আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
181 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু'আলাইকুম  শাইখ সম্প্রতি জানলাম ছবি তোলাও হারাম,যেহেতু এটা প্রতিকৃতি যা রব্বের সৃষ্টির সাদৃশ্য করা হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যখন ভিডিও কলে কথা বলা হয়,তখন? সেটা তো আরও অ্যানিমেটেড। আর সেখান থেকে স্ক্রিনশট নিলেই তো ফোটো হয়ে গেলো। তারপর আবার টিভি/ভিডিও তেও তো রব্বের সৃষ্টির প্রতিকৃতি দেখা যায় যাতে জীবন দান করা মানুষের ক্ষেত্রে একেবারেই অসম্ভব। সেক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম কী হবে জানাবেন দয়া করে। জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (680,960 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


ভিডিও কলে কাউকে দেখা আয়নায় দেখার ন্যায়।
শরীয়তের বিধান হলো যাদের সঙ্গে কথা বলা ও দেখা করা জায়েজ, তাদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলা ও দেখা করাও জায়েজ। শর্ত হলো, কলটি রেকর্ড করা যাবে না। স্কিন শট নেওয়া যাবে না। যেহেতু এখনো বেশির ভাগ ফিকহবিদের মতে ছবি-ভিডিও নিষিদ্ধ। কিন্তু যাদের সঙ্গে দেখা করা নিষিদ্ধ; বরং পর্দা করা ফরজ, তাদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলাও নিষিদ্ধ। (ফিকহি মাক্বালাত : ৪/১২৩-১৩০)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ভিডিও কলে মাহরামের সাথে কথা বলা জায়েজ আছে।
তবে গায়রে মাহরামদের সাথে কথা বলা জায়েজ হবেনা।
প্রয়োজন বশত কথা বলতে হলে অডিও কলে শরয়ী গন্ডির আওতায় থেকে শুধু প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবে। 

★টিভি ভিডিও দেখার বিধানঃ-

ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,

عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )

তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253
.
টিভি,ইউটিউব/ফেসবুক ইত্যাদিতে কোনো ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
অনেকেই স্পষ্ট আকারে নাজায়েজ বলেছেন।         
কিছু উলামায়ে কেরামগন শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ বলেছেন।

টিভি দৃশ্য দেখার একটি মাধ্যম মাত্র। যা ধারণকৃত বা সরাসরি কোন দৃশ্য বা চিত্রকে উপস্থাপন করে থাকে।
সুতরাং টিভি স্ক্রীণে ঐ বস্তু দেখা নাজায়েজ হবে, যা স্ক্রীণ ছাড়া দেখা নাজায়েজ। স্ক্রীণে ঐ বস্তু দেখা জায়েজ হবে, যা স্ক্রীণ ছাড়া দেখা জায়েজ।

সুতরাং টেলিভিশনে বিভিন্ন মিডিয়ায় ইসলামীক অনুষ্ঠান দেখার ক্ষেত্রে  কয়েকটি শর্তে অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।

(ক)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(খ)নারী দৃশ্যপট থাকতে পারবে না।
(গ)ফিতনার আশংখার ধরুণ নারীকন্ঠও থাকতে পারবে না।
(ঘ) খোলামেলা কোনো দৃশ্যায়ন তাতে থাকতে পারবে না।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ভিডিওতে যদি এসব শর্ত মানা হয়,সেক্ষেত্রে তাহা দেখা জায়েজ আছে 
নতুবা নয়।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...