কখনও রাত কাটাই নি বদ্ধ রুমে । বদ্ধ রুমে কখনই ছিলাম না যেখানে সব বন্ধ ।সব খানেই কেউ না কেউ আসতে পারতো ।মানে প্রতিবন্ধকতা ছিলো ।খালওয়াতো সহীহা এর পূর্ব শর্ত যেহেতু প্রতিবন্ধকতা না থাকা । আমরা যেহেতু দরজা বন্ধ করে কিছুই করি নি তার মানে যে কেউ এই হঠা্ৎ আসতে পারে ।এইটা একটা প্রতিবন্ধকতা ।
এখন প্রশ্ন হলো আমাদের যেহেতু সহবাস হয় নি এবং উপুরুক্ত যে কাজ গুলো ঘটেছিল সব খানেই তো সহবাসের প্রতিবন্ধকতা ছিলো কোন না কোন ভাবেই  ।আমরা কি আবার বিয়ে করতে পারবো ?আপনার উত্তর এর উপর নির্ভর করে আমি বিয়ে করবো ।দয়া করে বলেন । যদি বলেন পারবো বিয়ে করতে তাহলে আর কারো কাছে যাবো না । আপানকেই শেষ বলে গন্য করবো ।
by (0 points)
জনাব মুফতি সাহেব আসসালামুআলাইকুম । 
কিছুদিন পূর্বে আমি আমার স্ত্রী কে তালাক দিলাম এই ভাবে দিলাম যে তালাক তালাক তালাক।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে 
যদি কোন স্বামী স্ত্রী সহবাস না করে  নিম্নোক্ত কর্মকান্ড গুলো করে তাহলে কি তার খালওয়াতে সহীহ হবে ? আর তালাকের বিধান কি হবে ?
১।একদিন আমরা একটা রেস্টুরেন্টে এ গেছিলাম ।রেস্টুরেন্ট এর উপর চারদিকেই মানুষ ছিল ।আমি যেখানে বসছি সেখানেও কোন দরজা ছিল না উপরে ও কিছু ছিল না শুধু সামনে একটা কার্পেট ছিল যার ফলে কাউকে দেখা যায় না । কিন্তু কেউ হাটলেই তাকে দেখা যায় । আমাদের কাছে ও যিনি খাবার সার্ভ করেন তিনি আসতেন কিছুক্ষন পর পর । আমি ওনেক রিস্ক নিয়ে আমার স্ত্রীকে স্পর্শ করছি ।আমার স্ত্রী এর যৌনি এর সাথে আমার পুরুষাঙ্গ স্পর্শ হয়েছে এবং হালকা বীর্যপাত ওর যৌনির উপর পরছে । যৌনির ভিতরে নেই নি । কারন ছারপাশেই মানুষ ছিল । এমতাবস্থায় সহবাস চাইলেও সম্ভব না কারন সহবাস প্রতিবন্ধক ছিলো । খাবার পরিবেশন লোক কিছুক্ষন পর পর এই আসে ।
২. আমরা পার্কেও এক কর্নার এ গিয়ে (১) এর মত কাজ গুলো করেছি । কিন্তু পার্কে তো ছারপাশেই মানুষ । কে কখন আসে বলা যায় না ।তার মানে এখানেও প্রতিবন্ধক ছিলো ।
৩. এক দিন কলেজ ক্যাম্পাসের সিড়িতেও একে অপরকে স্পর্শ করেছি । কলেজ এর লাইব্রেরিতে কেরানি ছিল ।তারা যে কোন সময় এই সিড়িঁতে আসতে পারতো । তার মানে সহবাস এর জন্য প্রতিবন্ধকতা আছে ।
৪. একদিন হাসপাতালালে রুম এর ভিতর আমি আমার স্ত্রী আর নানা এবং মামী ছিল । ওনারা নিছ তলায় গেছিলো কিছুর জন্য দরজা খোলা ছিল এবং বাহিরে মানুষ ছিলো ।তখন ওকে স্পর্শ করছি । কিন্তু  যে কেউ এই এখানে প্রবেশ করার সুযোগ ছিলো ।আর নানা মামি তো আছেই ।আমার ভাগিনা ও ছিল ও তো আসতে পারতো । আর উপরের তলায় মানুষ ও ছিলো তবে কম । তার মানে এখানেও একটা সহবাস প্রতিবন্ধকতা আছে । 

দয়া করে উপরে উল্লেখিত সব কিছু পড়ে আমাকে উত্তর দিবেন , কারন আপনার উত্তর পেয়েই আমি আবার আমার স্ত্রীর  সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হব।  জাযাকাল্লা খাইরান ।আল্লাহ মহান ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...